The Diary Game || 1st May ||An outing In Dhaka on May day
সপ্তাহের মাঝে আরো একটা ছুটির দিন পাওয়া, আজ পহেলা মে, মহান মে দিবস। আর এই দিনে শ্রমিকদের সবারই ছুটি। এর পেছনের গল্প আমাদের সবারই জানা। পহেলা মে উপলক্ষে আমার অফিসও আজকে ছুটি। আজকের দিনটি কিভাবে কাটালাম সেটি এখন শেয়ার করবো।
সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠতে ঊঠতে প্রায় ৮ টা বেজে গেল। সকালে ঊঠে সবাই মিলে নাস্তা খেয়ে নিলাম। সকালের নাস্তায় আজকে মুড়ি চানাচুর মাখা সাথে কলা ছিল।
নাস্তা খাওয়া শেষে শুরু হলো রান্নার যুদ্ধ। প্রচন্ড গরম, তার উপর রান্নাঘরে চুলা চালু করলে গরম আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আজকে গিন্নি কোন রকম তেহারি রান্না করলো।
দুপুরে গোসল করে খেয়ে আমরা কিছুক্ষণ ঘুমালাম। আমার শালাবাবু ঢাকায় এসেছে প্রায় ৮ দিন হয়ে গেল। তাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি, প্রচন্ড গরমের কারণে। আজকে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে বিকেলের দিকে বাইকে চেপে আমরা দুজনে রওনা দিলাম।
আমরা সোজা চলে গেলাম সংসদ ভবনের পেছন সাইডে ও জিয়া উদ্যানের সামনে। এখানে প্রচুর পরিমাণে গাছ ও পাশে লেক থাকায় গরম তেমন একটা নেই। অনেকেই এখানে ঘুরতে বের হয়েছে।
বাইক পার্কিং করে আমরা এখানে বসে ছবি তোলা শুরু করলাম। এই যায়গাটায় বেশিরভাগ কৃষ্ণচূড়া গাছে ফুল ফুটে লাল হয়ে আছে। দেখতে চমৎকার লাগছে।
মাথার উপরে কৃষ্ণচূড়া ছাড়াও সোনালু ফুল ফুটে আছে, সেই সোনালু মাটিতে পড়ে ফুলের বিছানায় রূপ নিয়েছে।
আমরা এখানে বেশ কিছু সময় পার করে চলে গেলাম সংসদ ভবনের সাম্নের রাস্তায়। সেখান থেকে সংসদ ভবনের খুব সুন্দর ভিউ দেখা যায়। ছুটির দিন হওয়ায় এখানে প্রচুর ভীড় ছিল। আমরা এখানে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
এখানে ঘোরাঘুরি শেষ করে চলে এলাম হাতিরঝিল। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। গ্রাম থেকে কেউ এলো আর হাতিরঝিল দেখা হলো না, এটা আসলে হয় না। ঢাকার সুন্দর যায়গা গুলোর মধ্যে হাতিরঝিল অন্যতম। তাই আমরা হাতিরঝিলে বেশি কিছু সময় পার করলাম।
আমরা এখানেই আজকের ঘোরাঘুরি পর্ব শেষ করে বাসার পথে রওনা হলাম। ইচ্ছে আছে আগামী শুক্র ও শনিবার আরো কিছু যায়গায় যাওয়ার। বাসায় যাবার পথে চিকেন চাপ আর নানা রুটি নিলাম। আজকে রাতে আর ভাত খাবার ইচ্ছে নেই। গিন্নিকে ফোন দিয়ে বলে দিয়েছিলাম যে রাতের রান্না করার দরকার নেই। যদিও এই গরমে বাহিরের খাবার খাওয়া মোটেও উচিৎ নয়, তার পরেও মাঝে মধ্যে খাওয়া হয়ে যায়।
তো, এই ছিল আমার আজকের ডায়েরি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকলে মিলে মুড়ি চানাচুর আর কলা দিয়ে সকালের নাস্তা করলেন। তারপর আপনার গিন্নি রান্নার কাজও শেষ করেছিলো। সত্যিই কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে অসাধারণ লাগছে। আর তাছাড়া আপনি ফটোগ্রাফি করতে যে কতটা অভিজ্ঞ সেটা আপনার প্রতিটা পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়।
ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আমি আসলে ফটোগ্রাফি নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখি। তাই সব সময় চেষ্টা করি ভালো ফটোগ্রাফি করার। ধন্যবাদ ভাই
নাস্তাটা চমৎকার ছিল। কিন্তু আমার বাসায় এরকম নাস্তা বাচ্চাটা খায় না, ওদেরকে নিয়ে যত ঝামেলা।
এই গরমে তেহারি খেলে তো আরো গরম লাগার কথা।
আপনারা চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে যেয়ে ভালো কাজ করেছিলেন।ওইদিকটা গেলে আসলেই শান্তি লাগে।আর ফুল পরে থাকে নিচে এই জিনিসটা দেখতেও ভালো লাগে।
আগে বাচচাদেরকে নিয়ে সময় পেলেই যেতাম।এখন ওরা বড় হয়ে গেছে, তাই ওদের ব্যাস্ততাও বেড়ে গেছে। এজন্য আগের মতো যাওয়া হয় না।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যা, মানুষ আসলে সব সময় ভালো সময় গুলো পেছনে ফেলে আসে। এই যেমন আপনি চাইলেও এখন আর বের হতে পারছেন না। হয়তো আমি কয়েকবছর পর এরকম হয়ে যাবো।
ধন্যবাদ আপু
আজকে ছুটির দিনে আপনার গিন্নি তেহারি রান্না করেছিল ৷ তারপর দুপুর বেলা গোসল করে তেহারি খেয়ে কিছুক্ষন ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ আপনার শালাবাবু আসছে তাকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করা হয় নি তাই আজকে তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন ৷ রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুল গুলো অনেক আকর্ষণীয় করে তুলেছে চারপাশ টা ৷ তারপর দেখলাম ফুল গুলো রাস্তায় বেশ সুন্দর ভাবে পরে আছে এই দৃশ্য গুলো দেখে মন টা ভরে গেলো ৷
তারপর সংসদ ভবনের ছবি গুলোও অসাধারন হয়েছে ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
তেহারি বা বিরিয়ানি মানে যেন খাবার পর আবারো খিদা লেগে যাওয়া। আমার ভীষণ প্রিয় এই তেহারি।
সংসদ ভবন ও চন্দ্রিমা উদ্যানের মাঝের আওড়কে গেলেই আসলে মন জুড়ে যায় বাহারি রঙ এর ফুল এর গাছ গুলো দেখলে।
@mukitsalafi
wow great enjoy reading your post it's really fun and the way you went on tour with your friend is really beautiful and enjoying your life life is so short and short We should enjoy it openly, wherever we find moments of happiness, we should grab them immediately and not waste them, and anyway for our mental activities, we need such extra activities to relieve mental fatigue. Must be a part so that our mind is improving and we live a peaceful life. Thank you so much. Take care and enjoy.💓💗
@mona01
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আমার পোস্টে এত সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।