Better Life with Steem|| The Diary Game||বোনের ভালোবাসা ||17/01/2025||
Hello,
Everyone,
আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন মানসিকভাবে সুস্থ থাকার কিন্তু শরীর সুস্থ না থাকলে আমাদের মন ভালো থাকে না তাই আমরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারিনা । শারীরিক অসুস্থতার সাথে সাথে মনে নানান দুশ্চিন্তে বাসা বাঁধে। নিজেকে খুবই অলস মনে হচ্ছে। এই অলসতা আমার একদম ভালো লাগেনা।
সৃষ্টিকর্তার কাছে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে হয় যে, এত সুন্দর করে মানুষ তৈরি করেছো তবে তার কেন এত সমস্যা দিয়েছো ? আবার নিজেই হেসে নিজেকে বোঝাই “দুঃখ গুলো আছে বলেই তো আমরা সুখ গুলো স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাই, যদি দুঃখগুলো আমরা না বুঝতে পারতাম তাহলে সুখের মর্ম বুঝতে পারতাম না ”।
এ জীবনে সুখের পাশাপাশি দুঃখ আসা দরকার তেমনি সব সময় সুস্থ থাকার পাশে মাঝে মাঝে ছোটখাটো অসুস্থতাও দরকার তাহলে কাছের মানুষগুলোকে খুব ভালোভাবে চেনা যায়। আর মেয়েদের জীবন হলো রোবটের মতো, তাদের মুখ বুজে সমস্ত কাজ করতে হবে কিন্তু কোন অসুস্থ হলে চলবে না ।হাসিমুখে সবার জন্য সমস্ত কিছু করতে হবে কিন্তু যদি সে একদিন নিজে অসুস্থ থাকে তখন বোঝা যায় এই পরিবারে তার কতটা মূল্য ।যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেলেছি। আসলে অসুস্থ এমনই একটি জিনিস যা নিজেকে খুবই অসহায় করে তোলো।
আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজ আমরা খুব সকাল বেলা ছোট বোনের বাসায় চলে গেলাম। বাড়ি থেকে আসার পরে ওর বাসায় যাওয়া হয়নি ।বোন বলছ “ আমার বাসায় এসে কয়দিন থেকে যাও ”। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রার্থনা করি। বোনের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হই। সকালের নাস্তা ওর বাসায় করব তাই বাসাতে কোন কিছু তৈরি করিনি ।
মজার বিষয় হলো. যখনই আমরা ওর বাসায় গেলাম তখন বাবুটা প্রথমে আমাদের দেখে অনেক লজ্জা পেয়েছে । একদম নতুন কনের মত মাথা নিচু করে আছে। সে একবার তাকিয়ে আমাদের দেখছে আবার চোখ নিচের দিকে তাকিয়ে থাকছে। বাচ্চারা হলো ফুলের মত, ওদের যতটা ভালবাসবে ততটাই ওরা সুবাস ছড়াবে ।তবে এবার দেখে কান্না করছে না।
সে আমাদের চিনতে পারছে কিন্তু একটু একটু লজ্জাও পাচ্ছে । আমরা বাড়িতে থাকায় এবছর বাবুটার জন্মদিনে থাকতে পারেনি।আসার সময় ওর জন্মদিনের উপহার এবং একটি বার্থডে কেক নিয়ে এসেছিলাম ।গিফট পেয়ে সে মহা খুশি এবং আস্তে আস্তে সে আমাদের সাথে মিশে গেছে। আমাদের সকলের নাস্তা দিল নাস্তা খেয়ে নিলাম । সেই রীতিমতো আবার ওষুধ গুলো নিয়ে বসলাম।
দুপুরের রান্না বান্নার আয়োজন চলছে ।আমাকে কিছুই করতে দিচ্ছিল না কিন্তু আমারও বসে থাকতে একদমই ভালো লাগছে না। আমি ওর সাথে সাথে সবজিগুলো কেটে দিচ্ছিলাম। রক্তের বোন বলে কথা সে মায়ের মতই হয়। ছোট হোক কিংবা বড় হোক অসুস্থ হলে যত্নের কখনো কমতি রাখে না । এজন্য সকলেই বলে একটি বোন অথবা ভাই থাকা দরকার । এ জীবনে একা বেঁচে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে ।আজ বোনটা কাছাকাছি থাকায় ওর কাছে যখন খুশি যাওয়া যায় ।
আমার কোন সমস্যার কথা ওকে বললে দ্রুত চলে আসতে পারে । দুপুরের খাবার শেষে বিশ্রাম নিলাস ।বিকেল বেলা দুই ভাই বোন তাদের জন্মদিন পালন করছিল। চকলেট কেক আমার মেয়ে আর বোনের ছেলের খুব পছন্দ। বাচ্চারা সকলেই চকলেট পছন্দ করে। তা এমনি চকলেট হোক কিংবা চকলেট কেক। এই ভাই বোনের এক সুন্দর মিষ্টি সম্পর্ক ।এ ভালোবাসা অটুট হয়ে থাকুক ।
অনেক সময় দেখি , ভাই বিয়ে করার পরে তাদের বোনের প্রতি একটু মায়া কমে যায় ।আসলে মায়া কমে যায় না , কোন মেয়েই যখন তার জীবনসঙ্গী হয় তখন ননদকে তার ভাইয়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ভাই অনেক সময় চাইলেও তার বোনটিকে আগের মত আর ভালোবাসতে পারে না ।এক্ষেত্রে আমরা ছেলেদের মানসিকতার পরিবর্তন বলার থেকে আমরা মেয়েরাই মেয়েদের মানসিকতার পরিবর্তনকে বলতে পারি। কারণ , বিয়ে হলে ভাই নাকি বদলে যায় তো বিয়ে তো মেয়েদের সাথেই হয় তাই না! জাস্ট মজার ছলে বললাম।
এ ছবি দুটি Whatsapp থেকে নেয়া |
রাতে অনেক কিছু আয়োজন ছিল । ছোট বোনের বান্ধবীর পরিবার এসেছিল। অসুস্থ থাকার মাঝেও সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করলাম ।সকলে মিলে অনেক গল্প করলাম মনে হচ্ছে যেন, আমি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছি । রাতের খাবার শেষে তারা বাসায় চলে গেল। এই আনন্দের সময়টুকু ভালো ছিল। আনন্দের মুহূর্তটুকু দ্রুত চলে যাচ্ছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।
Un gran saludo amiga el amor de hermanos es algo realmente bonito, por lo visto el festejo estuvo muy bueno disfrutaron todos juntos y en armonia, espero que el cumpleañero lo haya disfrutado.
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you,sir,@memamun
https://x.com/muktaseo/status/1882038085200068618