Better Life With Steem | The Diary game | 25th November | Rag Day.
Made by Canva |
হ্যালো,
স্টিমিট বন্ধুগন,
সকাল |
---|
অন্যদিন আমি প্রথমে উঠি তারপর মেয়েকে ডেকে তুলতে হয় কিন্তু আজকে যেহেতু তার Rag Day ছিল সেই আনন্দে যেন রাত ছোট হয়ে গেলো । সে ভোর রাত ৫ টার সময় ঘুম থেকে উঠে গেছে ।আমাকেও ডেকে তুললো ।আজ আনন্দ লাগছে আবার মনে মনে কষ্ট পাচ্ছে। যে তার চিরচেনা স্কুলটি ছেড়ে যেতে হবে ।সহপাঠীদের ছেড়ে যেতে হবে।
দিনটি যেমন আনন্দের তেমনি বেদনাদায়ক । আজকে স্কুলে যেতে হবেসকাল ৭:৩০ মিনিটে । মামনি আজকে তাড়াতাড়ি স্কুলে যেতে হবে। ঘুম থেকে উঠে গেলাম তাকে রেডি করে দিলাম এবং আমিও ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। কিন্তু সে সকালে কোন খাবার খেতে চাচ্ছেনা। আমরা সকাল ৭:৩০ মিনিটে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
স্কুলে পৌঁছে দেখি ম্যানেজমেন্টের মেয়েরা এসেছে । সব কিছু সাজান নিয়ে ব্যস্ত সবাই ।ওরা ওরাই সবকিছু আয়োজন করছে। টিচারদের গিফট নিজেদের” ফ্লাশ মুড” অংশগ্রহণ ,গান নাচ ও খাবারের ব্যবস্থা সবকিছু আয়োজন করেছে মেয়েরা।
ওদের জনপ্রতি নিয়েছে ১৫০০টাকা (62.5 Styeem) করে । এই প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণিতে এডমিশন টেস্ট দিয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। সেই ভর্তি পরীক্ষা ছিল এক কঠিন পরীক্ষা ।ক্লাস টু তে বাচ্চারা যে পরিশ্রম করেছিল। বাচ্চাদের সঙ্গে অভিভাবকগন অনেক পরিশ্রম করে। অনেক সাধনার পরে তারা এই গোলাপি ড্রেসটা পড়ার সুযোগ পায়।
চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কিভাবে যে কেটে গেলো ।আজ Rage Day তাই মেয়েরা আনন্দ উল্লাস করে তাদের এই সুন্দর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য পালন করে থাকে ।অবশ্য Rag Day সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ ।কিন্তু এটি বাচ্চারা তাদের স্কুলের ভিতরে করেছে এবং নিয়মের ভেতর রেখে করেছে ।প্রিন্সিপাল ম্যাম অনেক সহযোগিতা করেছেন ।
মেয়েরা সবাইকে তাদের উপহার গুলো দিয়ে দিল । ফ্লাশ মোডের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল মেয়েরা ।অভিভাবকরা বসে তা দেখতেছি আর আমাদের সেই ফেলে আশা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়।
আমাদের Rage Day ছিল না, বিদায় অনুষ্ঠান ছিল ।আমাদের সময় মিল্লাত পড়ানো হতো । আমরা টিচারদেরকে গিফট দিতাম আর ছোটখাটো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো, খাবার দাবার হত তাতে সীমাবদ্ধ থাকতো আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাচ্চারাও আধুনিকতা ও ইন্টারনেটের যুগে বাচ্চারা এই দিনটিকে কান্নায় নয় হাসির মাধ্যমে বিদায় দিতে চায়, তাইতো এত আয়োজন ।
দুপুর |
---|
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ছিল তাই আমিদুপুর ১২টার সময় বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে গোসল করে প্রার্থনা করে নেই এবং আমি রান্নাটা করে নেই। আজ দুপুরে এই প্রথম একা একা দুপুরের খাবার খাচ্ছি। জানিনা মেয়েটার কষ্ট লাগতেছে কিনা কিন্তু আমার ভীষণ কষ্ট লাগছে ।
এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর সেই যে কঠিন যুদ্ধ ।আজও সেই দিনটির কথা ভীষণ মনে পরে। দেখতে দেখতে দিনগুলো যে কবে পার হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি ।আজ সময় যেন কাটছে না দুপুরের খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিলাম ।
বিকেল |
---|
বিকেল চারটায় সময় স্কুলে যাই তখন অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম চলছিল ।ওরা Rag Day আয়োজনে ফুসকা রেখেছিল । যেহেতু ফুচকা আমিও ভালোবাসি ।আমিও এক প্লেট ফুচকা খেলাম। ফুচকা অনেক মজা হয়েছিল ।এর সাথে বিভিন্ন রকমের পানি ছিল।যেমন:- নাগা পানি, মিষ্টি পানি লেবু পানি, জিরার পানি ভালোই ছিল। প্রিন্সিপাল ম্যাম তাদের অনেক কিছু দিকর্নিদেশনা দিয়েছেন ।
সন্ধ্যা ও রাত |
---|
পাঁচটায় মেয়েকে বলি মামনি চলো বাসায় যাই ।মেয়ে বলছে আরও কিছুক্ষণ থাকি না ।এখন তো আর এই স্কুলে আসবো না।তাই আর কিছু সময় ওদের সাথে থাকি ।আমাদের বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল ।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সন্ধা প্রার্থণা করি। সেও ক্লান্ত ছিল তাই কিছু সময় রেস্ট নিয়ে, হালকা নাস্তা করে, সে আবার বই পড়তে বসল।
রাত 9 টায় আমাদের টিউটোরিয়াল ক্লাসে যুক্ত হলাম এবং আমাদের এডমিন ম্যামের গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনলাম । ক্লাস শেষ হতে হতে আমাদের রাত ১১টা বেজে গেল । রাতের খাবার খেয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম । তাই পোস্টটি এখন করছি ।
আপনাদের বিদায় অনুষ্ঠান কিভাবে ছিল কমান্ডের মাধ্যমে জানাবেন ।২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া করবেন । আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সন্তানদের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
আপনার মেয়ের বিদায় অনুষ্ঠান খুব সুন্দর এবং মনোগ্য ছিল। আমি আপনার পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়েছি। আসলে ছেলেমেয়েদের মানুষের মতো মানুষ করতে হলে বাবা-মাকে কত কষ্ট এবং পরিশ্রম করতে হয় তা বলে বোঝানো যাবে না। তবে আমার মনে হয়েছে আপনি একজন আদর্শ অভিভাবক যা আপনার বাচ্চার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে বদ্ধপরিকর। তবে আমার এই Rage Day টিকে একটা অপসংস্কৃতি মনে হয় যদিও বাচ্চাদের আনন্দ উল্লাসের জন্য একটা মোক্ষম সময় হয়। এটা কিন্তু আমার নিজস্ব ব্যক্তিগত মতামত। যাহোক আপনি পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল ভালো ছিল। সামনে আর সুন্দর পোস্ট নিয়ে হাজির হবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবা। বাবা-মা শুধু দিকনির্দেশনা দিতে পারে। পড়াশোনা ইচ্ছা হলো ছাত্র-ছাত্রী উপরে। ওদের জন্য দোয়া করবেন।
it was very good to read your diary. I liked the most that you went to the rag day of your girl. Thank you very much for sharing with us.
পোষ্টিট পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সকল বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকে তার সন্তানকে নিয়ে।
https://twitter.com/muktaseo/status/1728913647295139977
স্কুলের শেষ দিন আসলেই খুব স্মরনীয় একটা দিন।বাচচাদের সাথে সাথে মায়েদেরও।অনেকগুলো বছর যাদের সাথে একসাথে চলা ফেরা ছিলো। তাদেরঅনেক এর সাথেই আর তেমন ভাবে যোগাযোগ থাকে না এই দিনের পর।তাই এই বিদায় শুধু বাচ্চাদের বিদায়ই না অভিভাবকদেরও শেষ দিন বলা যায় একদিক থেকে।
এত সুন্দর করে আপনার মেয়ের স্কুলের এই দিমের বর্ননা দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বাচ্চারা যেমন বাচ্চাদের বন্ধু হয় তেমনি অভিভাবকদের মধ্যেও বন্ধু হয় । এই বন্ধুত্ব আর পাওয়া যায় না।
আপনার জন্য রইল শুভকামন।
স্কুলে বিদায় অনুষ্ঠানে যেমন আনন্দ তেমনি ভাবেই বেদনাদায়ক কেননা দীর্ঘদিন যাবত কত বন্ধু বান্ধবী হয়েছে তাদের থেকে বিদায় নেওয়াটা অনেক কষ্টের আবার অন্যদিকে স্কুল শেষ করে অন্য আরেক জায়গায় ভর্তি হওয়াটা অনেক আনন্দদায়ক।
আপনি কি অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
স্কুল জীবন হল জীবনের সোনালী দিন। জীবনে অনেক বন্ধু আসবে কিন্তু স্কুলের বন্ধুদের মত বন্ধু হয় না।
আপনার জন্য রইল শুভকামন।
স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান সত্যি অনেক হৃদয়বিদারক। আমরা সকলেই জানি যে জীবন প্রবাহমান। আমরা এক যায়গায় কখনো স্থির হয়ে থাকতে পারি না। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি সব কিছু থেকেই আমাদের বিদায় নিতে হয়। পরে থাকে শুধু কিছু স্মৃতি। স্মৃতিগুলো চাইলেই আমরা মধুর করতে পারি।
আপনার পুরো লিখাটি পড়ে আমার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু মহুর্ত মনে পরে গেলো। আমরাও স্কুল জীবন থেকে একসময় এভাবে বিদায় নিয়েছিলাম। সব বিদায় কিন্তু দুখের হয় না, কিছু কিছু বিদায় হয় সুখের।
আপনার লিখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ ছিলো। ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই আপনি সঠিক বলেছেন ,Rag day হলো আমাদের জীবনের একটি মূল্যবান সময় ।এই দিনটি আমরা আর ফিরে পাবো না ।দশটি বছরের সাধনার পরে এই দিনটি আসে ।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
আমার সম্পূর্ণ লেখাটি আপনি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এসএসসি পরীক্ষা আমাদের জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা হয়ে থাকে ।শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে বাবা-মায়ের অনেক চিন্তা কাজ করে ।বাচ্চাটা কেমন রেজাল্ট করবে? তার ভবিষ্যৎ কেমন হবে? সব কিছু নির্ভর করে এই রেজাল্টের উপর ।
আমাদের জন্য দোয়া করবেন ।এভাবেই পাশে থাকবেন । আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।
এখন আর আগের মত দোয়া মিলাত হয় না। এখন ধুম ধাম গান বাজনা ও রায়গ ডে হয়। স্কুল ড্রেস জুড়ে সহপাঠীরা লিখে ভরিয়ে ফেলে। এটাই এখন সংস্কৃতি হয়ে দাড়িয়েছে।
সুন্দর ভাবে আপনার বাস্তব ও পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন। ধন্যবাদ।
হ্যা ভাইয়া আপনি সঠিক বলেছেন। এখন শুধু ডিজে গান । তাই তো সরকার এটাকে নিষেধ করছেন।
আামাদের প্রধান শিক্ষক অনেক সচেতন। সে বাংলা ছাড়া অন্য কোন গান গ্রহন করে না।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
আজকের পোস্ট পরিদর্শন করে ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি চোখের সামনে ভাসতে লাগলো। সবাই মিলে আনন্দ উৎসব করা বিদায়ের সকাল বেলা টা বেশ আনন্দে কেটে যায়। কিন্তু যখন বিদায় নেয়া হয়। তখন চোখের কোনে জল আসবে এটাই স্বাভাবিক।
ফেলে আসা দিনগুলো সত্যিই অনেক মধুময় ছিল।কেননা সেই দিনে একজন আরেকজনের সাথে কত খুনসুটি, যে জামার মধ্যে কলম দিয়ে লিখে দেওয়া। আজকে আপনার পোস্টে তেমনই একটা ফটোগ্রাফি দেখে। সেই কথাগুলো আবারও মনে পড়ে গেল। অনুষ্ঠানে আপনিও বেশি আনন্দ করেছেন, ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম।
জীবনের প্রত্যেকটা দিন যদি এমন মধুময় হতো। তাহলে হয়তো বা জীবনটা আরো অনেক সুন্দর হতো। চমৎকারভাবে একটা দিন পার করেছেন সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
পুরনো স্মৃতিগুলো আমাদের সামনে ভবিষ্যৎকে আরো সুন্দর করতে সাহায্য করে । ছাত্র জীবনের এই কঠিন এবং সুন্দর সময়টি আমাদেরকে পাড়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উপহার দিতে।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমরা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । এভাবে সাথে থাকবেন এবং আপনাদের সমর্থন আমাকে আরো ভালো কাজ করার উৎসাহ বাড়িয়ে দেয় ।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।