Incredible India monthly contest of September#1|My choice of food!
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আমাদের কমিউনিটির পক্ষ থেকে @meraindia (M0D) দারুন একটি বিষয় নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন , তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট লিংক. |
---|
আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক চাহিদাগুলোর ভিতর খাদ্য হলো ১ম । দেশ ও অঞ্চল ভেদে এই খাদ্যের তালিকা ভিন্ন হয়ে থাকে ।কারো কাছে মিষ্টি ভালো লাগে অথবা কারো কাছে টক , ঝাল ভালো লাগে।
এখান থেকে আমরা অনেকের পছন্দের খাদ্যের তালিকা জানতে পারবো। আমি আমার অংশগ্রহণ পোস্ট নিয়ে এসেছি । অংশগ্রহণ করার পূর্বে আমার প্রিয় স্টিমিনিয়াম বন্ধুদের @alanasteemit, @nancy0, @fannyescobar কে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আশা করি তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের প্রিয় খাদ্যের তালিকা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
✅ What will be your choice of food, Spicy, sweet, or Sour(choose one)? Share original photos(optional)! Can use copyright-free pictures)! |
---|
আমাদের দেহের বৃদ্ধি এবং দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করার জন্য আমাদের খাদ্য খেতে হয় ।সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা বেশিরভাগ সময় স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করে থাকি ।অনেক সময় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আমাদের ভালো নাও লাগতে পারে তাই মাঝে মাঝে পরিবেশ এবং মানসিকতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম খাবার খেতে পছন্দ করি ।
পহেলা বৈশাখ বাঙালিরা পান্তাইলিশ খুব পছন্দ করে তেমনি শীতের দিনে পিঠে, পায়েস বাঙ্গালীদের খুব পছন্দের খাদ্য ।আমিও এর ব্যতিক্রম নই তবে আমি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য থেকে টক, ঝাল এই জাতীয় খাবার গুলো খুব পছন্দ করে থাকি।
আমি নিজে যতটা খেতে পছন্দ করি তার থেকে নতুন নতুন খাবার রান্না করে অন্যদের খাওয়াতে বেশি পছন্দ করি ।যখন বৃষ্টি হয় তখন আমার খিচুড়ি এবং ইলিশ মাছ ভাজা খুবই ভালো লাগে ।
প্রচন্ড গরমে রান্না করতে করতে যখন ক্লান্ত হই তখন আইসক্রিম খেতে খুবই ভালো লাগে ।
বিকেল বেলা চিকেন ফ্রাই, পিজা এইসব খাবার আমার বেশি ভালো লাগে।
আর সব থেকে ভালো লাগে আমার মন্দিরে গিয়ে প্রসাদ পেতে ।আমরা বাসায় যতই মাছ মাংস রান্না করি না কেন মন্দিরের প্রসাদ আমার কাছে অমৃতের মত লাগে ।যতই কষ্ট করি না কেন মন্দিরে আসলে আমি প্রসাদ নেওয়ার চেষ্টা করি।
আচার হলে তো আমার কোন কথাই নেই, খিচুড়ির সাথে আচার না হলে জমে না। আমি প্রতি বছর আচার তৈরি করার চেষ্টা করি এবং পরিবারের সদস্যরা আমার আচারের খুব প্রশংসা করে থাকে ন।আমার কাছে সেটি খুব ভালো লাগে। আমি অতিরিক্তই আচার পছন্দ করি এবং অতিরিক্ত খেয়ে থাকি যার জন্য অনেক সময় আমাকে বকা শুনতে হয় ।
✅ Do you believe we must not waste food like water? share reasons behind your answer! |
---|
হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র মাধ্যম হলো খাদ্য আর এই খাদ্য উপার্জন করার জন্য অনেকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। দু মুঠো ভাতের জন্য মানুষ বড় বড় চাকরি করে / ব্যবসা করে /কেউ রিক্সা চালায় / দিনমজুরি করে থাকে ।আমরা অনেক সময় খাদ্য অপচয় করি, বিশেষ করে কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে অথবা বাসায় অতিথি আসলে দেখা যায় বেঁচে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার গুলো আমরা ফেলে দেই ।
আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য প্রয়োজন তেমনি অতিরিক্ত খাদ্য আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারন হকে পারে। খাদ্য অপচয় করা উচিত নয় কারণ অনেক অনেক ক্ষুধার্ত লোক আছে যারা একবেলা খেতে পারেনা। আমাদের বেঁচে যাওয়া খাবার আমরা নষ্ট না করে ভালো থাকা অবস্থায় ক্ষুধার্ত লোকের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া অনেক ভালো ।তাতে খাবারও নষ্ট হলো না আর ক্ষুধার্ত লোক এক বেলা খাবার পেলো।
আর ছোটবেলা থেকে মা ও দিদার কাছে শুনে এসেছি ,ভাত হলো অন্ন আর এই অন্ন অপচয় করা লক্ষ্মী মা একদমই পছন্দ করে না। এমনকি আমরা মেয়েরা ভাত রান্না করার জন্য যখন চুলায় হারিটি বসিয়ে দেই তখন প্রণাম করে হারিটি বসাতে হয় ।
একটি ছোট গল্প শেয়ার করছি
এক গৃহ বধু বাবার বাড়ি বেড়াতে যাবে তখন শাশুড়ি বললেন, চাল ধুয়ে হাড়িতে দিযে যাও আমি নামিয়ে নিব। গৃহিণী ভাত রান্না করার জন্য চাল ধুয়ে ভাতের পাতিলে দিল এবং তিনি বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পরলেন কিন্তু মাঝপথে তিনি দেখেন, তার হাতের শাখার ভিতরে কিছু চাল লেগে আছে তিনি সঙ্গে সঙ্গে আবার বাড়ি ফিরে আসলেন এবং সে চাল দুটি পাতিলে দিয়ে দিলেন। এথেকে আমরা বুঝতে পারি যে, একটি চাল অথবা একটি ভাতও আমাদের অপচয় করা উচিত নয় তাতে লক্ষ্মী মা রুস্ট হন।
এগুলো দিদা ও মায়ের কাছে সোনা গল্প, আমিও তাই বিশ্বাস করি। লক্ষ্মী হল অন্নপূর্ণা দেবী আর আমাদের গৃহিণীদেরও সব সময় একটু সচেতন হওয়া উচিত । আজ যদি খাবার খেলে দেই কালকে তো আমি খাবার নাও পেতে পারি ।
✅ How long can you be apart from your favorite taste or food? |
---|
প্রিয় খাবার বলতে এক এক বয়সে এক একটা খাবার খুব প্রিয় থাকে ।বিশেষ করে বাঙালি মেয়েদের ছোটবেলার প্রিয় খাবারগুলো শশুড় বাড়ি এসে অনেক সময় ভুলে যেতে হয় । এখন বেশিরভাগ প্রাধান্য দেওয়া হয় ,মেয়ে কি পছন্দ করে, স্বামী কি পছন্দ করে অথবা বাসায় অতিথি আসলে তারা কি পছন্দ করে ,সে অনুযায়ী বেশিভাগ রান্না করা হয় ।
ছাত্র জীবনে ফুচকা খুবই পছন্দ করতাম ।প্রতিদিন বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে এক প্লেট ফুচকা খেতেই হবে, এটা আমার প্রতিদিনের রুটিনে পরিণত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু এখন সেই অভ্যাসটা নেই ।আজও ফুচকা পছন্দ করি তবে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে প্রতিদিন খাওয়া হয় না ।
আমার প্রিয় খাবার থেকে আমি একমাস আলাদা থাকতে পারি ।আইসক্রিমটা আমার খুবই প্রিয় ছিল একসময় কিন্তু এখন মোটা হয়ে যাব সেই চিন্তা করে ততটা খাই না। তবে আমার বাসায় সব সময় আইসক্রিম থাকবে , সাত দিন পর হলেও একদিন আমি খাই খেয়ে থাকি।
✅ Do you believe food is one of the major reasons we are working in daily life? Justify! |
---|
আসলে মানুষের চাহিদার শেষ নাই ।যারা দিনমজুর, তারা দুবেলা খাবারের জন্য অনেক পরিশ্রম করে থাকে এবং এই দুবেলা খাবারের জন্য তারা বেঁচে আছে। তারা অনেক খাবার খেতে চায় কিন্তু বর্তমান দ্রব্যমূল্য এত বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের দৈনন্দিন জীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে দুবেলার ভাত-ডাল যোগাড় করা অনেক কষ্ট হয়ে যায় ।
অন্যদিকে, উচ্চাবিলাসী ধনী ব্যক্তিরা শুধু ভাত-ডালের জন্য নয় , তাদের লাইফ স্টাইলট অন্যরকম। তাদের যত টাকা থাক না কেন বা যতই খাদ্য থাকুক না কেন তারা আরো অর্থ উপার্জন করা নেশায় ডুবে থাকে । তাদের ভোগ বিলাসের চাহিদা পূরণ করার জন্য অনৈতিক কাজও তারা করে থাকে। ছোট চোর হয়তো বা তাদের নেশার টাকা উপার্জন করার জন্য চুরি বা ছিনতাই করে থাকে।
যারা বড় বড় দুর্নীতিবাজ তাদের চাহিদা অনেক। তারা সাধারণ জনগণকে ঠকিয়ে বিশাল বিশাল টাকার পাহাড় তৈরি করে ,তারপরেও তাদের টাকার ক্ষুধা থেকে যায় । এমন ধনী দেখা গেছে টাকা থাকা সত্ত্বেও তারা কিন্তু ততটা খেতে পারে না। তাদের বাসায় পোলাও মাংস অনেক ধরনের খাবার রান্না করা হলেও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তারা ততটা খাবার খেতে পারে না , শুধু দু’পিস রুটি ও এক বাটি সবজি ।
বাঙালি গৃহিণীদের তিনবেলা রান্না করতে করতে দিনের বেশিরভাগ সময় চলে যায় ।সকালে কি রান্না হবে ,দুপুরে কি রান্না হবে এবং রাতে কি রান্না হবে , এই চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি এবং ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চিন্তা করি , কালকে সকালে কি নাস্তা তৈরি করব।
খাবার আমাদের যেমন বাঁচিয়ে রাখে তেমনি অতিরিক্ত খাবার খেলে আমাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয় তাই সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করব । যতটা সম্ভব ক্ষুধার্তদের সাহায্য করবো ,খাবার অপচয় করবো না দরকার হলে বেঁচে যাওয়া খাবার রাস্তার অবলা পশুদের কে দিয়ে দেব ।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হবেন। দ্রুত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে আপনাদের পছন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |
X
https://x.com/muktaseo/status/1834868704108310859
আপনি খুব সুন্দর ভাবে পোস্টটি লিখেছেন।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর নিখুঁতভাবে এবং সুন্দরভাবে দিয়েছেন। পোস্ট এর শুরুতে আপনি খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য লেখার মাঝে সুন্দর একটি ছোট গল্প উপস্থাপন করেছেন যা সত্যি ই অনেক গোছানো ছিল।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বর্তমানে এমন সমস্যা হচ্ছে, যাদের খুদা আছে কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য নেই। আবার যাদের অনেক অনেক খাবার আছে হয়তোবা শারীরিক অসুস্থতার জন্য তারা খেতে পারছে না ।
দেখা যাচ্ছে দিন দিন ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে আর গরিবরা আরো গরিব হচ্ছে।
সেদিন আমি এক রিক্সা চালকের সাক্ষাৎকার শুনেছিলাম যে, তিনি আগের দিনে রিক্সা চালিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন ভালো খাবার খেতো আর বর্তমানে সে তার থেকে বেশি পরিশ্রম করছে কিন্তু সপ্তাহ তো দূরে থাক মাসেও একদিন সে ভালো খাবার খেতে পারছে না। এখন তাদের তিন বেলার স্থানে দুবেলা খাবার খেতে হচ্ছে ।
আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
Hola hola. Amiga gracias por la invitación te deseo mucho éxito. Un abrazo.
আপনি পোস্টটি খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। কনটেস্টটা যেমন সুন্দর তেমনি আপনার লেখাটাও খুব সুন্দর হয়েছে। সুন্দরভাবে সব প্রশ্নের উত্তরগুলি আপনি লিখেছেন। আপনার সমস্ত উত্তরগুলি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
বরাবরই আমাদের এই কমিউনিটির প প্রতিযোগিতার বিষয় খুবই আকর্ষণীয় থাকে ।এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগছে । আসলে বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে ,বিশেষ করে মহামারী ( কোভিড 19) পর থেকে অনেক মানুষই ক্ষুধার্ত ।
তবে এই ক্ষুধার্ত মানুষ যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি ধনী ব্যক্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে ।কিছুদিন আগে অনলাইন মাধ্যমে একটি ভাইরাস ছবি দেখে আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। কোন দেশ সেটা আমার সঠিক মনে পড়ছে না।
মৃত প্রায় শিশুর কাছে একটি শকুন বসে আছে। শিশুটি খাদ্যের অভাবে ও পুষ্টিহীনতায় এতটাই কাবু হয়ে আছে সেই শিশুটি কখন মারা যাবে তারপরে শকুনটি তাকে খাবে ।এই ছবিটা যখন ফটোগ্রাফার তুলেছিলেন তখন থেকে সেই ফটোগ্রাফার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। আসলে আমরা যারা খেতে পারছি তারা খাবারের কষ্ট বুঝতে পারি না । অনেক খাবার হয়তোবা অপচয় করছি কিন্তু একজন ক্ষুধার্ত মানুষ জানে একদিন না খেয়ে থাকার কত কষ্ট ।
আপনার লেখাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনার দেখানো খাবারগুলো। তবে আপনি খাবারের মধ্যে সবকিছু সুন্দর খাবার হচ্ছে মাছ ভাজি। কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানুষের শরীরের জন্য খাবার আবশ্যকই একটা জিনিস, খাবার ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না, তবে সকল মানুষের উচিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, আপনার পছন্দের খাবারের তালিকা দেখে খুব ভালো লাগলো, আপনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, আপনি খাওয়ার তুলনায় রান্না করে অন্যকে খাওয়াতে বেশি পছন্দ করেন, আপনার জন্য শুভকামনা, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।