ভালোবাসায় মোড়ানো দাম্পত্যের প্রতীক রাজহাঁসের ফটোগ্রাফি
"পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি"
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি অনেক বেশি ভালো আছেন। অনেকদিন পর আমি আবারো ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি গ্রামে গেলে সব সময়ই চেষ্টা করি গ্রামের প্রকৃতি ক্যামেরাবন্দী করার। গ্রামীন জীবনে পরতে পরতে সৌন্দর্য বিরাজমান। হোক সেটা গ্রামের গাছপালা বা অন্য কিছু। গ্রামে গেলে দেখবেন সবকিছুই অন্যরকম সুন্দর। আমি এবার গ্রামে গিয়ে পুকুরপাড়ে দল বেধে থাকা রাজহাঁসের মধ্যে অন্যরকম সৌন্দর্য খুজে পাই। আজকের পোস্টের মাধ্যমের সেই সৌন্দর্যের কিঞ্চিৎ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
উপরে যে ছবি দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো রাজকীয় রাজহাঁসের ছবি। রাজহাঁস সাধারণত মাংস উৎপাদনের জন্যে চাষ করা হয়। তবে রাজহাঁস সফল দাম্পত্য জীবনের জন্যে বেশি আলোচিত। এরা তাদের জীবদ্দশায় কখনই তাদের দাম্পত্য পরিবর্তন করেনা।
মানে একটি পুরুষ রাজহাঁস আজীবন শুধু একটি স্ত্রী রাজহাঁসের সাথেই জীবন অতিবাহিত করে। তারা একে অপরের প্রতি এতটাই আস্থাশীল যে তাদের জীবদ্দশায় কোন ভাবেই তারা অন্য কোন রাজহাঁসকে সঙ্গি হিসেবে মেনে নিতে পারে না। এই কারণে এদের যে কোন একটি মারা গেলে দু:খে কষ্টে অন্যটিও মারা যায়।
রাজহাঁসের গলা অনেকটা সাপের মত লম্বাটে। ঠোট হলুদ রঙ এর তবে আকাড়ে অন্য হাসের তুলনায় খানিকটা বড়। গলা উচিয়ে এরা বিকট আওয়াজ করে ডাকাডাকি করে। দূর থেকে এদের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়, আওয়াজ শুনেই বুঝা যায় এই বাড়িতে রাজহাঁস আছে।
রাজহাঁস স্বাধারণত খুব ই শান্ত স্বভাবের হয়। এরা অলস ভাবে শুয়ে বসে পুকুর পাড়ে থাকতে পছন্দ করে। বেশির ভাগ সময় এর এক পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে অলস সময় পার করে।
রাজহাঁস শান্ত স্বভাবের মত হলেও বিপদ দেখলে এরা হিংস্র হয়ে ওঠে। এই কারণে অনেকেই এই রাজহাঁসের তাড়া খায়। আবার এরা বাড়িতে পাহাড়াদারের ভূমিকাও পালন করে। বাড়িতে অপরিচিত কোন মানুষ বা অন্যান্য যেকোন প্রানী দেখলেই এরা তাড়া করে অথবা বিকট আওয়াজ করে চিল্লাতে থাকে।
রাজহাঁস খুব ই কম ডিম দেয়। সাধারণত এরা বছরে মাত্র ৪-৮ টি ডিম দেয়। ডিমের সাইজ ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের হয়। এরা নিজেরাই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়।
রাজহাঁসের তেমন কোন রোগ বালাই হয়না বলে এটি অনেকের কাছে খুব ই প্রিয়। পাশাপাশি এর মাংস অনেক মজাদার বলে এর সুখ্যাতি রয়েছে।
রাজহাঁসের পালক এর আছে বাণিজ্যিক চাহিদা। এই পালক নানা রকমের মুকুট,কুসন ও শোপিচ বানাতে ব্যাবহার করা হয়।
আমি আমার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এই রাজহাঁসের অনেকগুলো স্থিরচিত্র ধারণ করি। এখন সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে।
Camera | Nikon D5500 |
---|---|
Category | Wildlife photography |
Software | Lightroom apps |
Photographer | @mukitsalafi |
Location | Dinajpur,Bangladesh |
জ্বী ভাই সত্যি এই আপনার ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো প্রশংসা এর দাবিদার। আসলে আপনার ফটোগ্রাফি এর পাশাপাশি আপনার লিখা আর্টিকেল ও খুব ভালো হয়েছে। যেখানে আপনি খুব সুন্দর করে তাদের সম্পর্কে লিখেছেন। এককথায় অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই, ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্যে। ভালো থাকবেন।
Its my pleasure brother ☺️
প্রথমে বলতে চাই আপনার ফটোগ্রাফির কথা। অসাধারণ হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো। আমি আসলে আজকে লেখা থেকে ফটোগ্রাফির প্রতি মুগ্ধ হলাম।এছাড়া আপনার লেখা পড়ে জানতে পারলাম যে রাজহাঁস দম্পতি হিসেবে কতটা অসাধারণ। একে অন্যের প্রতি কতটা অনুরাগী। একজনের বিরহে আরেকজন যে প্রাণ হারায়। খুব ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু।
আপনার রাজহাঁসের গল্প টি আমার খুব ভালো লাগলো। আমি আগে কখনো শুনিনি এই কাহিনী। তাদের ভালোবাসা বিরল। সারা জীবন একে অপরকে সঙ্গদেয়। এমনকি একটি মারা গেলে মনের শোকে অন্য রাজহাঁস টিও মারা যায়। আসাধারণ লাগছে। পোস্ট টি পড়ে।এই রাজহাঁস থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়া আছে আমাদের। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার রাজহাঁসের ফটোগ্রাফিটা ও অনেকে সুন্দর হয়েছিল। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ভালো থাকবেন সব সময়
আপনিও ভালো থাকবেন সবসময় ভাইয়া।
প্রথমে কথা বলবো , আপনার ফটোগ্রাফি করা নিয়ে সত্যি চমৎকার, দেখলে মন জুড়িয়ে যাওয়ার মত তাছাড়া আপনার লেখার প্রশংসা না করলেই নয়। আপনার লেখার হাতও খুব ভালো সব মিলিয়ে আজকের পোস্টটা খুব সুন্দর হয়েছে আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এভাবে আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্যে। ভালো থাকবেন
Welcome 🙂
আমি জানি না সাধারণ হাঁস বছরে কটা ডিম দেয়। কিন্তু আপনার লেখা থেকে জানতে পারলাম রাজহাঁস কত কম ডিম দেয়। আমার মনেহয় রাজহাঁস একদম খাওয়া উচিত নয়। এরা যেকোন সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আপনার ফটোগ্রাফি সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিশেষ করে এরা যখন এতটাই একে অপরের উপর নির্ভরশীল তখন তো একজন কে জবাই করার মানে তো আর একজনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া নয়কি।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন
বর্তমান সময়ে রাজহাঁসের অনেক মূল্যে।। আমার কিছু বন্ধু রয়েছে তারা এই হাঁস পালন করে এবং অনেক বেশি লাভবান হয়।।
আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমি একটি নতুন বিষয় জানতে পারলাম সেটা হচ্ছে ভালোবাসায় মোড়ানো দাম্পত্যের প্রতীক যে বিষয়টি বলেছেন সেটা আমার কখনো জানা ছিল না একদম অদ্ভুত মনে হচ্ছিল।।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের পোস্টটি অনেক সুন্দরভাবে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।।
হ্যাঁ রাজহাঁস চাষ অবশ্যই অনেক লাভজনক। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া আর আপনার পরবর্তী পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।।
আপনার রাজহাঁসের ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। রাজহাঁস সম্পর্কে এত তথ্য জানা ছিল না। তবে রাজহাঁস পালন একটা লাভজনক কাজ। খুব সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন এগিয়ে যান।
রাজহাস সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানা ছিলো না আমার। আপনার চমৎকার লেখা সাথে ছবি দেখে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। ভেতর থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সব সময়
নিঃসন্দেহে আপনার সঠিক বলেছেন। তাছাড়া আপনার লেখার সাথে আমি আরো একটু যোগ করতে চাই যে রাজহাসের নামটা তাদের বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে দেওয়া হয়েছে।
আমি মনে করি তাদের এই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য তারা অনেকটা গাম্ভীর্যপূর্ণভাবে চলাফেরা করে। যদিও তারা এই গাম্ভীর্যতা নিয়ে চলাফেরা করতে পছন্দ করে কিন্তু বিপদ দেখলেই তারা নিজেকে রক্ষার জন্য একটু হিংস্র হয়ে ওঠে।
দুই অথবা তিনদিন পূর্বে আমি একবার আমাদের রাস্তাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলাম। কারণ মা রাজহাঁসের সাথে তিনটি ছোট ছানা ছিল। মায়ের চিন্তা থেকে হয়ত সে সতর্কতা অবলম্বন করেছিল।
তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় অসাধারণ হয়। আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা না করলে অন্যায় হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।