Better Life with Steem|| The Diary Game|| 24th September 2024
Hello Friends,
এইমাত্র রাতের খাবার শেষ করেই পোস্ট লেখার জন্য মোবাইলটা হাতে নিয়েছি। এখন বাংলাদেশ সময় রাত দশটা বেজে পনেরো মিনিট। আমার সকল স্টিমিয়ান পাঠক/পাঠিকাদের আমার আজকের লেখাটিতে স্বাগতম।
সকালটা শুরু হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সের হর্নের শব্দে কিন্তু কিছু বুঝতেই পারিনি। কারণ তখনও চোখে ঘুম ঘুম ভাব ছিল। যেহেতু মাঝরাতে লোডশেডিংয়ের শুরু এবং সকাল অবধি বিদ্যুতের দেখা নেই তাই ঘুমটাও হয়নি।
আমি পূর্বে ও বলেছিলাম যে আমার জ্যাঠাবাবুর শরীর ঠিক নেই। তাছাড়া পূর্ব থেকেই নিউমোনিয়ার সমস্যা রয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ঠান্ডা লেগে এটাও দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিরত বেতনের ঘরে শারীরিক অবস্থার অনেকটা অবনতি দেখা দিয়েছিল।
পরিস্থিতি কখনো আমাদের কোন পর্যায়ে নিয়ে দাঁড় করাবো আমরা কেউই বলতে পারি না। কারণ বিগত রাতেও এটা আমাদের মাথায় আসেনি যে জ্যাঠাবাবুকে নিয়ে এভাবে সকালেই বিভাগীয় মেডিকেলে যেতে হবে।
আমাদের বিভাগে যত সরকারি এবং বেসরকারি মেডিকেল আছে সেগুলোর মধ্যে খুলনা সিটি মেডিকেল যদিও বাই বহুল কিন্তু চিকিৎসা সেবা সবচাইতে উন্নত। তাছাড়া পূর্বে করোনাকালীন সময়ে জ্যাঠাবাবুকে এখানে একবার ভর্তি করা হয়েছিল।
ওরা চলে যাওয়ার পরে আমি ঘরে ফিরে ব্রাশ করেই ওষুধ খেয়ে পি সি অন করেছিলাম। ওহ! অন করতেই আবারো, লোডশেডিং। যে কারণে পি সি র সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমি বাইরে বেরিয়েছিলাম। আকাশে প্রচন্ড মেঘ এবং ভ্যাপসা গরম অনুভব হচ্ছিলো। হঠাৎ করেই যেন আকাশে ভেসে থাকা মেঘ অন্যত্র সরে গিয়েছিল। যে কারণে আবারো রৌদ্রেজ্জ্বল আবহাওয়া দেখা যাচ্ছিল।
আমি বাজারে গিয়ে দোকানে প্রবেশ করেই ফ্রিজ খুলে একটা জুস নিয়েছিলাম। আমি প্রায়শই বাজারে গেলে এই জুসটাই খাই যেটা কিছুদিন পাওয়া যাচ্ছিল না। এই গরমে যদিও ঠান্ডা জল খাওয়াটাও ক্ষতিকর কিন্তু সব কিছু জেনেও এই জুসটা দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে।
কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দেখুন ৩৬০° কোণে যেন আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে অন্যরকম চিত্র ধারণ করেছে। যেখানে একটু আগেই ছিল মেঘলা আকাশ আর এখন রোদ্দুরের প্রখরতা এতোটাই বেশি যে রাস্তায় হাঁটাই যাচ্ছে না। আমাকে আবার দ্রুত বাড়িতে যেতে হবে। কারণ বোন এসেছে তাই জলকর থেকে বড় ভেটকি মাছ ধরতে হবে।
আমি বাড়িতে পৌঁছানোর পূর্বেই আমার বাবা ঘরোয়া মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে জলকরে পৌঁছে গিয়েছিল। আমি শুধু মাত্র একটি আলাদ ব্যাগ ও হাতে একটা ভেটকি মাছ ধরার বরশি নিয়ে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত যে ভেটকি মাছ ছিল সেগুলো জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাওয়ার একটাও পেলাম না কিন্তু আমি তো নাছোড়বান্দা পাবলিক তাই মাছ তো আমি ধরবোই।
বড় ভেটকি মাছের সংখ্যা কম এবং বরশি দিয়ে সেই কারণেই ধরা ও যায় না। বাবা বিরক্ত হয়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার আমি জলকরে এটাই ছিলাম। তবে বেশি সময় অতিবাহিত করতে হয়নি হয়তো বাবা বাড়িতে সবে পৌঁছেছে তখনই আমার বরশিতে গাঁথা চিংড়ি মাছ খেয়েছিল একটি ভেটকি মাছ।
কিন্তু আমি প্রথমে নিজেও বুঝতে পারিনি মাছটা এতো বড়! যে কারণে আমি ২০০/৩০০ গ্রাম একটা ছোট ভেটকি ওপরে তোলার বল প্রয়োগ করেছি। কিন্তু তখন আর বুঝতে বাকি রইলো না যে বড় ভেটকি মাছ আটকেছে বরশিতে।
আমি খুশি মনে মাছটা টেনে ওপরে তুলেছি অমনি জলকরের পাড়ের রাস্তায় মাছটি ছিটকে পড়ল। কারণ বরশিটা ছোটোই ছিল মাছের তুলনায়। তবে আমিও প্রস্তুত তাই মাটির সাথে চেপে ধরে আমার কাছে থাকা নেটে মাছটা ঢুকিয়ে কাঁধে করে বাড়িতে নিয়ে চলে আসলাম। আমার বাবা মাত্র স্নান শেষ করেছে তাহলে ভাবুন কি রাক্ষুসে মাছ আর কতোটুকু সময়ের মধ্যে আমি মাছটিকে ধরেছিলাম।
স্নান শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়েছিলাম। তারপরে বাজারের ফার্মেসিতে গিয়েছিলাম মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে হবে। কিন্তু অনুপম মামা বললো মা'কে মামার কাছে নিয়ে যেতে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঐখান থেকে একটা ইজিবাইক করে বাড়িতে ফিরে মা'কে সাথে করে চেম্বারে গিয়েছিলাম।
মামা, মা'কে দেখে ওষুধ দিলে সেগুলো মায়ের কাছে দিয়ে ঐ গাড়িতেই আবার মা'কে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল, তাই আমিও বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator06.
Good post here should be . . .
Curated by : @𝗁𝖾𝗋𝗂𝖺𝖽𝗂
@𝗁𝖾𝗋𝗂𝖺𝖽𝗂,
Thank you so much 🙏
আপনার জ্যাঠাবাবু অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। প্রার্থনা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। আপনার এই জিনিসটা আমার খুব ভালো লাগে যে ,বাজারে যেয়ে ইচ্ছে মতো খাওয়া আর সেই সেই সাথে মাছ ধরা। আপনার লেখা পড়ার সময় এই জীবনটাকে আমি মিস করি। এই রকম মাছ ধরার কোনো অভিজ্ঞতা নেই আমার।
এই পোস্টটি @philhughes এর মাধ্যমে টিম 7 দ্বারা আপভোট/সমর্থিত হয়েছে। আমাদের দল সম্প্রদায়ে যোগ করে এমন সামগ্রী সমর্থন করে৷
@philhughes,
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় এবং সমর্থন দেওয়ার জন্য।