সাধুজনে ভক্তি// নিরা গোসাই।
শুভ সন্ধ্যা,
আমার আজকের দিনটি অনেক অনেক বেশি ভালো ছিল। প্রথমত, কারণ বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের এক সাধু ব্যক্তিত্ব যার পদধূলী পড়েছে আজ আমাদের গ্রামে। তিনি নিরা গোসাই বা নিরা বাবা নামে পরিচিত।
আমাদের অনেকেরই জানা "যতোবার পৃথিবীতে অধর্ম শক্তিশালী হয়ে ওঠেছে, ততোবার ঈশ্বর অবতার রূপে পৃথিবীতে এসেছেন। এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করেছেন।" এই কথাটি আমি গীতার শ্লোকে পড়েছিলাম, তার থেকে কিছু অংশ তুলে ধরেছি।
কেন এটা বললাম?
কারণ এই সাধু ব্যক্তির পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার বারাকপুর গ্রামে। তবে তার আশ্রমটা অবস্থিত বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার, কালেখারবেড় গ্রামে।
এই গ্রামে আমার সেঝো মাসির শশুর বাড়ি। আত্নীয়তার সূত্রে বেশ কয়েকবার আমি সেখানে গিয়েছি। তবে আমার কাছে অস্বাভাবিক মনেহয়েছিল ঐ এলাকার পরিবেশ। কোনো এক পরিচিত আপনজনের থেকে জানতে পেরেছিলাম, এখানকার পরিবেশ তেমন সুবিধার না।
চুরিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায়ই শোনা যেত। তখনও এই সাধু জনের প্রভাব তেমন বিশেষ ছিল না। তবে বর্তমানে এই এলাকার পরিবেশ অনেক ভালো। এবং এটা সম্ভব হয়েছে নিরা গোসাই প্রচারিত হওয়ার পর থেকে।
আমরা যেমন অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে যাই, ঠিক তেমনি হাজারো মানুষ আসে এই নিরা গোসাই এর কাছে। যেকোনো সমস্যা থেকে উত্তোরণের এক উত্তম দিকনির্দেশনা প্রদান করার অলৌকিক ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী এই নিরা গোসাই।
বেশ ভালো একটা আয়োজন করার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। কারণ এই মানুষটির কথা শুনলেই, অনেক মানুষ তার পদধূলী পাওয়ার উদ্দেশ্যে ছুটে আসবে। অন্নদান অনেক পূন্যের। তাই সকল ভক্তের উদ্দেশ্যে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বেশ কিছু ঈশ্বর কেন্দ্রিক কথা শ্রবণ করেছিলাম। তারপর ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রসাদ বিতরণ পর্ব। প্রায় ঘণ্টা তিন আমাদের গ্রামে ছিলেন নিরা গোসাই।
এই মানুষটিকে দেখা মাত্রই একটা সতেজতা অনুভব করতে পারলাম। সকল চিন্তা যেন মুহূর্তের মধ্যেই আমার থেকে বিদায় নিয়েছিল।
তারপর ফুরফুরে মেজাজে রাস্তাতে যেতেই দেখি ছোটদের একটি সভা বসেছে। মূহুর্তের মধ্যে সেই শৈশবে চলে গিয়েছিলাম। এমনকি নিজেকে যুক্ত করলাম, ছোটদের দলে। লাগামহীন হাঁসি চলছিল।
দেখুন ছবি তোলার ভাবটাই অন্যরকম। পেছনে সত্তুর বৎসরের এক দাদুও যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ও অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এভাবেই বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
হঠাৎ দেখলাম, আকাশে মেঘের ঘনঘটা। এখনই মনে হয় বৃষ্টি নামবে। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছি বাড়িতে যাওয়ার। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে আমাদের আসর ভেঙে গেল। যে যার বাড়িতে ছুটে চলে আসলাম।
বন্ধুরা, কেমন লাগলো আমার সম্পূর্ণ লেখাটি? আপনাদের মূল্যবান অভিমত জানাতে ভুলবেন না। আগামীকাল দেখা হবে আবারো নতুন কোনো বিষয়ের সাথে।