কৃষ্ণনগরের কিছু চোখ ধাঁধানো থিম ( সবচেয়ে উঁচু জগদ্ধাত্রী ঠাকুর, হাড়িয়ে যাওয়া ছেলেবেলা.......)
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আমি দুদিন আগে একটি পোস্টে আমাদের শহর কৃষ্ণনগরের প্রসিদ্ধ জগদ্ধাত্রী পুজোর কিছু মণ্ডপ এবং প্রতিমার ছবি ও ভিডিও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আরো অনেক প্যান্ডেল পরিদর্শনের ছবি ও ভিডিও আপনাদের সাথে শেয়ার করা বাকি রয়ে গেছে। সব তো দেখানো সম্ভব নয়, তবে এই বছর বেশ কিছু প্যান্ডেল এবং থিম আমার বেশ ভালো লেগেছে। আজ আমি শুধুমাত্র আমার ভালোলাগা সেইসব প্যান্ডেল এবং থিম গুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনারা অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আপনাদের কেমন লাগলো।
প্রথমেই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে উঁচু জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের সাথে, যেটি প্রতিভা ক্লাবের পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়। এটি আমাদের বাড়ির কাছেই হয়। প্রতিবছরই এখানে কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে উঁচু জগদ্ধাত্রী ঠাকুর তৈরি হয়। এটিই এখানকার প্রধান আকর্ষণ। আর এই ঠাকুর দেখতে বহু মানুষ জড়ো হয়।
ভিডিও-র লিংক শেয়ার করলাম |
---|
এরপর আপনাদের সাথে পরিচয় করাবো রায়পাড়া মালি পাড়ার একটি বারোয়ারীর প্যান্ডেলের। আমার এখানকার প্যান্ডেলটি ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর নিপুণ কাজ দিয়ে প্যান্ডেলটিকে সাজিয়েছে যে, যে কারোরই দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
ভিডিও-র লিংক শেয়ার করলাম |
---|
এরপর আরও একটি থিম এর সাথে আপনাদের পরিচয় করাবো। এখানকার থিমটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এখানকার থিম ছিল 'হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা'। আমরা আমাদের ছোটবেলায় যে ছেলেবেলাটা উপভোগ করেছি এখনকার দিনের বাচ্চারা সেটার ১% ও পায় না। খেলার মাঠ পায় না, ফাঁকা সময় পায় না, গল্প করার সঙ্গী পায় না....... সারাদিন পড়া , স্কুল আর ভালো মার্কস এর মধ্যেই ওদের জীবন সীমাবদ্ধ থাকে। এই বিষয়টাকেই এখানে ভীষণ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ভিডিও-র লিংক শেয়ার করলাম |
---|
এরপর আপনাদের দেখাবো কাপড় এর অসাধারণ একটি প্যান্ডেল। বাইকে করে যাওয়ার পথে, বাইকে বসেই ফটো এবং ভিডিওটি তুলেছিলাম। আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছিল ।আপনাদের কেমন লাগলো?
ভিডিও-র লিংক শেয়ার করলাম |
---|
এরপর আমরা চলে গিয়েছিলাম ঘূর্ণীর ঠাকুর দেখতে। প্রতিবছর ঘুর্ণীতে খুব ভালো থিম করে। তবে এই বছর ঘুর্ণীর সেই রকম উচ্ছ্বাস চোখে পড়ল না। অনেক জায়গাতেই বর্তমানে উদ্যোক্তার অভাবে পুজো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা কোনক্রমে পুজোটুকু হচ্ছে। আগেকার মতো সেই যে মানুষের ঢল, সেটা এ বছর ঘূর্ণীতে চোখে পড়লো না। ঘূর্ণীর একটি জায়গায় প্যান্ডেলে লাইটিং ভালো লেগেছিল, সেটাই ক্যাপচার করেছিলাম।
ভিডিও-র লিংক শেয়ার করলাম |
---|
এছাড়াও ঘূর্ণীতে এক জায়গায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা 'রানার' কবিতাকে ভিত্তি করে একটি অসাধারণ তিন করেছিল। তবে সেটা আর ক্যাপচার করা হয়নি।
এরপর দেখেছিলাম রাধানগরের কৃষ্ণ মাতাকে। এখানে একটি সাবেকি বাড়ির থিম করেছিল। বাড়িটা দেখে মনে হচ্ছিল যদি এরকম একটা বাড়ি থাকতো কি ভালোই না হতো। সারাদিন শুধু ফটো তুলতাম।
এরপর রাধানগর থেকে খানিক দূরত্বেই আরো একটি বারোয়ারী আছে সেখানে দেখেছিলাম শিব তাণ্ডব। এখানকার প্যান্ডেলটিও অসাধারণ করেছিল।
ভিডিও-র লিংক শেয়ার করলাম |
---|
এরপর আমরা চলে গিয়েছিলাম কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে বিখ্যাত ঠাকুরটিকে দর্শন করতে। যাকে না দেখলে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে আসাই বৃথা। তিনি হলেন আমাদের সকলের ভালোবাসার 'মা বুড়িমা'। একবার এখানে না এলে বোঝা যাবে না ঠিক কত সংখ্যক মানুষ এখানে জমায়েত হন শুধুমাত্র মায়ের মুখখানি দেখার জন্য। আমরা সকল কৃষ্ণনগরবাসী এই মাকে ভীষণ ভক্তি করি এবং আমরা মনে মনে বিশ্বাস করি মায়ের কাছে মন থেকে কিছু চাইলে মা কখনোই ফেরান না।
এছাড়াও আমরা আরো বেশ কিছু মণ্ডপ পরিদর্শন করেছিলাম। তার কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
তাহলে আমাদের কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো আপনাদের কেমন লাগলো? সুযোগ পেলে অবশ্যই একবার আমাদের এখানকার জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দর্শন করতে আসবেন। আশা করছি আমাদের শহর আপনাকে নিরাশ করবে না। তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোন গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।