শীতের দিনে হঠাৎ বৃষ্টি।
আবারো সকালটা শুরু হয়েছিল নেটওয়ার্ক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে। সপ্তাহে দিনের বেলাতে তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। কতোদিন এভাবে কাজ চলবে বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া কয়েকদিন অনেক জার্নি যে কারণে ক্লান্ত লাগছিল। অন্যদিকে আবহাওয়া যেন অনুকূলেই ছিল।
অর্থাৎ সকাল সেই মধ্য রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যাইহোক, ৪/৫ দিন হলো ঘুমের খুব ঘাটতি, সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই দুপুর বারোটা পার হয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েক বছর বাদে এই বাংলা পৌষ মাসে বৃষ্টির দেখা মিলছে যেটা এখন অলৌকিক ও মনে হচ্ছে।
কথিত আছে এই সময়ে বৃষ্টি হওয়া নাকি ভালো। তবে এটার সত্যতা জানা না থাকলেও মানতেই হবে। এবার আমাদের পুরোনো বাড়িতে ধানের পালাটা অনেক উঁচু যেরকমটা শৈশবে দেখতাম। অর্থাৎ শস্যের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। শৈশবে দেখেছি ধান বাড়িতে এনে রেখে মাড়াই করার পূর্বেই এই সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়তে হতো।
তবে মানুষের মনে শান্তি ছিল কারণ নিজের জমির শস্য বলে কথা। পাশাপাশি এই সময়ের যে ধান এগুলোতে কিন্তু রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার একদমই নেই বললে চলে। যার ফলে কৃষকের খরচ ও অনেক কম হয়। আজকের বৃষ্টি যেন সেই শৈশবের সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
বছরের শেষ, বাৎসরিক পরীক্ষা ও শেষ এখন শিশুদের খেলাধূলার সময়। কিন্তু এই বৃষ্টি যেন আটকে দিয়েছে। তবে আপনা আপনি কিন্তু না বরং পাহারাতে আছে আমার কাকু। নচেৎ কিসের বৃষ্টি? এতোক্ষণ সবাই জোট বেঁধে খেলতেই চলে যেত।
এই সময়ের বৃষ্টি নিয়ে আপনাদের অভিমত কি? আমার কাছে একদমই বিরক্তিকর কিন্তু আবহাওয়া এইরকম থাকায় আমার ঘুমোতে একটু সুবিধাই হয়েছিল যেটা আমাকে মানতেই হচ্ছে।
সৌভাগ্যক্রমে বাজারের উদ্দেশ্যে বেরোলেই দেখলাম নেটওয়ার্ক পেয়েছে। মোবাইলে যথেষ্ট চার্জ ছিল তাই আর বাড়িতে ফিরে দেখা হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে কি না। তবে টাওয়ারের কাছে পৌঁছেই দেখলাম জেনারেটর চলছিল। তখন বুঝলাম এটার জন্য নেটওয়ার্কের দেখা পেয়েছি।
অন্যান্য দিন রাস্তায় ঠিক ঠাক হেঁটে যাওয়াই মুশকিল হয়ে যায় বিভিন্ন গাড়ির হর্নের জন্য। তাছাড়া রাস্তাটা প্রশস্ত না যে কারণে নিচে নেমে ও হাঁটতে হয়। মাঝেমধ্যেই এই ছোট রাস্তায় ও বড় বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এই ধরনের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য। তবে আজ সেই দিক দিয়েও ভালো ছিল পরিবেশটা। তবে আমি চিন্তা করেছিলাম বাজারে হয়তো লোকসমাগম বেশি।
তবে বাজারে গিয়ে অবাকই হলাম কোনো লোকজনই যেন নেই। দোকানগুলো ও প্রায় সব বন্ধ। অর্থাৎ আমার মতোই হয়তো অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে ঘুমোচ্ছে। হঠাৎ একটি লোকাল বাসের আগমন! কারণ মেইন রাস্তার অবস্থা বেতাল যে কারণে হয়তো এই গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করেছে।
বৃষ্টি হলেই যেন প্রকৃতি তার আপন রূপ ধারণ করে। গাছের পাতা ও ফুল দেখেই মনে হচ্ছে স্বস্তি পেয়েছে এই গাছ গুলোও। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন সাধারণ ফুল গাছ গুলোতেও শীতের সময় তেমন একটা ফুল দেখা যায় না। আমার তো মনে হয় জনশূন্যতা ও এটার জন্য দায়ী যদিও প্রাকৃতিক অন্যান্য অনেক কারণ ও এটার সাথে জড়িত।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।
আমার বৃষ্টির দিন অনেক ভালো লাগে, কিন্তু শীতকালে বৃষ্টি হলে এমনিই তো আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা থাকে, তার ভিতরে কাজ করার মন-মানসিকতা হারিয়ে যায়। শুধু ঘুমাইতে মন চায়, আপনার এর আগের পোস্টেও আমি পড়েছি বিদ্যুতের সংকট ছিল , আজকের পোস্টটি পড়েও জানতে পারলাম বিদ্যুতের সংকট। আপনাদের এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা বেশি পরিমাণ হয়ে থাকে। এই যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া অনেক কাজই আমরা করতে পারিনা তাই এইটা একটা বিশাল বড় সমস্যা বলা যায়। আমাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন।