নাটক রিভিউ : কথা ছিল

শুভসকাল বন্ধুরা, আজ বৃহঃস্পতিবার ২১শে চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা এপ্রিল ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ২৪ রমজান ১৪৪৫ হিজরি, সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলেই ভালো অবস্থায় আছেন এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছেন। আমার আজকের পোস্টে বাংলা নাটক কথা ছিল সম্পর্কে আলোচনা করব।

Image edited in canva

নাটকটির সংক্ষিপ্ত তথ্য

নাটক	কথা ছিল
পরিচালক	শহীদ উন নবী
অভিনয়	ইয়াশ রোহান, তটিনী
দেশ	বাংলাদেশ
মুক্তিপায়	০৯-১৮-২০২৩
জনরা	ড্রামা, রোমান্স

---

নাটকের শুরুতেই ইয়াশ একটি রেস্টুরেন্টে বসে তার অফিসের কলিগদের সাথে অফিসিয়াল কিছু কাজ নিয়ে কথা বলতে থাকে। আর সেই সময় তটিনী তার কিছু ফ্রেন্ডদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে যায় খাবার খেতে। এরপর একসময় তটিনীর গলায় খাবার আটকে যায়। তখন ইয়াশ তটিনী কে রক্ষা করে। কিন্তু তটিনী ইয়াশকে ভুল বুঝে তাকে থাপ্পড় মারে। তটিনী বাসায় ফিরে গিয়ে তার ভুল বুঝতে পারে। এরপর সে পরের দিন আবারো সেই রেস্টুরেন্টে যায় এবং ইয়াশ এর খোঁজ করে। কিন্তু রেস্টুরেন্টে সে তার কোন খোঁজ পায় না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে তটিনী তার নিজের ফোন নাম্বার রেস্টুরেন্টে দিয়ে আসে এবং বলে ইয়াশ যদি রেস্টুরেন্টে আবারও আসে তবে তাকে যেন কল করে জানানো হয়।

কিছুদিন পর ইয়াশ আবারো সেই রেস্টুরেন্টে যায়। তখন রেস্টুরেন্ট থেকে কল করে ইয়াসের আগমনের খবর তটিনীকে জানানো হয়। রেস্টুরেন্ট থেকে ফোন পেয়ে সে তাড়াতাড়ি রেস্টুরেন্টে ছুট যয এবং ইয়াশ এর সাথে দেখা করে। ইয়াশ তটিনীকে দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। তখন সে ইয়াশকে বলে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে এবং সে ক্ষমাপ্রার্থী। ইয়াশ তাকে ক্ষমা করে দেয় এবং এরপর তাদের মাঝে নিয়মিত কথা চলতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে একদিন ইয়াশ এর মা তাদের কথা শুনতে পায়। ইয়াশ এর মা ইয়াশ কে বলে একদিন তটিনী কে তাঁদের বাসায় নিয়ে আসতে বলে। তখন ইয়াশ তটিনীকে তার মায়ের কথা জানায় এবং তটিনী তাদের বাসায় যেতে রাজি হয়ে যায়। পরের দিন ইয়াশ তটিনীকে নিয়ে তাঁদের বাসায় যায় আপন মায়ের সাথে তটিনীকে পরিচয় করিয়ে দেয়।তটিনীকে প্রথমবার দেখেই তার মায়ের পছন্দ হয়ে যায়। সে তাঁদের দুজনের সম্পর্ক মেনে নেই এবং তটিনীকে অনেক আদর করে। এরপর সে তার হাতের চুরি খুলে তটিনীকে পরিয়ে দেয়।

এর কিছুদিন পর ইয়াশ এর মা তটিনীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের দুজনের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলেন। তটিনীর পরিবারের সবাই বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। এরপর তটিনীর পরিবার থেকে ইয়াশের বাবার কথা জানতে চায়। তখন ইয়াশ এর মা জানায় তার ছেলের জন্মের আগেই ছেলের বাবা তাদেরকে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর ইয়াশ ও তটিনী দুজন মিলে ইয়াশ এর বাবাকে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা ইয়াসের বাবাকে খুঁজে পায়। অতঃপর তাদের মাঝে অনেক কথা হয়। তারা দুজন মিলে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে যাতে করে সে তাদের বিয়েতে আসে।

এরপর দেখানো হয় ইয়াশ ও তটিনীর বিয়ের দৃশ্য। বিয়ের সময় ইয়াসের বাবার কথা বলা হলে ইয়াসের বাবা অনুষ্ঠানে চলে আসে। ছেলের বিয়ের পরে সে তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে তার সকল ভুল গুলো স্বীকার করে এবং এত কষ্ট করে তার ছেলেকে মানুষের মত মানুষ হয়ে গড়ে তোলার জন্য ধন্যবাদ জানয়। এরপর তটিনীকে ধন্যবাদ জানায় সবকিছু ঠিক করে দেওয়ার জন্য। এরপর রাসেল বাবা চলে যেতে চাইলে ইয়া শেষে তাকে জড়িয়ে ধরে। তখন তার বাবা তাকে বলে আমি তোমাদের সাথে অনেক অন্যায় করেছি পারলে আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও। এরপর সবাই মিলে ছবি তুলে এবং এভাবেই নাটকের সমাপ্তি হয়। এটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এবং বাস্তবসম্মত একটি নাটক। নাটক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আপনারা চাইলে নাটকটি দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে।

---

সকল স্ক্রিনশট YOUTUBE থেকে নেওয়া