আলু দিয়ে কাঁকড়ার তরকারি
বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সকলে ভালো আছেন,এবং আপনাদের আজকের দিনটা সকলের খুব ভালো কেটেছে।
আমার আজকের দিনটা একটুও ভালো কাটেনি। কাল আমার জন্মদিন ছিলো কিন্তু আমার কাছে দিনটা খুব দুঃখের কেটেছে। একটা এমন সংবাদ আমার আনন্দের দিনটা দঃখে পরিনত করলো। আমার মাসতুতো বোনের ছেলের ব্রেন টিউমার শুনে মনের অবস্হা খুবই খারাপ হয়ে গেলো। কাল থেকে এখনও মনকে বোঝাতে পারছিনা এই কথাটা। মাএ ক্লাস 6 এ পড়ে । ছোট বেলা থেকে আমরা ভাইবোনরা সবাই একসাথেই বড়ো হয়েছি। সেই জন্য একে অপরের কষ্টটা অনুভব করতে পাড়ি।
কষ্টের মধ্যে দিয়েও আজ সব কাজ সেরে নিজের দায়িত্ব পালন করলাম। প্রথমে সকালে উঠলাম উঠে কাজ সেরে বাজারে গেলাম। আজ বাজারে কাঁকড়া দেখতে পেলাম সেটাই নিয়ে নিলাম। আর আজকে সেটাই রান্না করলাম। আজ আমি সেটাই আপনদের
সাথে ভাগ করে নেব।
এটি রান্না করতে আমার কি কি উপকরন লাগলো যেনে নেওয়া যাক তাহলে।
উপকরণ:-
১)কাঁকড়া-৪০০গ্ৰাম।
২)আলু-২টো(চৌক করে কাঁটা।
৩)পেয়াজবাটা-২চা চামচ।
৪)নুন-স্বাদ মতো।
৫)চিনি-স্বাদ মতো।
৬)আদাবাটা-১ চা চামচ।
৭)রসুনবাটা-১ চা চামচ।
৮)জিরের গুড়ো-১ চা চামচ।
৯)লঙ্কার গুঁড়ো-১ চা চামচ।
১০)সরষের তেল-প্রয়োজম মত
এইবার যেনে নেওয়া যাক আমার কাঁকড়া তৌরির পদ্ধতি।
পদ্ধতি:-
১)প্রথমে একটা পাএ নিতে হবে।
২)তারপর কাঁকড়া গুলো কেটে নিতে হবে।
৩)এবার কাঁকড়াগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৪)এরপর সেগুলো নুন,হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
৫)তারপরে গ্যাসটা জালিয়ে মাঝারি আঁচে কড়াইটা বসিয়ে দিতে হবে।
৬)কড়াই যখন গরম হবে সরষের তেল দিয়ে দিতে হবে।
৭)তেল গরম হলে তেলের মধ্যে কাঁকড়া গুলো দিয়ে একটু হালকা ভেজে নিতে হবে।
৮)এরপর বাকি তেলের মধ্যে আলুগুলো ভেজে একটা পাএে নামিয়ে রাখতে হবে।
৯)আলু গুলো নামানোর পরে যে তেলটি রয়েছে তারমধ্যে এক এক করে পেয়াজবাটা, আদাবাটা, কাঁচালঙ্কাবাটা, জিরেরগুরো, রসুন বাটা, নুন, হলুদ, একটু মিষ্টি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।
১০)কিছুক্ষন কষানোর পরে তারমধ্যে ভাজা আলু আর কাকড়াগুলো দিয়ে দিতে হবে।
১১)তারপরে একটু মশলাটা কষা হয়ে গেলে পরিমান মতো গরম জল দিয়ে দিতে হবে।
১২)তারপরে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষন ঢেকে রাখতে হবে।
১৩)এবার যখন ঢাকনা তুলে দেখবেন আলু গুলো সেদ্ধ হয়ে গেছে তখন একটু গরম মশলা ছড়িয়ে সেটা একটা পাএে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
কাঁকড়ার তরকারি গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে খুব ভালোলাগে।আমার তো কাঁকড়া খেতে খুব ভালোলাগে।আপনাদের কেমন লাগলো আমার রান্না একটু জানাবেন।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আজ এখানেই শেষ করলাম আমার রান্না।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
শুভরাএি।
@piudey দিদি আপনার রান্নাটা দেখে সত্যি জিভে জল চলে আসলো।আসলে আমার কাঁকড়ার যে কোনো রেসিপি খুব ভালো লাগে খেতে।
আমি মাঝে একদিন কাঁকড়ার রেসিপি শেয়ার করেছিলাম।আমার মেয়ে স্টেশন থেকে বাড়িতে আসার সময় আমি কাঁকড়া খেতে ভালোবাসি ভেবে কিনে নিয়ে এসছিল।
দারুন লাগলো আপনার শেয়ার করা রেসিপি দেখে।আরও মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেবেন।
ভালো থাকবেন দিদি।
কাঁকড়া খেতে অনেকেই ভালোবাসে তবে আমাদের বাড়িতে কাঁকড়া কেউ ভালো খায় না। তাই রান্না প্রায় হয় না বললেই চলে। একবার আমার জা রান্না করে দিয়েছিলো, তবে খুব একটা ভালো লাগেনি আমার। তবে আপনার রান্নাটা দেখতে লোভনীয় লাগছে, আশাকরি খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ রেসিপিটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
@baishakhi88আমাদের বাড়িতে আমি ছাড়া কেউ সেরকম একটা ভালো খায়না। তাই রান্না করলে আমি আর আমার যায়ের ছেলে দুজনে খাই।
@piudey কাঁকড়া আমার এবং আমার মায়ের খুব পছন্দের একটি খাবার। আমার মা প্রায় দিন কাঁকড়া রান্না করে থাকে।
আপনার রান্না করা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।