মাছের মাথার তরকারি
বন্ধুরা,
আশাকরি সকলে ভালোই আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা ভালোই কেটেছে।
আমার আজকের দিনটা ভালোই কেটেছে। কারন আজকে আমার শরীরটা ভালো ছিলো। তাই অনেক সকালে উঠলাম। মেয়ের আজও পরিক্ষা ছিলো আজ ওর ভূগোল পরিক্ষা ছিলো। আর ৫টা পরিক্ষা বাকি আছে এখনো।
পরিক্ষা হলে ভেবে রেখেছি একটু মায়ের কাছে যাব দুদিনের জন্য আবার একটু দিদির কাছে যাব।
অনেক কিছু ভেবে রেখেছি যানি না কতোটা পারবো।
আজ আর বাজারে যেতে ভালো লাগছিলোনা। তাই বাড়ির লোককে দিয়ে বাজার করাই। সে বাজার থেকে মাছের মাথা নিয়ে এলো বললো। আলু দিয়ে রান্না করতে। সেটাই করলাম।
আমি আজকে সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব। আসুন কি পদ্ধতিতে বানালাম সেটা যেনে নেওয়া যাক।
উপকরন: -
1)মাছের মাথা=৫০০গ্রাম
2)আলু=২টো মাঝারি সাইজের (চৌক করে কাটা)
3)পেয়াজ=১টা বড়ো সাইজের (ঝিরি করে কুঁচানো)
4)আদা বাটা=১চা চাামচ
5)জিরের গুরো=১চা চামচ
6)নুন=স্বাদ মত
7)টমেটো=১টা মাঝারি সাইজের (ছোট ছোট করে কাটা)
8)কাঁচা লঙ্কা=২চা চামচ
9)চিনি=স্বাদ মত
10)হলুদ=১চা চামচ
11)সরষের তেল=প্রয়োজন মত
পদ্ধতি:-
1)প্রথমে একটা পাএ নিয়ে নিতে হবে।
2)তারমধ্যে মাথাগুলো ভালোকরে ধুুুুয়েনিয়ে ভালোকরে নুন, হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
3)এবার কড়াইটি গ্যাসে মাঝারি আঁচে বসিয়ে দিতে হবে।
4)এরপর কড়াই গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে তেল দিয়ে দিতে হবে।
5)যখন তেলটি গরম হয়ে যাবে তারপর মাথাগুলো এক এক করে ভেজে নিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে।
6)তারপর ঔ তেলের মধ্যে আলুগুলো ভেজে আরেকটা পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে।
7)এবার অবশিষ্ট যে তেলটি থাকবে তারমধ্যে আরেকটু তেল দিয়ে কুচান পেঁয়াজ গুলো তারমধ্যে দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে।
8)এরপর তারমধ্যে নুন, হলুদ ও একটু চিনি দিয়ে শেটা ভালো করে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে।
9)কিছুক্ষন নেড়ে তার মধ্যে আদাবাটা, জিরেরগুরো, টমেটো গুলো দিয়ে দিতে হবে।
10)তারপর ৫মিনিট ভালো করে মশলাটা কষাতে হবে।
11)এবার কষানো মশলার মধ্যে ভাজা আলু গুলো দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে তার মধ্যে মাছের মাথাগুলো দিয়ে দিতে হবে।
12)এরপর হালকা নেড়ে তার মধ্যে পরিমান মত গরম জল দিয়ে দিতে হবে।
13)তারপর সেটা ৫মিনিট ঢাকনা চাপা দিয়ে রাখতে হবে।
14)৫মিনিট বাদে ঢাকনাটা তুলে দেখবেন ঝোলটা একটু শুকিয়ে গেছে তারমধ্যে গুড়ো গরমশলা দিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
এটি সাধারণত ভাতের সাথে খেতে ভালো লাগে। আমার রান্না আপনাদের কেমন লাগলো আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
শুভরাএি।
ছোটোবেলায় মাঝে মধ্যে আপনার মত করে আমার মা এই রান্নাটি করতেন, কারণ ঝোল দিলে অনেক সময় মাথা কেউ খেতে চাইতো না(আমি বাদে) কাজেই এই ভাবে কষিয়ে অথবা মুড়ি ঘণ্ট করলে সবাই খুব উৎসাহ নিয়ে খেত। এখন মা নেই, আর না আছে আবদারের জায়গা।
আপনাকে জন্মদিনের হার্দিক শুভেচ্ছা রইলো, সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ্ থাকুন এই কামনা করি।
আমরা বেশিরভাগ সময় মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল খেয়ে থাকি। আজকে আপনার ভাগ করে নেওয়া রেসিপিটি দেখে একটি অন্য পদ শিখলাম। পরেরবার সেটা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।