Betterlife with steem ||The diary game|| 30 July, 2024
আমাদের দেশে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমি মানসিকভাবে মর্মাহত ও আতঙ্কিত । মনে হয় যেন চারদিকে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সন্তান হারা মায়ের আত্মচিৎকার ও ভাইহারা বোনদের ক্রন্দনের ধনী ।এ যেন অনাকাঙ্ক্ষিত রক্ত ঝরা মৃত্যুর মিছিল ।এই পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে নিজেকে ঠিক রাখা খুব কঠিন!
যখন নিউজ দেখি ,তখন সন্তান হারা বাবা-মায়ের কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্য দেখে নিজের চোখে জল ধরে রাখতে পারি না ।এই কষ্টের অনুভূতি প্রকাশ করার মত নয় !সত্যি কথা বলতে কষ্টের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার কোন ভাষা থাকে না!
আমি ভাষা আন্দোলন দেখিনি ,দেখিনি মুক্তিযুদ্ধ।দেখিনি সেই বীর সন্তানদের আত্মত্যাগ।একবিংশ শতাব্দীতে এসেও যে এমন মৃত্যুর মিছিল দেখতে হবে, কথাটা মনে পড়লেই হৃদয় কেঁদে উঠে!মেধাবী ছাত্ররা তাদের অধিকার আদায়ের লড়াই করছে ।নিজের অধিকার চাওয়ার মাঝে তো কোন ভুল দেখি না?তাহলে কেন এই পাষন্ডতা, কেন এই বর্বরতা, কেন এই মেধাবী ছাত্রদের রক্ত ঝরা মৃত্যুর মিছিল!স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও যদি নিজের অধিকার চাওয়ার অধিকারটাই না থাকে তাহলে কিসের স্বাধীনতা?
সত্যি কথা বলতে কি! একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে, স্বাধীন দেশ নামক স্বাধীন দেশে থেকে কে কতটা স্বাধীনতা পাচ্ছে।
যাই হোক , অন্যান্য দিনের মতো আজও আমি চলে আসলাম , আপনাদের সাথে আমার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য ।
''আমার দিনটি যেভাবে কেটেছে'' |
---|
কদিন যাবত ঘুম থেকে ওঠার পরই ঠাকুর প্রণাম করে প্রথমে ল্যাপটপ নিয়ে বসি মনে হয় যেন ল্যাপটপে বসা নিয়েই দিনটা শুরু হয় ।
দিনের শুরুতে ল্যাপটপ নিয়ে বসার কারণটা হলো ,খুব সকালবেলা নেট সংযোগ ভালো পাওয়া যায় । তাই ল্যাপটপ নিয়ে বসি ।নেট সংযোগ দেওয়ার পর থেকে নেট এতটাই স্লো যে, যখন তখন ইচ্ছে করলেই যে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না ।যদিও মাঝে মাঝে প্রবেশ করা যায়, কিন্তু কাজ করা যাচ্ছে না ।
মূলত স্টিমিটে ঢোকার জন্যই খুব সকালে ল্যাপটপ নিয়ে বসি ।দিনের মধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করি স্টিমিটে ঢুকার জন্য মাঝে মাঝে ঢোকা যায় মাঝে মাঝে ঢুকা যায়না ।একমাত্র সকাল বেলাই পোস্টগুলো ক্লিয়ার ভাবে পড়তে পারি ও ভোট দিতে পারি ।
''সকালের নাস্তা'' |
---|
যাইহোক ,এ কাজগুলো শেষ করে অন্যান্য দিনের মতো সংসারের প্রাত্যহিককাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম । প্রতিদিনের মতো আজও চলে গেলাম ছাদ পূজার ফুল তোলার জন্য । ফুল তুলে নিয়ে এসে সকালের নাস্তার জন্য রান্না ঘরে চলে গেলাম ।অনেকদিন যাবত ছেলে বলছিল লুচি খাবে তাই আজ সকালে নাস্তার জন্য ছোলার ডাল ও লুচি তৈরি ।
দুপুর |
---|
''দুপুরের রান্না'' |
---|
আজ দুপুরের জন্য রান্না করেছি রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়ো ঘন্ট ও দই পটল তার সাথে আরও রান্না করেছি শুটকি ভর্তা।শুটকি ভর্তা আমার খুব পছন্দের একটি খাবার।মন চায় প্রতিদিন এই ভর্তা দিয়ে ভাত খাই। কিন্তু তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ প্রতিদিন করা ভর্তা একটা ঝামেলা।সবাই মিলে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে নিলাম । দুপুরবেলা আমার শোয়ার অভ্যাস নেই ।তাছাড়া শুয়ে থাকার সুযোগও পাই না। কিন্তু কেন জানি না আজকাল শরীরটা বেশি একটা ভালো যাচ্ছে না।
সন্ধ্যা |
---|
সন্ধ্যাবেলা সন্ধ্যা পূজা শেষ করে সন্ধ্যা টিফিনের জন্য ছেলে ও শাশুড়ি মাকে নুডুলস তৈরি করে দিলাম ।টিফিন শেষ করার পর ছেলেকে পড়তে বসালাম ।
দিদি প্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।
আপনি ঠিক ভালো কাজই করছেন সকালে যেহেতু নেট সংযোগটা ভালো হয় তাই আগে ইন্টারনেট কাজগুলো সেরে নেন তারপর বাসার যাবতীয় কাজ করেন।
সকালের নাস্তা লুচি ডাবলটা অনেক লোভনীয় ছিল। সন্ধ্যার পরে পুজো শেরে নিয়ে ছেলের জন্য নুডুলস বানিয়েছেন। লুডুসটা ও দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে।