Photography.
Edited By Canva |
---|
নমস্কার,
কেমন আছেন সবাই? আজ কিন্তু ফটোগ্রাফি নিয়ে চলে এসেছি। প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণ নেই এমন অনুভূতির মানুষ নেই। যে যেটাই বলুক না কেন দিন শেষে সুযোগ পেলে সকলেই প্রকৃতিতে নিজেকে উৎসর্গ করতে চায়।
তবে ইচ্ছে করে না হলেও অনিচ্ছা সত্ত্বেও একটা প্রয়োজনে আজ আমারো কিছু সময় প্রকৃতির সাথে কাটানোর সুযোগ হয়েছিল। যেটা আমি হাতছাড়া করতে নারাজ ছিলাম। তাই ইচ্ছে করেই মায়ের কথাতে আমাদের পুরনো বাড়িতে গিয়েছিলাম।
পড়ন্ত বিকেলে পশ্চিম দিগন্তে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য আমাদের দেশের পর্যটন কেন্দ্র কূয়াকাটা যেখানে শীতকালে দেশি-বিদেশি লাখো মানুষ ভীড় জমায়। তবে আমার মনে হয় যে হয়তো সমুদ্র সৈকত নেই এখানে কিন্তু তবুও কিছুটা ঐরকম দৃশ্য দেখার সুযোগ মাঝেমধ্যেই হয়। তাছাড়া মেঘমুক্ত আকাশ হলে তো কোনো কথাই নেই।
এই দৃশ্যটা আমাদের পশ্চিম পাশের বিলের যেখানে আছে আমার কাকুদের জলকরের দক্ষিণ পাশে একটি শাপলার জলকর। দেখলেই মনে হয় যেন সবজি ক্ষেতের মতো কেউ হয়তো হাতে ধরে ধরে শাপলা গাছ রোপন করেছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে পড়ন্ত বিকেলের লাল টগবগে সূর্যের আলোক রশ্মি।
কয়েকদিন ধরে বাড়ি থেকে একটু কমই বেরোনো হচ্ছে। কারণ প্রথমে হয়েছিল চোখে সমস্যা এখন আবার ঠান্ডা লেগে জ্বর ও সর্দি। রীতিমতো অনেক জ্বর যে কারণে চোখও লাল হয়ে আছে। কিন্তু আজ পড়ন্ত বিকেলে পশ্চিম পাশের বিলে গিয়ে যেন মানসিক প্রশান্তির জন্য একটু হালকাই মনে হচ্ছিল।
এগুলো কিন্তু সাদা শাপলা তবে যে শাপলাকে জাতীয় ফুল বলা হয় সেটা দেখতে লাল। শৈশবে দেখেছি লাল শাপলার সমারোহ কিন্তু এখন আর আমাদের এদিকে আগের মতো শাপলা দেখা যায় না। হয়তো নদীর সাথে এটার কোনো একটা সংযোগ আছে যে কারণে নদী যখন মৃতপ্রায় অবস্থা তখন থেকেই যেন শাপলার বিলুপ্তি হতে শুরু করেছিল।
কয়েকবছর আগেই আবারো নদী খনন করা হয়েছে যে কারণে,হয়তো কিছু কিছু শাপলা আবারো দেখা যাচ্ছে।
সাধারণত একটু গভীর জলের পুকুরে বা জলকরে এই শাপলা গাছ দেখা যায়। পাশাপাশি শাপলা যেখানে থাকে হয়তো জলটা ঢেকে রাখে কিন্তু ঐ পুকুরের জল কিন্তু তুলনামূলক অন্যান্য পুকুরের থেকে পরিষ্কার এবং শীতল হয়। পাশাপাশি, এই ধরনের জলকরে মাছের জন্য পর্যাপ্ত খাবার থাকে যার ফলে মাছের বৃদ্ধি ও ভালো হয়।
আমাদের গ্রামের অধিকাংশ জলকরের পাড়ে আপনারা কলমি শাক দেখতে পারবেন। যেটা অনেকেই শহরে চড়া মূল্য দিয়ে ক্রয় করেন। সবজি হিসেবে কলমি শাক অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে দেখবেন গর্ভবতী মায়েদের একটু আলাদা যত্ন নেওয়া হয় যে কারণে ডাক্তার ও ওষুধের পাশাপাশি কলমি শাক, কচু শাক, কলার মোচাসহ আরো কিছু কিছু ফল ও সব্জির নাম খাদ্য তালিকার আওয়াতাভুক্ত করেন।
একটি জলকর যদি আকারে অনেক বড় হয় তাহলে সেখানে আলাদা করে এভাবে কাঁকড়ার হ্যাচারি ও করা যায়। যেটা আমার পুরোনো ছোটকাকু করেছেন। যেহেতু, কাকুদের একটা জলকরেই আছে প্রায় পাঁচ একর বা দশ বিঘার মতো জায়গা যেটা মাছ চাষের পাশাপাশি কাঁকড়া চাষ করার জন্য ও উপযুক্ত।
যেহেতু, জন্মসূত্রে আমি একজন বাংলাদেশী তাই নদীর প্রতি একটা জন্মগত অদৃশ্য টান থাকবে এটা একদমই স্বাভাবিক। তাই সবসময় নদীর পাড়ে হাঁটার সুযোগ না হলেও জলভর্তি বিলের মধ্যে গেলে যেন কোথাও একটা সাদৃশ্যপূর্ণ অনুভূতি খুঁজে পাই। তাছাড়া একটু দূরেই রয়েছে জোয়ার ভাটা সরবরাহ করা ছোট খাল যে কারণে নদীর ঘোলার জলের চিন্হ এখানেও দেখা যায়।
যদিও সরকারী ও বেসরকারী চাকরিজীবীদের সংখ্যা আমাদের গ্রামে অনেক বেশি তবুও মাছ ও চাষ ও কৃষি কাজটা সকল পেশার মানুষের সাথে জড়িত। তাছাড়া, আলাদাভাবে কিছু মানুষ তো আছেই যারা কৃষি কাজেই নিজেকে উৎসর্গ করে। যেটাকে আমি ভীষণ সম্মান করি। এমনকি আমি নিজেও কৃষি কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। ছোট বেলার বলদ দিয়ে খড় থেকে ধান আলাদা করার কাজেও আমি আমার ঠাকুরদাকে সহযোগিতা করতাম। যে দিন গুলো এখন খুব মিস করি।
যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
দিদি প্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য। শাপলা ফুলে দেখা না মিললেও সূর্যের অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটা দুর্দান্ত লাগছে।
সকালে এই জায়গাটার ছবি অসাধারণ হবে যখন শাপলা ফুলগুলো একই সমানে ফুটে থাকবে।
দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। পড়ন্ত বিকেলে পশ্চিম দিগন্তে সূর্যাস্তের দৃশ্যটি সবথেকে সুন্দর লাগছে। আপনার আরও ফটোগ্রাফি পোস্টের আশায় রইলাম। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ ও সফল রাখুক।