শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বিশেষ দিক
নমস্কার বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন । আশা করি সকলেই বেশ ভালো আছেন। আজ বলবো একটু অন্যরকম কথা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের মনোযোগ আমার বিশেষ কিছু কৌশল ব্যবহার করা হয়। যে কৌশল গুলি আমরা বুঝতেও পারি না।
জিজ্ঞাসা করবেন কি কৌশল দিদি ? সেটাই বলবো আজ। যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে তারা প্রত্যেকেই উচ্চ মেধা সম্পন্ন হয় না মধ্য ও নিম্ন মেধা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরাও থাকে। তাই সেই মধ্য ও নিম্ন মেধা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি যাতে আগ্রহ জন্মায় এবং বিদ্যালয়ে আসার প্রবণতা যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য তাদেরকে এমন কিছু হাতের কাজ দেওয়া হয় যে কাজটা করতে গিয়ে তাদের অনেক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ।এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ তাদের হাতের কাজ দেখে বুঝতে পারেন কে কতটা মনোযোগ সহকারে সেই কাজটি করেছে।
আমরাও শৈশবে এরকম অনেক হাতের কাজ করেছি যে কাজগুলি মধ্যে দিয়ে আমাদের মনোযোগীতার প্রকাশ পেয়েছে। একটা কথা সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দের ট্রেনিং এর মাধ্যমে শেখানো হয় কিভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজ শিখিয়ে তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ আনা হবে। এবং দেখা যায় এই হাতে-কলমে কাজ শেখানোর মধ্যে দিয়ে শ্রেণীকক্ষের শেষ বেঞ্চে বসা ছাত্রটির মধ্যেও পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা যায়।
আমরা সকলেই জানি ভালোবাসা দ্বারা সব সম্ভব, কিন্তু জোর করে কোন কৌশল ব্যবহার করে কখনো কাউকে কোন কাজ করানো যায় না। সেজন্যই আমাদের পাঠ্যপুস্তক গুলিতে ও হাতে-কলমের কাজ থাকে যাতে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক পড়াই নয় পাঠ্যপুস্তক পড়ার সাথে সাথে তার হাতে কলমে কাজও করা যাতে করে যা পড়া হয়েছে তা যেন মাথা থেকে বেরিয়ে না যায়।
আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব আমার ছোট বোনের ছেলেদের স্কুলে বাচ্চাদের হাতের কাজের মধ্যে দিয়ে কি করে পড়াশোনার প্রতি আরো মনোযোগী করে তোলা হচ্ছে। বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন রকম কাজের মধ্যে দিয়ে তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেগুলি আপনারা দেখলেও বুঝতে পারবেন কোন কাজটি কতটা মনোযোগ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এমন অভিজ্ঞতা আপনাদের থাকলেও আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন।
স্কুলে পড়া কালীন এরকম হাতের কাজ সকলকেই করতে হয়। তবে আমাদের ছোটবেলায় এইরকম হাতের কাজ আমরা করিনি। আমার মনে হয় মেয়েদের হাতের কাজ হয়তো একটু আলাদা হয়। বাচ্চাগুলো হাতের কাজ দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনি আজকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, একজন শিক্ষকই পারে তার শিক্ষার্থীদের কে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। শিক্ষক রাই একজন দুর্বল স্টুডেন্টকে আরো মনোযোগী করতে সহায়তা করতে পারে।
এরকম হাতের কাজ দিলে এবং শিক্ষার্থীদের যদি টিচারের সাহায্য করে তাহলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয়। অনেক সময় একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীর জন্য যে জিনিসটা করতে পারে তা হয়তোবা পিতা-মাতাও করতে পারে না।
শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা আমি সবসময় সম্মান করি এই পেশাকে।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা শুধু বই পুস্তক পড়ে। বই পুস্তকের পাশেও যে আরো অনেক শিক্ষা আছে সেটা ভুলে যায়। শিক্ষার্থীদের হাতের কাজগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। তাদের নিজের হাতের এত সুন্দর বাড়ি বানানো দেখে বোঝা যাচ্ছে তারা অনেক মনোযোগ দিয়ে বাড়িগুলো তৈরি করেছে। এই কাজগুলো শিক্ষার্থীদের আরো মনোযোগী করে তোলে। আমি মনে করি এরকম উদ্যোগ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেওয়া উচিত।
ভালো থাকবেন দিদি।