নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
গতকাল ছিল তেই শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন । এই দিনটি নেতাজি জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে ওড়িশার কটক শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন জানকী নাথ বসু আর মা ছিলেন প্রভাবতী দেবী। নেতাজি সম্পর্কে আপনারা হয়তো সকলেই কম বেশি অনেক কিছুই জানেন। ছোট থেকে সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী। তিনি দেশের কাজেও উদ্বুদ্ধ। তিনি দেশকে ভীষণ ভালবাসতেন। তাই নেতাজিকে দেশপ্রেমী বলা হত।তিনি নিজেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের একজন নেতা ছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এমন একজন নেতা ছিলেন তিনি কাজের মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে তুলেছিলেন। তার অনেক বিখ্যাত বাণী আজও আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে।
তিনি বলেছিলেন ''তোমরা আমাদের রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব"।
এছাড়াও" আমাদের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের জন্য কাজ করা"।
এই দিনটি সমস্ত ভারতবাসীর কাছে একটা বিশেষ তম দিন হিসেবে পালন করা হয়। ছোটবেলায় এই দিনটাতে প্রত্যেক বছর সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই যেতে হত স্কুলে। ঠান্ডার মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে যেতে হত পতাকা উত্তোলনের জন্য। আসলে এই সময় এই দিনটার গুরুত্ব এতটাও জানতাম না।সাথে বিভিন্ন রকমের ফুল নিয়ে যেতাম। বিভিন্ন রকমের ফুল যোগাড় করতাম। স্কুলে নিয়ে যেতে হবে বলে।গতকাল থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা পরা আবার শুরু হয়ে গেছে। তারই মধ্যে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখছিলাম রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা সকলেই নিজেদের স্কুলে যাচ্ছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালন করার জন্য। এখন বিভিন্ন জায়গায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জন্মদিন পালন করা হয়। ঠিক তেমনি সকালবেলায় আমার মামীও চলে গিয়েছিল নেতাজির জন্মদিন পালন উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের জন্য।
এদিকে কাল প্রচন্ড ঠান্ডা হবার কারণে মামার মেয়েকে স্কুলে যেতে দেওয়া হয়নি। ওর প্রচন্ড মন খারাপ ছিল। তাই আমি নিজে সাথে করে কাছেই এক জায়গায় পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছিল। সেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম তাকে দেখানোর জন্য। সেই ছোটবেলার লজেন্স ,বিস্কুট দেওয়ার রীতি এখনো চলে আসছে। প্রত্যেক টি স্কুলের এখনো লজেন্স, বিস্কুট সাথে কেক, মিষ্টি কিংবা কোন ফল জাতীয় জিনিস দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রত্যেক স্কুল থেকে পদযাত্রা বার করা হয়। নেতাজি জয়ন্তী পালনের সাথে সাথে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়।
এমনকি কিছু রাজ্যে এই দিনটিতে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। উনি আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক আন্দোলন করেছিলেন।নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু একজন দেশপ্রেমিক ও একজন সমাজতান্ত্রিক নেতা ছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। ছোটবেলায় থেকেই বইতে পরেছি নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু একথা সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি। গতকাল ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিন তার জন্মদিনে তাকে অসংখ্য প্রণাম জানাই। নেতাজী সম্পর্কে লিখে শেষ করা যাবে না।
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার পরবর্তী কোনো গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।