One Of My Fabourite Curry

নমস্কার,

আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন ।

প্রতিদিনের মতো আজকে ও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ।আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব ।আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।

আমার সব গৃহিনীরাই জানি, কচু শাক কিভাবে রান্না করতে হয় ।কচু শাক সাধারণত পেঁয়াজ,রসুন দিয়ে রান্না করে থাকি ।মাঝে মাঝে মাছ দিয়েও রান্না করা হয়।আজ আমি পিয়াজ ,রসুন ছাড়া নিরামিষ কচু শাক তৈরির রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

গ্রামের বাড়িতে বাড়ির আশেপাশে প্রচুর কচুশাক দেখতে পাওয়া যায়। শহরেও কিছু কিছু এলাকায় এই কচুশাকগুলো দেখতে পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে সবজি বিক্রেতারা এই শাকগুলো বিক্রি করতে এলাকায় নিয়ে আসে ।এই কচু শাক দিয়েই আজকে আমি নারকেল দিয়ে নিরামিষ কচু শাক তৈরি রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।এই শাকগুলো রান্না করার পর খেতে খুবই ভালো লাগে ।তো চলুন ,রেসিপিটি আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।

প্রথম ধাপ

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

দ্বিতীয়ধাপ

প্রথমে শাকগুলোর উপরের আবরণটা ফেলে দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি শাকগুলো ধুয়ে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে একটা পাত্রের সিদ্ধ করে নিয়েছি ।

তৃতীয় ধাপ

কচু শাক সেদ্ধ করার সময় কচু শাক থেকে প্রচুর জল বের হয় সেই জলটা একদম শুকানোর পর একটা পাত্রে নামিয়ে নিলাম ।

চতুর্থ ধাপ

কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম ।তেলটা গরম হওয়ার পর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম শুকনো মরিচ ,তেজপাতা পাঁচফোড়ন,ও আদাবাটা এখানে আদা বাটাও ব্যবহার কর যায়অথবা পরিমাণ মতো আদা থেঁতো করে ও দেওয়া যায় ।আমি এখানে আদা বাটা দেইনি ।আদা থেঁতো করে দিয়েছি।

পঞ্চম ধাপ

এখন এই পর্যায়ে মসলার মধ্যে নারকেলগুলো দিয়ে দিলাম । নারকেলগুলো একটু ভেজে তারপর এর মধ্যে সেদ্ধ করে রাখা কচুগুলো দিয়ে দিব।

ষষ্ঠ ধাপ

এখন এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পরিমাণ মতো হলুদ ও স্বাদমতো চিনি এখন আমি লবণ দেই নি কারণ সেদ্ধ করার সময় লবণ দেওয়া আছে ।

সবগুলো উপকরণ নেড়েচেড়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে । যখন কচুশাকের জল পরিপূর্ণ শুকিয়ে যাবে ও কচুশাকেরউপরে তেল ভেসে উঠবে তখন শাকগুলো নামিয়ে নিতে হবে।

বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্য আরেকদিন হাজির হব নতুন কোন রেসিপি নিয়ে । ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন । সুস্থ থাকবেন।