নাটক রিভিউ : তোমাকে পেয়ে গেলে

শুভসকাল বন্ধুরা, আজ মঙ্গলবার ২৬শে চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ২৯ রমজান ১৪৪৫ হিজরি, সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলেই ভালো অবস্থায় আছেন এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছেন। আমার আজকের পোস্টে বাংলা নাটক তোমাকে পেয়ে গেলে সম্পর্কে আলোচনা করব।

Image edited in canva

নাটকটির সংক্ষিপ্ত তথ্য

নাটক	তোমাকে পেয়ে গেলে
পরিচালক	রুবেল আনুশ
অভিনয়	ইয়াশ রোহান, তটিনী
দেশ	বাংলাদেশ
মুক্তিপায়	২৬-১০-২০২৩
জনরা	ড্রামা, রোমান্স

---

এই নাটকটিতে ইয়াশ রোহানের ভিন্নধর্মী অভিনয় লক্ষ্য করা যায়। নাটকের প্রথম দিকে রোহান ছিল একজন চাঁদাবাজ। ইয়াস রোহান বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজি করে বেড়াতো। একদিন ইয়াশ রোহান তটিনির বাবার দোকানে চাঁদাবাজি করতে যায়। তখন তটিনী প্রথমবারের মতোই ইয়াশ রোহানকে দেখতে পায়। তবে এই সময় তটিনী ইয়াশ রোহানকে কিছু বলে না। পরবর্তীতে একদিন ইয়াশ রোহান রাস্তায় দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন তটিনী ইয়াশ রোহানকে দেখে তার সাথে কথা বলতে যায়। এসময় তটিনী ইয়াশ রোহানকে অনেক কিছু বলে। ইয়াশ রোহানকে চাঁদাবাজি ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে যেতে বলে।

এর কিছুদিন পর আবারও তাদের দুজনের দেখা হয়। যদিও আগের দিন তটিনী ইয়াশ ইয়াশ রোহানের সাথে অনেক রেগে রেগে কথা বলেছিল। তবে এবার তটিনী ইয়াশ রোহানকে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বলে এসব খারাপ কাজ বাদ দিয়ে ভালো হয়ে যেতে। তটিনীর কথা শুনে ইয়াশ রোহান সিদ্ধান্ত নেয় সে সকল খারাপ কাজ বাদ দিয়ে ভালো হয়ে যাবে। কারণ ইয়াশ রোহান তটিনীর প্রেমে পড়ে যায়। এর পরে যখন তটিনীর সাথে ইয়াশ রোহানের দেখা হয় তখন ইয়াশ রোহান তটিনীকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। ইয়াশ রোহান তটিনীকে বলে সে তটিনীকে ভালোবাসে।

এরপর তাদের দিন ভালোই চলতে থাকে। ইয়াশ রোহান সব খারাপ কাজ বাদ দিয়ে ভালো হয়ে যায়। তটিনীও ইয়াশ রোহানকে ভালবাসতে শুরু করে। কিন্তু একদিন তটিনীর বাবা তাদেরকে একসাথে দেখে ফেলে। এই দৃশ্য দেখে তটিনীর বাবা অনেক রেগে যায়। তটিনীর বাবা তটিনীর বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করতে থাকে। তটিনী বাড়ি ফিরে এলে তার বাবা তার সাথে অনেক রাগারাগি করে এবং একপর্যায়ে তার উপর হাত তোলেন। এরপর তার বাবা তার বিয়ের জন্য ছেলে দেখতে শুরু করে এবং কিছুদিন পরই তার বাবা তার বিয়ের জন্য একটি ছেলেকে পছন্দ করে। সেই ছেলের সাথে তার বাবা তার বিয়ে ঠিক করে ফেলে।

ইয়াশ রোহান তখন তটিনীর বাবাকে বোঝাতে চেষ্টা করে। ইয়াশ রোহান তার বাবাকে বলে সে চাঁদাবাজি বাদ দিয়ে ভালো মানুষ হয়ে গিয়েছে। সে এখন আর আগের মতো কোনো খারাপ কাজ করে না। কিন্ত তটিনীর বাবা তার কোন কথাই শুনতে চায় না এবং তাকে জানিয়ে দেয় যে তটিনীর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। এই কথা বলে তটিনীর বাবা সেখান থেকে চলে যান।

আর এদিকে তটিনী ইয়াশ রোহানকে ভালবাসলেও তার বাবা মায়ের কথা ফেলতে পারেনা। এর কিছুদিন পর ইয়াশ রোহান চাকরির উদ্দেশ্যে এলাকা ছেড়ে যায়। যাওয়ার আগে সে তটিনীকে একটি চিঠি দিয়ে যায়। তটিনী ইয়াশ রোহান এর চিঠি পড়ে কষ্ট পেয়ে কাঁদতে থাকে। এই দৃশ্য তার বাবা পাশের রুম থেকে দেখতে পায়। এরপর তটিনী ইয়াশ রোহান এর কাছে ছুটে যায়। তখন তাদের মধ্যে কথা হয় এবং একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। আর এখানেই নাটকটির শেষ হয়।

---

সকল স্ক্রিনশট YOUTUBE থেকে নেওয়া