বিটরুটের রুটি বানানো ও তা সংরক্ষণের পদ্ধতি
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি এই ঝড়ের দিনে যে যেখানে আছেন অনেক ভালো ও নিরাপদে আছেন। যাদের কাজের সুবাদে বাইরে বের হতে হয়, চেষ্টা করবেন যতটুকু পারা যায় নিরাপদে থাকার, বিশেষ করে নদী ও সমুদ্র তীরের মানুষেরা আরো বেশি সতর্কতা অবলনম্বন করুন।
কয়েকদিন আগে একটা পোস্টে বিটরুটের রুটির কথা বলেছিলাম, হয়তো আপনাদের মনে আছে। আজকে সেই বিটরুটের রুটি কিভাবে বানাবেন এবং বানিয়ে তা সংরক্ষণ করবেন সেই পদ্ধতি শেখাবো। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
বিটরুটের রুটি শুনে বুঝতেই পারছেন এর প্রধান উপকরণ কি হতে পারে। বিটরুট এখন খুব ই পরিচিত ও জনপ্রিয় আমাদের দেশে। বিশেষ করে এর ওষধি গুণাগুণ এর জন্য। এই বিটরুটের সাথে আর কি কি উপকরণ লাগবে রুটি বানাতে চলুন দেখে আসা যাক।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বিটরুট | ১ টি |
আটা | ২ কাপ |
তেল | ২ চামচ |
লবণ | ১/২ চামচ |
চিনি | ১ চামচ |
পানি | পরিমানমতো |
বিটরুট দিয়ে রুটি বানানোর পদ্ধতি :
ধাপ - ১ :
প্রথমেই একটি মাঝারি সাইজের বিটরুট নিয়ে উপরের আবরণ ছুলে নিয়েছি। এবার ভালো ভাবে ধুয়ে এটিকে গ্রেড করে নেবার পালা।
ধাপ - ২ :
এবার একটি পাত্রে পানি গরম করে গ্রেড করা বিট গুলো পানিতে দিয়ে ১০ মিনিটের মত সেদ্ধ করে নিতে হবে। এর ফাকে লবণ,চিনি ও তেলটুকু দিয়ে দিয়েছি। এতে করে বিটরুটের ভেতরের রস ও কষ বের হয়ে পানিতে মিশে যাবে।
ধাপ - ৩ :
এবার একটি ছাকনির সাহায্যে পানি ছেকে আলাদা করে নিলাম। এই পানিটুকুই আমরা রুটি বানাতে ব্যবহার করবো।
ধাপ - ৪ :
এর পরের ধাপগুলো নরমাল রুটি বানানোর মতই। এখন ছেকে নেয়া পানিতে আটা দিয়ে রুটি বানানোর জন্য খামির বানাতে হবে। এতক্ষণ হয়তো ভাবছিলেন কিভাবে এই বিট দিয়ে রুটি হবে, এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন?
ধাপ - ৫ :
এত দূর অব্দি আমিই করেছিলাম। তবে আমি রুটি বেলতে পারিনা,বেলতে গেলে কখনো ইন্ডিয়া, কখনো পাকিস্তানের মানচিত্র হয়ে যায় বলে বাকিটা গিন্নির সহায়তায় করেছি। সে আটার খামির থেকে প্রথমে সব গুলো ছোট ছোট শেপ করে নিলো।
বেলন দিয়ে হালকা ঘুরাতেই রুটির গোল শেইপ চলে এলো। দেখে মনে হবে কত সহজ কাজ কিন্তু রুটিকে গোল বানানো মোটেও সহজ নয়। তো চলুন দেখা যাক কেমন হলো রুটি গুলো।
দীর্ঘদিন সংরক্ষণ রাখবেন যেভাবে:
প্রতিদিন তো রুটি বানানো সহজ বিষয় নয়, তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই একদিন রুটি বানিয়ে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে ৫-৭ দিন অব্দি ভালো রাখা যায়। এর জন্যে বানানো রুটি গুলো ৩০ সেকেন্ড গরম তাওয়া তে হালকা করে সেকে নিয়ে তুলে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
এবার এয়ারটাইট বক্সের নিচে কিচেন টিস্যু দিয়ে একটার পর একটা রুটি দিয়ে লেয়ার বানিয়ে নিতে হবে। সব শেষ আরেকটি টিস্যু পেপার দিয়ে ঢেকে দিয়ে বক্সের ঢাকনা লাগিয়ে দিয়ে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রেখে দিন।
যখন রুটি খেতে মন চাইবে ফ্রিজ থেকে বের করে সেকে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন, স্বাদে খুব একটা হের ফের হবে না। তো কেমন লাগলো আমার আজকের এই রেসিপি, অবশ্যই মতামতে জানাবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung M31 |
ফটোগ্রাফার | @mukitsalafi |
লোকেশন | Dhaka |
বিটরুট কি জিনিস সেটা আমার জানা নেই ।কিন্তু আপনার রুটিটা দেখে বেশ সুন্দর লাগছে ।খেতেও নিশ্চয়ই ভালো হয়েছে। আমিও বাড়িতে চেষ্টা করে দেখব। আপনার পোস্টটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
ভাই আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অন্যরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে আইডিয়া পেলাম। বিটরুটের রুটি তৈরি করা এবং সংরক্ষণে সম্পর্কে দারুন কিছু আইডি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার দেখানো রেসিপিটি বাস্তবে রূপ দেয়ার চেষ্টা করব। কেননা এর আগে কখনোই আমি বিট রুটের রুটি খাইনি।
বিটরট দিয়ে যে রুটি বানানো যায় এই আইডিয়া বা কনসেপ্ট আমার মাথায় কখনো আসেনি। সত্যি ভাই ইউনিক আইডিয়ার জন্য আপনি সেরা। আপনার দেয়া রেসিপিগুলো বরাবরই আমার অনেক ভালো লাগে। ভালো থাকবেন ভাই শুভকামনা রইল।
আজকে আপনি বিটরুট দিয়ে রুটি বানানো দেখিয়েছেন।। আমি এই প্রথম আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম কিভাবে বিটরুট দিয়ে রুটি বানাতে হয়।। কখনো সুযোগ হলে অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো।। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।
বিটরুটি কিভাবে বানায় তা আজকে আপনার পোস্ট থেকেই জানতে পারলাম। কারণ বিটরুটি নামে যে কিছু আছে তা আমি আগে জানতাম না। তবে রুটি যেভাবে বানিয়ে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে।
তবে আপনার পদ্ধতি অনুসরণ করে বানালে হয়তো এই বিটরুটের রুটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
তবে এরকম নিত্য নতুন রান্নার প্রস্তুত পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে বিটরুটের রুটি কখনও খাওয়া হয় নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমেই প্রথম আজ এই সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে নিয়ে হাজির হয়ে থাকেন। আজও খুব কার্যকরী একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপনার পোস্ট লেখা ও উপস্থাপন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বিট দিয়ে রুটি তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি এর আগেও এই রেসিপি দেখেছি কিন্তু বাড়িতে কখনো চেষ্টা করিনি।একটা অন্যরকম রেসিপি এটা। আমিও পরবর্তীতে চেষ্টা করব।
বিটরুটের রুটির কথা আমি আগেও আপনার লেখাতে পেয়েছি। ভাবতেছিলাম বানাবো। কিন্তু ছেলেদের কি রিঅ্যাকশন হবে এটা ভেবে সাহস পাচ্ছিলাম না বানাতে।
আজকে আপনি এই রুটি সংরক্ষণ করার পদ্ধতি সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আমি সাধারণ রুটি অনেকটা এভাবেই সংরক্ষণ করি তবে টিস্যু দেয়ার ঝামেলাতে যাই না।
আপনার এই বিটরুটের রুটির রেসেপি ও একে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে অনেকেই উপকৃত হবে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
টিস্যু না দিলে অনেক সময় একতার সাথে আরেকটা আটকিয়ে যায়, তাই এটা দেয়া, তবে দিতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। হালকা সেকে রাখলেই সাত দিন অনায়াসে ভালো থাএক। আশা করি আপনি দ্রুত এই রুটি বানিয়ে ফেলবেন, এবং আপনাদের এটা খেতেও ভালো লাগবে।
বিটরুট দিয়ে কিভাবে রুটি তৈরি করা যায়। সেই পদ্ধতিটা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।সত্যি কথা বলতে আমি কখনোই এরকম রুটি আগে দেখেনি। আজকে প্রথম আপনার ফটোগ্রাফি এবং আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম। ইনশাল্লাহ অবশ্যই এই ধরনের রুটি তৈরি করার চেষ্টা করব আপনার শেয়ার করা পদ্ধতি অবলম্বন করে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।