গণেশ চতুর্থী
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন । আজকে একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
ভগবান গনেশ হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেবতা । অন্যান্য দেবতাদের মধ্যে একজন।সাফল্য এবং জ্ঞানী দেবতা হিসাবে পরিচিত।অনেক পরিবারের কুলো দেবতা বলে মনে করা হয় ।গণেশ চতুর্থীর কয়েক মাস আগে গণেশের সুন্দর মূর্তিগুলি প্রাণবন্ত রং আরাধ্য ভঙ্গি এবং বিভিন্ন আকারে তৈরি করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে এই উৎসব ব্যাপকভাবে পালিত হয়। এই উৎসব আনন্দ উত্তেজনা সাথে পালন করা হয়। সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব ।হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা করা হয়। সনাতন ধর্মে ভগবান গণেশের গুরুত্ব অনেক। সব দেবদেবীর পূজা শুরু হয় গণেশের মন্ত্র উচ্চারণ করে। শিব ও পার্বতীর পুত্র গণেশকে হিন্দুদের সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা মনে করা হয়। সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত।
হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে।গতকাল ছিল গণেশ চতুর্থী। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন। আমাদের কৃষ্ণনগরে আগে গণেশ চতুর্থীর কোন ধুম ছিল না। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত পুজোর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কালকে ঈশাদের বাড়িতে ছিল গণেশ চতুর্থীর পূজা। ঈশাদের বাড়িতে ও এখন সব পুজোয় করা হয়। তবে আমাদের বাড়িতে ও গনেশের ছবি আছে। সকালবেলায় শাশুড়ি মা গনেশ ঠাকুরকে সুন্দর করে সাজিয়ে পুজো করেছিলেন। গণেশ লাড্ডু পছন্দ করে ।সকাল সকাল শ্বশুরমশাই দোকান থেকে লাড্ডু কিনে এনে দিয়েছিল। আমাদের বাড়িতে শাশুড়ি মা নিজেই পুজো করেন।
ঈশাদের বাড়ি এই প্রথমবার ধুমধাম করে গণেশ পূজা করা শুরু হলো। আসলে গণেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করল। ঈশার বাবা অনেকদিন আগেই গণেশ মূর্তিটাকে কিনে এনে রেখে দিয়েছিল। গণেশ মূর্তিটা দেখতে খুব সুন্দর। গণেশ পূজার আগের দিন থেকেই আমি ,ঈশা আর ঈশার বাবা সকলে মিলেই গণেশ ঠাকুরের পিছনে ডেকোরেশন করছিলাম। পরের দিন সকাল বেলায় সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পূজোর জোগাড় করার জন্য ঈশাদের বাড়ি গিয়েছিলাম। আমি যখন গেলাম তখন ঈশার প্রায় সবকিছুই জোগাড় করা হয়ে গিয়েছিল। ঈশা বাড়ির পুজোর জোগাড় করতে প্রায় সব শিখে গেছে।
আমি এর আগে কোনদিনও গনেশ পূজা দেখিনি। ঠাকুর মশাই খুব সুন্দর ভাবে পুজো করছিল। ঈশারা খুব সুন্দর ভাবে পূজোর আয়োজন করেছিল। ওরা পুজোর কোনো কিছুর ত্রুটি রাখে না।অর্ধেক পূজা দেখেই আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম। পুরো পুজো আমি দেখতে পায়নি। ইচ্ছে ছিল পুরো পূজো দেখবার। কিন্তু শাশুড়ি মা অসুস্থ ছিল। বাড়িতে রান্না করতে হবে ।তাই চলে আসতে হয়েছিল। গণেশ চতুর্থীর দিন ঈশাদের বাড়িতে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। আমি যখন ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন ওদের বাড়িতে পুজো শেষ হয়ে গিয়েছিল। গণেশ পুজোয় এত কিছু আয়োজন করতে হয় তা আমার জানা ছিল না। পুরো পুজো দেখতে না পেরে আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
আজ এইখানেই শেষ করছি।আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে । আবার পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।