Better Life With Steem || The Diary game || 01 September 2024
ইদানিং একটি বিষয় আমাকে খুব বেশি তারা করছে ।সেটা হল ,আমি যে প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছি সেই প্রতিষ্ঠানে আমি আমার কর্ম দ্বারা যদি লাভবান না হতে পারি ,তাহলে প্রতিষ্ঠানটিও লাভবান হবে না ।আমার ভাললাগার জায়গাতে নিজেকে একটিভ এবং উন্নত করতে চাই কিন্তু আমিপারছি না। পিছুটান আমাকে পিছু টানছে। আমাকে সামনে এগুতে দিচ্ছেনা ।আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে দিচ্ছে না!
প্রতিনিয়ত কেবল মনে হচ্ছে ,অদৃশ্য কিছু একটা আমাকে সফল হতে দিচ্ছে না !আমার সফলতার পথে প্রতিনিয়তই বাধা সৃষ্টি করছে ।আমি যদি কোন কিছু ভাবি সে ভাবনা গুলোকেএলোমেলো করে দিচ্ছে ।আমি যদি কোন কাজ করি সে কাজগুলোকে বারবার ভুল করাচ্ছে ।আমি যদি কোন সিদ্ধান্ত নেই, সেই সিদ্ধান্তে আমাকে অলস করে রাখে ।আর নয়তো ভুলিয়ে রাখে। আমার সাথে কেন এমন হচ্ছে? এগুলোর সাথে প্রতি নিহতই লড়াই করতে করতে এখন আমার মনে হচ্ছে অদৃশ্য কোন একটা কিছু আমাকে উন্নত হতেদিচ্ছে না।আমাকে আমার কর্মে সফল হতে দিচ্ছে না ।এই অদৃশ্য অজানা ,অচেনা, অদেখাবস্তুটির কাছে আমি হেরে যেতে চাই না!একে এর বিনষ্টকারী উদ্দেশ্যকে আমি কোন কিছুতেই সফল হতে দেব না!
আমি নিজেকে সফল করবই করব !আমি আমার ভালো লাগার জায়গাতে একদিন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এই অদৃশ্য বস্তুটি আমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না ।কারণ এর উদ্দেশ্যমহৎ নয়। মহৎউদ্দেশ্যহীন কেউই কখনো সফল হতে পারেনা !
সৃষ্টিকর্তা আমাকে ধৈর্য ধরার শক্তি দিয়েছেন। হেরে না যাওয়ার মনোবল দিয়েছেন ।বারবার চেষ্টা করার ইচ্ছে দিয়েছেন ।সত্যের পথে থাকার জ্ঞান দিয়েছেন। তার প্রতি বিশ্বাস রাখার বিশ্বাস দিয়েছেন ।আমি ভগবানকে বিশ্বাস করি ।বিশ্বাসের প্রতিদান তিনি আমাকে দিয়েছেন।আমি ভগবানকে সদা সর্বদা বলি, ভগবান আমার বিশ্বাসে যেন কলঙ্ক না লাগে ।তোমার সম্মান যেন সদা সর্বদা অটুট থাকে।
''সকাল'' |
---|
আমার আজকের দিন টা অন্যান্য দিনের চাইতে একটু অন্যরকম ভাবে শুরু হয়েছে ।আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘুম ভেঙে গেল।ঘুম থেকে জাগার পরপরই নিজের কিছু কথা এবং পরিচিত মানুষের অপরিচিতমানুষের মত ব্যবহারের কথা মনে পড়ছিল।
ঘুম থেকে উঠে ঠাকুর প্রণাম করে খাতা কলম নিয়ে বসে ছিলাম।আজকের পোষ্টের শুরুতে যে কথাগুলো লিখেছি সেই কথাগুলো বসে বসে খাতায় লিখেছি ।কেননা পোস্ট লিখতে গেলে সাথে সাথে গুছিয়ে লিখতে পারি না ।তাই আমি আগে খাতায় লিখে নিই।তারপর সম্পূর্ণ পোস্ট রেডি করি।
ছেলের পরীক্ষা চলছে। ছেলে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পরীক্ষা দিতে চলে গেল ।তারপর আমি আমার লেখা শেষ করে সকালের প্রতিদিনকার কাজকর্মগুলো সেরে নিলাম।
দুপুর |
---|
আজ দুপুরে রান্নার তেমন একটা ঝামেলা ছিল না। আজকে দুপুরের জন্য বিরিয়ানি রান্না করেছির।বিরিয়ানির ছবি তুলতে মনে নেই তাই ছবি দিতে পারলাম না।আজ সকালে নাস্তা তৈরি করতে মন চাইছিল না ।তাই নাস্তা তৈরি করিনি ।এজন্য দুপুরের রান্নাটা তাড়াতাড়ি সেরে নিলাম ।রান্না শেষ করার পর দুপুরের খাবারটা আজ খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলেছি।কারণ খুব খিদে পেয়েছিল!সকালে নাস্তা করিনি তো, তাই!
গতকালকে ছেলের জন্য তালের বড়া বানিয়েছিলাম । তালের বড়া বানিয়ে কয়েক দিন ঘরে রেখে খাওয়া যায়। আমার ছেলে এই প্রথম তালের বড়া খেলো। আগে কখনো খায়নি ।ছেলের জন্য বড়া বানিয়েছে ঠিক, কিন্তু ছেলে বলছে ওর কাছে নাকি তালের বড়া ভালো লাগে না ।আমার কাছে তালের বড়া খুব ভালো লাগে!
ছেলে দু-একটা তালের বড়া খেলো ।বেশি একটা খেলো না। ওর নাকি ভালো লাগছে না। ঘরে মালটা ছিলওকে মালটা কেটে দিলাম। মালটা খেয়ে ।তারপর পড়তে বসলো। দুঃসম্পর্কের এক মামার বাসায় সন্ধ্যার দিকে এক অনুষ্ঠান ছিল ।সেখানে যাওয়ার জন্য আমাকে নেমন্তন্ন করেছিল তাই সন্ধা পূজা শেষ করে মামার বাসায় চলে গেলাম।
মাঝে মাঝে আমাদের কাজে এরকম পিছুটান থাকে, সে সময়গুলোতে আমরা নিজের কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না, তারপরও নিজের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে চেষ্টা করতে হবে, আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
উপরোক্ত লাইনটি আপনি আপনার পোস্টের শেষে দুবার লিখেছেন। তাই অনুরোধ করব একটা অংশ ডিলিট করে দেওয়ার জন্য। পোস্ট করার পূর্বে নিজের লেখাটা সম্পূর্ণ একবার পড়ে নেবেন, তাহলে এই অনাকাঙ্খিত ভুলগুলো চোখে পড়বে।
ঈশ্বর আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই সুপ্ত কিছু শক্তি দিয়ে থাকেন, সেগুলোকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা আমাদেরকেই করতে হয়। সত্যিই আপনার পোস্টের শুরুর দিকের কথাগুলো পড়ে ভালো লাগলো। এতোখানি ধৈর্য্য ঈশ্বর আপনাকে দিয়েছেন বলেই বোধহয় আপনি আপনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারছেন। হয়তো অনেকেই এই চেষ্টাটা রাখতে পারেনা বলেই, বারবার পথ বদলে নেন। তবে আপনি আপনার লক্ষ্য স্থির রেখেছেন এবং সেই পথে চলার জন্য আপনি বদ্ধপরিকর। আপনার এই মানসিক জোড়ই আপনাকে একদিন সফল করবে। পাশাপাশি ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখাটাও অত্যন্ত জরুরী।
বেশিরভাগ বাচ্চারাই তালের বড়া খেতে পছন্দ করে না। তবে আমার খুব একটা মন্দ লাগে না। বড়া গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের মনের কিছু কথা এবং সারা দিনের কার্যাবলী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
"আমার দিনলিপি শেষ করে সবাইকে ভালো থাকা এবং সুস্থ থাকার জন্য আমার নিউ ইয়ার 2024-এর শুভেচ্ছা! ❤️🌞
তালের বড়া খেতে নিজেরের পক্ষে অন্যদিন নিয়ে আসি 😊। আরো ছবি থাকলে শেয়ার করতে পারবেন? 📸
@xpilar.witness, মেধা দিন ভালো হোক। 👏"