মায়াপুর দর্শন
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
শীতকালে একটু ঘুরতে যেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আমার নিজের পরিবারের সাথে কখনোই সেভাবে ঘুরতে যাওয়া হয় না। কারণ আমার বর আমাকে সেভাবে সময় দিয়ে উঠতে পারে না। যাই হোক গত বছরেই আমরা সকলেই মিলে প্ল্যান করেছিলাম বাইরে কোথাও ঘুরতে যাব। বাইরে বলতে কাছে পিঠে কোথাও। আবার আগে থেকে প্ল্যান করে রাখলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়ে ওঠে না। গত বছরে আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ি আর ঈশাদের বাড়ির সকলে মিলে গিয়েছিলাম মায়াপুরে বেড়াতে।
যেহেতু হঠাৎ করে প্ল্যান হয়েছিল তাই কিসে করে যাব সেটাই ভেবে উঠতে পারছিলাম না। প্রথমে সকলে মিলে ঠিক করেছিলাম টোটো তে করে যাব। কিন্তু গত বছরে খুব ঠান্ডা পড়েছিল। তাই অনেকেই টোটো তে যেতে একদমই রাজি হচ্ছিল না। তাই একটা গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল।
দুপুর বেলাতেই হঠাৎ প্ল্যান করার পর সকলে দুপুরের খাবার খেয়ে রেডি হতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু গাড়ি আসতে অনেকটাই দেরি করেছিল। আমাদের বেরোতে প্রায় বিকেল চারটে বেজে গিয়েছিল। অনেকটা দেরি হওয়ার জন্য অনেকেই আবার যেতে চাইছিল না । কারণ রাতের বেলায় কোন কিছুই ঠিকঠাক ভাবে দেখতে পারব না। যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট লাগে।আমাদের মায়াপুর পৌছাতে প্রায় পাঁচ টা বেজে গিয়েছিল। তখনো অনেক মানুষ জনই ছিল। শীতকালে অনেকেই মায়াপুর দর্শন করতে আসে। শুধু শীতকাল বলেই নাই সারা বছরেই মায়াপুরে বহু পর্যটকের ভিড় থাকে ।আমাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয় তাও আমাদের যাওয়া হয়ে ওঠেনা। বিকেলে মায়াপুরে চারিদিকটা একটু ঘুরে দেখলাম। তখন হালকা হালকা সন্ধ্যে নামছে চারিদিকে। বিভিন্ন রকমের ফুল ফুটে থাকে সেগুলোই দেখতে অসাধারণ লাগে।
চারিদিকে খানিকক্ষণ ঘোরার পর আমরা সকলে মিলে মন্দিরের ভিতরে সন্ধ্যা আরতি দেখবার জন্য ঢুকে পড়েছিলাম। সকলে মিলে মন্দিরের ভিতরে সন্ধ্যা আরতি দর্শন করেছিলাম। আমি এই প্রথমবার মন্দিরের সন্ধ্যা আরতি দর্শন করেছিলাম। সন্ধ্যা আরতি দেখতে বেশ বহু ভক্তের ভিড় জমে ছিল। সন্ধ্যা আরতি দেখতে দেখতে মনটা একদমই অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। একটু অন্যরকম শান্তি অনুভব করতে পারছিলাম।এই প্রথমবার মায়াপুরে শ্রীকৃষ্ণের দর্শন ও মহাপ্রভুর দর্শন পেয়েছিলাম। দু একবার মায়াপুরে গিয়েছি কিন্তু সেভাবে মন্দিরের ভিতরে ঢুকে শ্রীকৃষ্ণের দর্শন করা হয়নি। তবে গত বছরে চারিদিক ঘুরে দর্শন করতে না পারলেও ভিতরে প্রভুর দর্শন পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। সন্ধ্যা আরতি হবার সময় সকলেই দুহাত তুলে নাচ ছিল। আমরা সকলে মিলেই মায়াপুরের প্রভুদের সাথে তুলসী পরিক্রমা করেছিলাম।
মন্দিরে সন্ধ্যা আরতি শেষ করে আমরা বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মন্দির থেকে বেরোতেই খানিকটা দূর এসে এক জায়গায় গাড়ি দাঁড় করানো হয়েছিল। সেখানে সকলে মিলে চা খেয়েছিলাম। সেখানকার চা খুব সুন্দর ছিল। মায়াপুর থেকে সকলে মিলে চলে গিয়েছিলাম আরেক জায়গায় নিমন্ত্রণ খেতে।এক জায়গায় কালীপূজার নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে সকলে মিলে প্রসাদ খেয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম।
আজ এখানে শেষ করছি ।আবার পরবর্তী কোনো গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)
it's seems that you had amazing time spent with your family, family together is always gives lots of memories and happiness...