আঙ্গুর ফল।
Hello Friends,
ভাগ্নির জন্য নিয়ে আসা আঙ্গুরের গল্প। বাড়িতে ছোট বলতে কেউ নেই আমি, বাবা ও মা তাই বাবা বাইরে গেলেই আমার জন্য প্রায়শই খাবার নিয়ে আসে। পাশাপাশি আমি বাইরে গেলেও মা এবং বাবার জন্য খাবার নিয়ে আসি। তবে হ্যাঁ খাবারের তালিকায় ফলের পরিমাণটা একটু বেশিই থাকে।
যেহেতু, এক সপ্তাহ হলো বোন ও ভাগ্নি এসেছে তাই বাড়িতে ফলের আগমণ পরিমাণে একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। এখানে আমারো একটু সুবিধাই হচ্ছে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ বাবা ইতিমধ্যে তিন কিলো আঙ্গুর নিয়ে এসেছে।
যদিও আমার সবুজ আঙ্গুর বেশি পছন্দ কিন্তু এইবার মনে হচ্ছে পছন্দের পরিবর্তন হবে। কারণ ইতিপূর্বে আমি যতোবার এই আঙ্গর খেয়েছি ততোবারই গলায় সমস্যা হয়েছে। অথচ এইবার যেন একটা ভিন্ন স্বাদ পাচ্ছি। কারত এই আঙ্গুর গুলোতে মনে হচ্ছে কোনো প্রকার রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি।
আমাদের দেশে আঙ্গুরের চাষ তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। বিগত বছর আমার পিসতুতো বোন রাজশাহীতে এবং উত্তরবঙ্গের আরো দুইটি জেলা ভ্রমণে গিয়েছিল এবং ফিরে এসে লিচুর অনেক প্রশংসা করেছিল। পাশাপাশি বোন বলেছিল যে আঙুরের ক্ষেতে ও নাকি গিয়েছিল। তবে আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী যতোকা ফল দরকার ততোটাও সেখান থেকে উৎপাদন করা সম্ভব না।
টক স্বাদের যে ফল গুলো আছে সেগুলোতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় এবং এই আঙ্গুর সেগুলোর মধ্যে একটি। অর্থাৎ শরীরের জন্য কিন্তু খুবই উপকারী। অথচ যখন এই উপকারী ফলে অতিরিক্ত কীটনাশক এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হয় তখন ঠিক উল্টো প্রতিক্রিয়াই দেখা যায়।
এক কথায় এই সকল ফলকে বলা হয় বড়লোকের ফল কারণ দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন না থাকায় বাইরে থেকেও আমদানি করতে হয়। অন্যদিকে আরো আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন কারণে যেটার বাজার মূল্য থাকে সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এখন বাষয় হলো, সাধারণ মানুষ আঙ্গুর খাবে না এটা তো হতেই পারে না। প্রথমতা, আমার বসবাস স্থান বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে যেখানে লবণাক্ততার পরিমাণ অনেক বেশি যে কারণে মিষ্টি এলাকার ফলমূল গাছ এদিকে দেখাই যায় না।
কিন্তু আঙ্গুর ফলের গাছ লাগনো সম্ভব। করণ আমি নিজেই আমাদের গ্রামের এক বাড়িতে থাকা আঙ্গুল গাছ থেকে ফল তুলে খেয়েছি নিজ হাতে। মজার ব্যাপার হলো মুখে গুঁজে দিয়ে পাঁচ মিনিট মনে হয় চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। কারণ আঙ্গুর ফল এতোটা টক হতে পারে যেটা আমার ধারনার একেবারেই বাইরে ছিল।
তবে এটা সত্য যে আমাদের দেশের বাজার থেকে ক্রয় করা টকমিষ্টি স্বাদের আঙ্গুরের থেকে এটা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। কারণ এখানে ফল গুলোতে কোনো প্রকারের রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি।
আমার সকলের কাছে একটাই আহ্বান যার আমরা বাংলাদেশ থেকে আছি যদি সম্ভব হয় বাড়ির উঠোনে মাটির উঁচু মাদা প্রস্তুত করে লাউ বা কুমড়ো গাছে যেভাবে লাগাই ঠিক সেইভাবে আমরা আঙ্গুর ফলের গাছ লাগাতে পারি। এটা আমাদের পরিবারের সকলের জন্য স্বাস্থ্যকর ও হবে।
কারণ ভিটামিন সি তো শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যেটা আমরা ইচ্ছে করলেই বাদ দিতে পারবো না। হয়তো বাজার থেকে চড়াও মূলে ক্রয় করবো কিন্তু যার জন্য সেটাই পাবো। এটা লতা প্রকৃতির গাছ তাই বাড়ির ছাদেও লাগানো সম্ভব।
যেহেতু, ভাগ্নির উপলক্ষ্যে বাবা বেশি পরিমাণে ফল ক্রয় করেছিল তাই সেই ফলকে কেন্দ্র করেই কিছু তথ্য নিজের মতো করে তুলে ধরলাম। ভিটামিন সি এর আঙ্গুরই খেতে হবে এমনটা না বরং পেয়ারা আরো বেশি উপকারী। তাছাড়া বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী পেয়ারা গাছ থেকে ফল পাওয়া কিছুটা হলেও সহজলভ্য।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
আপনার মত আমিও সবুজ আঙুর ফল গুলো খেতে খুব ভালোবাসি। তবে যদি মিষ্টি হয় তাহলেই খাই। টক হলে একদমই খেতে ইচ্ছে করে না। তবে এই আঙ্গুর ফল গুলো দেখেও খুব খেতে ইচ্ছে করছিল। যেকোনো টক জাতীয় ফল দেখলেই এমনিই জিভে জল চলে আসে।