ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন

in Incredible Indiayesterday (edited)

নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? সকলেই সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের লেখাটি শুরু করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

কয়েকদিন আগেই চলে গেছে ভ্যালেন্টাইনস ডে। প্রত্যেক প্রেমিক প্রেমিকারই এই দিনটা সেলিব্রেট করার নিজস্বতা রয়েছে। প্রত্যেকে নিজে নিজে মতো করে এই দিনটিতে তার ভ্যালেন্টাইন কে প্রসন্ন করার চেষ্টা করে থাকে। আর আমরা যেহেতু সদ্য এনগেজড হয়েছি সমস্ত ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে নিয়ে তাই এই বছর আমার ভ্যালেন্টাইনের সাথে ঘুরতে বেরোনোর ব্যাপারে কোনো বাধা ছিল না। তাই আমরাও আমাদের মত করে এই দিনটাকে সেলিব্রেট করেছিলাম। আসলে একটা সময় পরে সংসারের ঘেরাটোপে পড়ে নানা দায়িত্ব কর্তব্যের মাঝে এইসব দিন পরবর্তীকালে উদযাপন করা হবে কিনা সে তো আমরা কেউই জানি না, তাই এখন যখন আমাদের হাতে কিছুটা সময় আছে তাহলে এই দিন গুলো সেলিব্রেট করতে কোন বাধা নেই। চলুন তাহলে জেনে নিই এই দিনটা আমরা কিভাবে সেলিব্রেট করেছিলাম।

1000154965.jpg

অন্যান্য দিনের চেয়ে এই ভ্যালেন্টাইন ডে এর দিন গোলাপ ফুলের দাম অনেক বেশি থাকে ঠিক যেমনটা যুদ্ধের সময় আলপিন এর দাম বেড়ে যায়। দাম বাড়লেও গোলাপ ফুল যে বিক্রি হয় না, তা তো নয়। ফুলের দোকানগুলোতে ভিড়ে পা রাখা যায় না। কেউ ফুল কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে তো কেউ আবার ফুলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই তার ভ্যালেন্টাইন কে ভালোবাসা স্বরূপ ফুল গিফট করছে। এইসব নানা দৃশ্য দেখতে দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলাম একটা ফুলের দোকানে। সেখান থেকে আমার মন মত কয়েকটি ফুল সিলেক্ট করে ফুলের দোকানে দাদাকে বলেছিলাম এগুলোকে একসাথে করে সুন্দর একটা ফুলের তোড়া বানিয়ে দিতে। সেই দাদাও ঝটপট আমাকে বানিয়ে দিল। সেটা নিয়ে চলে এলাম বাড়ি। তারপর যখন আমার ভ্যালেন্টাইন আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে এসেছিল তখন তাকে আমি ওটা দিয়েছিলাম। খুব খুশি হয়েছিল। সেই সাথে আমার জন্য কিন্তু ফুল আনতে ভোলেনি।

1000154963.jpg

এরপর রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম আমাদের শহর থেকে খানিকটা দূরে একটা রেস্টুরেন্টে। উদ্দেশ্য যে শুধু খাওয়া-দাওয়া ছিল তা নয় বরং সেই রেস্টুরেন্টের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করাও কিন্তু এই উদ্দেশ্যের মধ্যেই ছিল। রেস্টুরেন্টে এতটাই সুন্দর যে বারবার সেখানে যেতে মন চাই। তবে খানিকটা দূরে হওয়ায় সব সময় তো যাওয়া হয় তা কিন্তু নয়। রেস্টুরেন্টের নাম 'কোজি কুঠির'। কয়েকদিন আগেই রেস্টুরেন্টি কে আবার নতুনভাবে সাজানো হয়েছে তাই এখনকার সৌন্দর্য্য আরো অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এই রেস্টুরেন্টটি কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে দিগ নগর বাজারের কাছে। NH 12 ধরে ১২.৬ কিলোমিটার যেতে হয়। আমরা সেখানে পৌঁছানো মাত্রই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য বেশ কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম।

1000154943.jpg

লোকেশন লিংক

এরপর আমরা আমাদের অর্ডার দিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু সেই দিন আমাদের আরো এক জায়গায় নিমন্ত্রণ ছিল তাই খুব হেভি খাবার কিছু নিই নি। শুধুমাত্র একটা পিজ্জা আর দুটো কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার দিয়েছিলাম। অর্ডার আসে বেশ লেট করছিল তাই সেই মুহূর্তে আমরা আমাদের মধ্যে গল্প করছিলাম এবং সেই সাথে বেশ কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম। ফটো তুলতে আমার বরাবরই ভালো লাগে, আর আমার পাশের জনটি একদম বিপরীত। নিজের ছবি তুলতে ভালো না বাসলেও আমাকে কিন্তু অনেক ছবি তুলে দেয়। তাই সুন্দর পরিবেশটা উপভোগ করতে করতে আমরা বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম।

1000154949.jpg
এরপর খানিক বাদে একজন স্টাফ এসে আমাদের দুটো বিস্কুট দিয়ে গিয়েছিল যেটা ওদের ওখানেই তৈরি করা হয়। ওরা সমস্ত কাস্টমারদেরই টেস্ট করার জন্য এই বিস্কুটগুলো দেয় আর কারোর যদি পছন্দ হয় তাহলে সেখান থেকে কিনে বাড়ি নিয়ে যেতে পারে। সত্যিই বিস্কুটগুলো খেতে কিন্তু দারুণ ছিল। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের পিজ্জা আর কোল্ড ড্রিংকস চলে এসেছিল। যেহেতু অনেক রাস্তা যেতে হয়েছিল তাই যেতে যেতেই বড্ড খিদে পেয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা ঝটপটা আমাদের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম।

1000154947.jpg
খাবার খাওয়ার পর আমরা ভিতরেই একটু ঘুরছিলাম। চারিদিকটা এত সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে যে দেখেই মনটা ভরে যায়। এত সুন্দর ডেকোরেশন এর মধ্যে ফটো না তুললে কি হয়, তাই অনেক অনেক ফটো তুলেছিলাম। আর সেই সাথে বেশ কিছু ভিডিও বানিয়েছিলাম।

1000154951.jpg

ফেসবুক ভিডিও লিংক

আর তাহলে এখানেই শেষ করলাম। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলেই জানাবেন আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Sort:  
 21 hours ago 

ভালোবাসা দিবসে আপনাদের ভালোবাসার গল্প পরিবেশ ভালো লাগলো সারাটা জীবন একসাথে চলুন সেই প্রার্থনা করছি।

 19 hours ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96170.07
ETH 2806.40
SBD 0.67