ছেলেবেলার বান্ধবীকে আইবুড়ো ভাত - এর আমন্ত্রণ
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করে আমারও বেশ ভালো লাগে।
আজ আমি আমার কিছু ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে আপনাদের আলাপ করিয়ে দেব। এরা সবাই আমার একদম ছোটবেলার বন্ধু। সেই ছোট্টবেলা থেকে বেলা আজও আমাদের বন্ধুত্ব টিকে রয়েছে। প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, একই টিউশন ব্যাচ..... এই সব কিছু পেড়িয়ে সবাই সবার জীবনে এগিয়ে গেছে, সকলের নিজস্ব জগৎ তৈরি হয়েছে, তৎসত্ত্বেও বন্ধুত্ব ঠিক আগের মতোই রয়েছে।
এতগুলো বছরে বন্ধু -বান্ধব নেহাতই কম হয়নি। তবে সেই সবই হয়েছে প্রয়োজনে। প্রয়োজন মিটেছে তো বন্ধুত্বও হাড়িয়ে গেছে। আর বন্ধুর কথা বলতে গেলে আমাকে একটি বিষয় বলতেই হয়। আমার মূলত দুই ধরনের বন্ধু -বান্ধব রয়েছে। এক শ্রেণী যারা পড়াশোনায় খুব ভালো, যাদের কাছ থেকে পড়াশোনার বিষয়ে নানা তথ্য পাওয়া যায়, তবে এর বাইরে তাদের কাছ থেকে কোনো সাহায্য আশা করা যায় না। আর এক শ্রেণী যারা পড়াশোনার ব্যাপারে তেমন খ্যাতি অর্জন করতে না পারলেও মানুষ হিসেবে একদম খাঁটি। বিপদে পড়লে যে ভাবেই হোক সাহায্য করার চেষ্টা করবে। আর আজ আমি যে বন্ধু-বান্ধবদের কথা বলছি তারা এই দ্বিতীয় শ্রেণীতেই পড়ে। আমি মনে করি না বন্ধুত্বের মধ্যে ধনী-গরীব, মেধাবী- কম মেধাবী....এই বিষয় গুলো আসে বলে। যাদের সাথে ভাইবস্ ম্যাচ হয় তারাই আমার বন্ধু।
আমাদের এই বান্ধবীদের মধ্যে যারই বিয়ে বাঁধুক না কেন আমরা সকলে মিলে তাকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর একটা আয়োজন করি। আগামী ২৭ শে নভেম্বর আমাদের এই গ্রুপের একটি বান্ধবীর বিয়ে। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাকেও আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো আমাদের কর্তব্য। সে আমাদের কৃষ্ণনগরের একটি শপিং মলে কয়েক বছর যুক্ত আছে। তাই তার সময় হয়েই উঠছিল না। অনেক ডেট পরিবর্তন করে শেষমেষ একটা দিন ঠিক করা হলো। আর সেটা হলো আগামী কাল মানে রবিবার।
আমাদের এই গ্রুপে আমরা ছয় জন আছি। তাই আমরা সকলে মিলে সমান পরিমাণে টাকা দিয়ে যা অ্যামাউন্ট জড়ো করেছি সেই টাকা থেকে আমাদের সেই বান্ধবীর জন্য একটি শাড়ি, সায়া, ব্লাউজ আমরা কিনে নিয়েছি। আর সেই সাথে আমাদেরই আর একজন বান্ধবী নিজের হাতে একটা সুন্দর আইবুড়ো ভাতের নিমন্ত্রণ কার্ড বানিয়েছে। সেই নিমন্ত্রণ কার্ডটাই আজ আমরা তাকে দিতে গিয়েছিলাম।
সকলের যেহেতু সময় হয়ে উঠছিল না তাই আমরা তিনজন বান্ধবী আজ গিয়েছিলাম কার্ডটা দিতে। যাকে দিতে গিয়েছিলাম তার কিন্তু আজকেও ছুটি ছিল না। সে কোনো মতে মল থেকে টিফিন টাইমে বাড়ি এসেছিল আমাদের জন্য। আমরা তাকে কার্ডটা দিয়ে কালকের জন্য ইনভাইট করেছিলাম এবং দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে বেশ কিছু ফটো এবং ভিডিও করে রেখেছিলাম।
এরপর যেহেতু ওর সময় হয়ে আসছিল তাই আমাদেরকে টা-টা করে ও বেড়িয়ে পড়েছিল। ওই বান্ধবীর দিদি বৈবাহিক সূত্রে হায়দ্রাবাদ থাকে। দিদির সাথেও আমাদের সকলের খুব ভালো সম্পর্ক। তাই আমরা সকলে একজোট হয়ে কিছুক্ষণ গল্প করেছিলাম।
তারপর কাকিমা আমাদের দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করছিল। কিন্তু আমারা কেউ রাজি না হওয়ায় আমাদের জন্য নিমকি, দই,মিষ্টি এনেছিল। সেগুলো খেতে খেতে অনেক গল্প হল।
কিছুক্ষণ পর আবার চলে এলো পাঁপড় ভাজা। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অনেক গল্প করে আবার আমরা ফিরে এলাম।
এই ছিল আমার আজকের গল্প। আপনাদের সকলের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবার আগামীকাল চলে আসব নতুন কোন গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।
How can you still be a #newcomer with level 60?
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Sorry I didn't notice. I'll be careful next time.