বৃষ্টিস্নাত বিকেলের সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি।
![]() |
---|
Hello Friends,
আজ বৃষ্টিস্নাত বিকেল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলাম। পথে পা রাখতেই দেখলাম রাস্তাটা বৃষ্টির জলে কেবলমাত্র স্নান সেরে উঠেছে। অসহ্য গরমটা একটু কম কিন্তু আগের দিনের বর্ষাকালের অনুভূতি যেন খুঁজে পাচ্ছি না।
![]() |
---|
কিভাবেই বা পাবো? যখন আমি শৈশবে ছিলাম তখন এই রাস্তাটাও ছিল মাটির। ইচ্ছে করেই কাঁদায় হাটতে বেরোতাম। এজন্য কতোই না বকা শুনতাম। কিন্তু কে কার কথা শোনে আবার বৃষ্টি শুরু হলে সেই পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি সেটা ঘটবেই।
স্কুল ফাঁকি দিতে ইচ্ছে করলেই এদিক ওদিক তাকিয়ে যদি দেখতাম কেউ নেই তখন কাঁদায় পড়ে যাওয়া। এমনি যতোটুকু কাঁদা লাগতো তাঁর থেকে একটু বেশি মেখে বাড়িতে ফিরে আসে।
আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য বন্যা হলে এই রাস্তার ওপরে জল উঠলে দল বেঁধে মাছ ধরা। যখনই এই পরিবেশে রাস্তায় একা একা হাঁটি তখন যেন শৈশবের স্মৃতি গুলো কড়া নাড়ে। আবার কিছুক্ষণ বাদেই একটা দীর্ঘশ্বাস, কারণ এটা এখন কেবলমাত্র স্মৃতি।
![]() |
---|
রাস্তার দুই পাশে নাম জানা অজানা অনেক গাছ। বৃষ্টির জল পেয়ে যেন খুশিতে আত্মহারা, দেখলেই মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠছে। বৃক্ষরাজি ও মানবকুলের মতো বৃষ্টির প্রতিক্ষা করে। কিছুদিন আগেও যেন এই গাছের পাতা গুলো ছিল শুষ্ক প্রকৃতির। অথচ বৃষ্টির জলের স্পর্শ পেতেই যেন খুশিতে নেচে উঠেছে।
![]() |
---|
এই দৃশ্যটা একটা বাড়িতে প্রবেশের রাস্তার। আমি উপস্থাপন করলাম কারণ এইরকম ছোট রাস্তা ছিল একটা সময় আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য। বাড়িতে ঢোকার পথের ডান পাশের ছিল একটি নোংরা ডোবা।
এটা সম্ভবত ২০১৪ সালের কথা যখন আমি বাড়িতেই ব্যাচ পড়াতাম। আমার একটি ব্যাচ যেখানে ছিল এস এস সি পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সমস্যাটা হতো বর্ষাকালে যখন ছেলে শিক্ষার্থীরা সাইকেল নিয়ে আসতো। মাঝেমধ্যেই স্লিপ করতো সাইকেলের চাকা আর অমনি পঁচা ডোবাতে। কখনো সাইকেল আবার কখনো আমার প্রিয় ছাত্র পঁচা ডোবার জলের মধ্যে।
![]() |
---|
ওহ! এই প্রচন্ড বৃষ্টিতেও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ভ্যান চালক বাইরে বেরিয়েছে অর্থ উপার্জনের জন্য। তবে হ্যাঁ শুধুমাত্র ভ্যান চালক না বরং কিছু মানুষের গুরুত্বপূর্ণ কাজ তো থাকেই।
তাছাড়া আজ শনিবার, আমাদের সাপ্তাহিক বাজারের একটি দিন। তাই আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন মানুষ সেটা উপেক্ষা করে বেরোবেই। ফ্রিজে শুধু মাছ বা মাংস থাকলে তো হবেই না। তাজা সব্জি ক্রয়ের জন্য মানুষের চলাচল।
তবে আবহাওয়ার গতিতে চলছে মানুষ যে কারণে এই সময়ে রাস্তায় লোকসংখ্যা একটু কম।
![]() |
---|
এই জলে ভর্তি পুকুরের জল মিষ্টি অন্যদিকে রাস্তার ওপাশের জল আবার অতিরিক্ত লবণ। ঈশ্বরের লীলা বোঝা বড় মুশকিল।
![]() |
---|
আকাশটা যেন মনে হচ্ছে এখনো ভেঙ্গে পড়বে। কারণ মেঘে ভারী হয়ে আছে, আবার এইরকমটাই মনে হচ্ছে যেন একটু ওপরে গেলেই আকশটা স্পর্শ করা যাবে। তবে দেখেও শান্তি বর্ষাকালে বর্ষা হবে না তা কি হয় নাকি।
বৃষ্টির জন্য পাখিরা মনে হর বাসাতেই রয়েছে। কারণ গোধূলি লগ্নে পাখির নীড়ে ফেরার ডানা ঝাপটানোর শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। আবার মাঝেমধ্যেই তো ঝাঁক শুদ্ধ পাখি কিচিরমিচির আওয়াজ করতে করতে যায়। ওরাও মনে হয় সারাদিনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে করতে আসে। যেদিন হয়তো আহার ভালো হয় সেদিন আনন্দ করতে করতে আসে।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Your post has been successfully curated by our team via @kouba01 at 35%.
Thank you for your committed efforts, we urge you to do more and keep posting high-quality content for a chance to earn valuable upvotes from our team of curators and why not be selected for an additional upvote later this week in our top selection.
@kouba01 , thanks sir for visiting my post. Hopefully it will increase my work dynamics and more. Thank you for spending your valuable time on my content.🙏❤️
বৃষ্টির বিকেলটা খুবই আমার কাছে পছন্দনীয়। বৃষ্টির শেষে পাতার যখন টপটপ করে পানি পড়ে তখনই দৃশ্যটা খুবই ভালো লাগে, ভ্যানচালক তাদের জীবিকা নিবার জন্য রাস্তায় বের হয়ে পড়েছি বৃষ্টির বিকেলে গাড়িতে ভ্রমন করা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ধোলা ময়লা এগুলো কিছুই থাকে না, টাটকা সবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী,
ঠিক বলেছেন দিদি সৃষ্টিকর্তার লীলা বুঝা বড় ই মুশকিল। আপনার পোস্ট করি অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন
বরষার মরসুম মানেই গ্রামের রাস্তায় কাদার প্যাক আর সেই কাদায় হাবুডুবু খেতে খেতে স্কুলে যাওয়া, আপনার লেখার মধ্যে যেন নিজের অতীতকে খুজে পেলাম। আহা কি স্মৃতি , বই গুলো জামার ভেতরে গুজে মাথায় একটা পলিব্যাগ দিয়ে ভিজিতে ভিজতে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা।
আপনার লেখা পরলাম আর অতীতের দিনগুলির আফসোস বাড়লো।
সেই বলেছেন ভাই, একদমই চমলক্ক ।👏 আমিও আপনার মতো লেখার ফাঁকে চোখ বন্ধ করে যেন সেই কাঁদায় হাঁটার সময়টা উপভোগ করছিলাম। তবে আর কখনো ফিরে পাবো না, এটাই আফসোস। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বৃষ্টি পেলেই প্রকৃতি নতুন সাজে সেজে ওঠে। সবুজে ভরে যায় প্রকৃতি । শহরের থেকে গ্রামের মানুষ বৃষ্টির আনন্দটা উপভোগ করে বেশি। পুকুর, ডোবা-নালা, খাল বিল সমস্ত কিছু পানিতে থুই থুই করে থাকে।
এ সময় বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। আমরা যখন ছোটবেলায় মামা বাড়ি যেতাম তখন দেখতাম মামা এই বর্ষার দিনে ফুলকুচি দিয়ে অনেক মাছ ধরে নিয়ে আসতেন। এমনকি রাস্তার উপরেও নাকি মাছ উঠে আসতো ।সত্যি সেই দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল।
আধুনিকতার ছোঁয়া গ্রামে এসে পৌঁছেছে তাই তো সেই গ্রামের মাটির রাস্তা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না বললেই চলে ।সমস্ত রাস্তা পিস ঢালা হয়ে গেছে ।আপনার সুন্দর একটি দিনের আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
বৃষ্টির সময় টা আমারও খুব পছন্দের। কিন্তু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা হাটতে খুবই বাজে লাগে। আমাদের শহরের রাস্তায় বৃষ্টি হলে ড্রেনের জল রাস্তায় জমা হয়। তবে বৃষ্টি হলে গাছপালা একটু আনন্দ পাই। পুকুর,ডোবা গুলো ভরে ওঠে। তবে বর্ষাকালে স্কুলে যেতে একদমই ভালো লাগতো না। আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।