শৈশবের স্মৃতি।

in Incredible India25 days ago
PhotoCollage_1729617084454.jpg

নমস্কার,
বন্ধুরা, আজ কেন যেন লেখার সময় করে উঠতে পারিনি। তাছাড়া থেকে থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন একটা ক্লান্তি কাজ করছিল। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ এই মাত্র পেলাম যখন বাংলাদেশ সময় প্রায় রাত বারোটা। এখনো পি সি তে বসতে পারিনি তবে পোস্ট লেখা হলেই বসবো।

যাইহোক, এতো কিছুর মাঝে যেন দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপের ছবি তুলতে পারিনি। তাই গ্যালারি খুঁজে কয়েকটি ছবি দেখেই যেন শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। শৈশবের স্মৃতি গুলো যেন উঁকি দিচ্ছিল। আমার মতো সকলেই শৈশবের সময়টা খুব মিস করেন। কারণ শৈশব আমাদের জীবনের এক সোনালী সময় যেটা কখনোই আমরা আর ফিরে পাবো না।

IMG20241021120604.jpg

আপনাদের এই সময়টা কেমন ছিল? আমার কিন্তু দূর্দান্ত ছিল। বড় হওয়ার সাথে সাথে যেন অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা সামনে চলে আসছে। কিন্তু আমার এটা মনে আছে শৈশবে কখনোই এইরকম কোনো খারাপ অনুভূতি ছিল। তখন ছিল সম্পূর্ণ স্বাধীনতা।

এখনকার মতো ছিলনা সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি। শুক্রবার ছাড়া অন্যদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বই নিয়ে পড়তে বসা। আবার মাঝেমধ্যেই না পড়তে বসার জন্য মায়ের বকুনি। তারপর সকালের খাবার খেয়ে দলবেঁধে স্কুলে যাওয়া।

জাতীয় সংঙ্গীত সমাপ্ত হতেই দৌড়ে শ্রেনী কক্ষে যাওয়া এবং ক্লাস কখন শেষ হবে এটা যেন মাঝেমধ্যেই মনে হতো। সবথেকে বেশি মজা হতো ছুটির পরে এবং বিশেষ করে বর্ষাকালের সময়টাতে।

এখন যেমন মাটির রাস্তা দেখাই যায় না আর তখন ইঁটের রাস্তা ও ছিল না আমাদের গ্রামে। যদিও এখন হেটে যেতে হয়তো পাঁচ মিনিট সময় লাগে আর তখন ত্রিশ মিনিটেও যেন পথ শেষ হতো না। তাহলে বুঝুন হাঁটার গতিটা কেমন ছিল।

IMG20241021120615.jpg

তবে এখনকার থেকে আমাদের সময়ের শৈশবটাই ভালো ছিল। যখন মায়েরা আমাদের সাথে বিদ্যালয়ে যেতো না। এখন তো দেখি শিশুদের থেকে অভিভাবকদের সংখ্যা যেন একটু বেশি। যেখানে আমার তো মাঝেমধ্যেই মনে হয় এই শিশু পড়তে এসেছে না কি শিশুর মা।

আমি শৈশবের যেটা সবচাইতে বেশি মিস করি তা হলো আমাদের এলাকায় বারিক ভাইয়ের হলুদ কেক এবং মোবাইল কেক এই দুইটা সুস্বাদু খাবার। ঐ মানুষটাও এখন আর ইহলোকে নেই আর সেই সস্তা খাবার ও নেই। জায়গা আগের স্থানেই আছে শুধু সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে সবকিছুর।

IMG_20241023_005241.jpg

শৈশবের এই সময়টা আরো উত্তম। আমার তো ভাগ্নিকে দেখেই রীতিমতো হিংসা হয়। এখনই আমার সবকিছুতে ভাগ বসাতে শুরু করেছে। না জানি কথা বলা শুরু করলে আর কি কি করে? তাঁর সাথে রাগ করার কোনো উপায়ই নেই। মুখ ভার করলেই বুঝতে পারে আর নিজে তো হাঁটতে পারেনা এখনো।

তাই যাকে সামনে বা কাছে পায় তাঁকে ধরে নিয়ে আসার উপক্রম করে এবং এক দাঁত বের করে হাঁসি দিয়ে গলাটা জড়িয়ে ধরে। আমিও নাকি ছোটবেলায় ভীষণ দুষ্ট ছিলাম। তাছাড়া বাড়ির মধ্যে আমি একাই ছোট যে কারণে সবকিছুতেই একটু বেশি অগ্রাধিকার ছিল।

শৈশবের ছোট্ট একটা ঘটনা মনে পড়লো, তখন আমি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বাড়িতে শনিদেবের পূজো তাই কলার কাধি ওপরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। পূজোর দিন অনেক কলা লাগবে যে কারণে আমার হাতের নাগালের বাইরে রাখা হয়েছিল।

এতোদিন এটা আমার চোখে পড়েনি কিন্তু পূজোর আগেরদিন অনেক কাজ থাকায় মা ও বাবা ছিল ব্যস্ত। তখন আমার ঠাকুরমা ছিলেন কিন্তু বৃদ্ধা মানুষ আর অতোটা খেয়াল করেননি। আমি চেয়ারের ওপর টুল দিয়ে মোটামুটি সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি প্রায় সব কলা খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছিলাম।

বাকিটা ইতিহাস.............🤣। যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...

Congratulations on bringing a quality content. You have earned a positive vote from team 2, and it is delivered by @ashkhan.

IMG-20240930-WA0213.jpg

Many Blessings...🙏🏻

 24 days ago 

@ashkhan,

Thank you so much 👍😊

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 90913.25
ETH 3176.54
USDT 1.00
SBD 2.97