কলার মোচার ঘন্ট রেসিপি
সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন ।দীর্ঘদিন পর আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে ।পারিবারিক এবং পারিপার্শ্বিক সমস্যা কারণে আমি কমিউনিটিতে যুক্ত থাকতে পারিনি ।
সত্যি কথা বলতে কি ?আমাদের জীবনটা না সব সময় আমাদের ভাবনা চিন্তা অনুযায়ী চলেনা ।আমরাভাবি একরকম কিন্তু হয়ে যায় আরেক রকম ।সময় এবং পরিস্থিতি আমাদের ইচ্ছে এবং ভাবনাগুলোকে পরিবর্তিত করে দেয় ।বলবান এবং চিরসত্য" সময় "নামক এই শব্দটি আমাদেরকে সিদ্ধান্ত দেয় যে আমাদেরকে কখন কি করতে হবে ।আরেকটি কথা! সময় হচ্ছে এই পৃথিবীতে সবচাইতে বড় ন্যায় বিচারক । আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যে, সময়ের ধর্মই মনে হয় ন্যায়বিচার করা ।
যাইহোক ,এখন চলে যাই মূলপর্ব । বর্তমান সময়ে আধুনিকতার সাথে সাথে আমাদের জীবনযাত্রা যেমন বদলে গেছে ঠিক তেমনি ভাবে পুরনো দিনের খাবার গুলো ও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে । আজ আমি আমার ব্লগটি শুরু করতে যাচ্ছি পুরনো দিনের আমার পছন্দের একটি রেসিপি দিয়ে ।আমার আজকের রেসিপিট হচ্ছে নিরামিষ মোচার ঘন্ট ।এই রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে ।তাহলে চলুন ,রেসিপিটি শুরু করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
নাম | পরিমান |
---|---|
জিরা বাটা | ১ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ টেবিল চামচ |
শুকনো মরিচের গুড়া | স্বাদমতো |
লবণ | সাদ মত |
কাঁচা মরিচ | 4- 5 |
চিনি | ২ চা চামচ |
লবঙ্গ | ৫-৬ |
তেল | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুতির পদ্ধতি
প্রথম ধাপ
প্রথমে কলার মোচার উপরের অংশগুলো ছাড়িয়ে নিলাম।
দ্বিতীয়ধাপ
এ পর্যায়ে আমি মোচার সমস্ত ফুল গুলো খোসা ছাড়িয়ে একটি প্লেটে নিয়ে নিলাম ফুল গুলোর ভিতরে দুটি শক্ত আবরণ থাকে সে আবরণ গুলো ফেলে দিতে হয় সমস্ত ফুলের শক্ত আবরণ গুলো একের পর এক ছাড়িয়ে নিলাম ছবিতে দেওয়া এই দুটি আবরণ ফেলে দিত হয়
মোচার ফুলগুলোছাড়িয়ে নেওয়ার একটাপর্যায়ে মোচার ভেতরের অংশটা এমন দেখায় ।এই অংশটা দিয়ে দারুন দারুন মজার চপ ও তৈরি করা যায় ।চপগুলো খেতে ভারী সুস্বাদু হয়।
তৃতীয় ধাপ
মোচার ফুলগুলো ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিলাম ।তারপর পরিমাণ মতো জল ও হালকা হলুদ দিয়ে মোচার কুচি গুলো দশ মিনিটের মতো সেদ্ধ করে নিলাম ।কলার মোচা তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তাই এগুলো জলে ভিজানোর পর কালো হয়ে যায় ।তাই সেদ্ধ করার সময় হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করলে মোচার কুচি গুলো কালো হয় না। মোচার কুচি গুলো দশ মিনিটের মত সিদ্ধ করে তারপর একটি ছাঁকনির মধ্যে নিয়ে ভালো করে জল ঝরিয়ে নিলাম ।
চতুর্থ ধাপ
পরিমাণ মতো আলু কিউব করে কেটে ভেজে নিলাম
পঞ্চম ধাপ
এখন করার মধ্যে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ।এটা সরিষার তেল দিয়েও রান্না করা যায় ।তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম দুটি তেজপাতাও গোটাকয়ের সাদা জিরে ।তারপর বেটেরাখা মসলাগুলো পেস্ট করে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। এর মধ্যে দিয়ে দিলাম গোটা কয়েক এলাচদারচিনি ও লবঙ্গ। মসলাগুলো কিছুক্ষণ কসানোর পর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম ভেজে রাখা আলো ও সেদ্ধ করে রাখা কলার মোচা।
মোচাগুলো আরো কিছুক্ষণ মসলার মধ্যে কষিয়ে নেওয়ার পর এর মধ্যে দিয়ে দেবো পরিমাণ মতো জল। জলটা যখন শুকিয়ে গায়ে গায়ে লেগে আসবে তখন এর মধ্যে দিয়ে দিব এক চামচ চিনি এবং এক টেবিল চামচ বাটা গরমসলা ।মসলা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে একটা প্লেটে মোচার ঘন্ট টা নামিয়ে নিব ।
এইতো হয়ে গেল আমার প্রিয় কলার মোচার ঘন্ট। এখন গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করা যাবে। আপনারাও বাসায় এই রেসিপিটা একবার ট্রাই করে দেখবেন ।খেতে দারুন লাগে।
কলার মোচা স্বাস্থ্য উপকারিতা
কলার মুচায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে । মুচায় রয়েছে প্রোটিন ও ভিটামিন ই যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।কলার মোচা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে ।কলার মোচায় আয়রনের পরিমাণ খুব বেশি । তাই এটি আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণের সহায়তা করে । এবং শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে । যারা রক্তশূন্যতায় ভুগে ডাক্তাররা তাদেরকে কলার মোচা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ।
বন্ধুরা আজ আমার রেসিপিটি এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
অনেক দিন পরে আপনকে একটিভ দেখে ভালো লাগলো। ঠিকই বলেছেন সময়ের কাজ ন্যায় বিচার করা। সময়ের চাইতে শক্তিশালী কেউ নাই।
মোচা খেতে ভালোই লাগে কিন্তু এটা রান্নার আগের প্রসেসটি বেশ ঝামেলার ,তাই খাওয়া কমই হয়। তবে আমি রান্না করলেও আপনার মতো করেই করি।
এতো সুস্বাদু একটা খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ ধন্যবাদ আপনাক।
আমার পোস্টটি পরিদর্শন করে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।ভালো থাকবেন।
আজকে আপনি আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি খাবারের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, আসলে কলার মোচা খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি।
যখনই বাজারে যায় তখন যদি কলার মোছ আমি দেখতে পাই তখনই সে কলার মাঝে আমি কিনে নিয়ে আসি এবং বাসায় এসে ডাল ও কলার মোছাতে রান্না করতে বলি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কলার মোচার ঘন্ট আমরাও মাঝে মাঝে খাই তবে এভাবে রান্না করে কখনও খাওয়া হয় নি ৷ আজকে আপনার কলার মোচার ঘন্টোর রেসিপি টা দেখে জিভে জল চলে আসলো ৷ সাথে রেসিপির উপাস্থাপন টাও বেশ সুন্দর ভাবে করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
দিদি, বিশ্বাস করুন কলার মোচা আমার অনেক প্রিয় একটা খাবার। চিংড়ি দিয়ে কোলার মোচা রান্না করলে এর থেকে ভালো কিছু হতেই পারে না।আমাদের বাড়িতে কলা গাছ রয়েছে আর মাও মাঝে মাঝে রান্না করে। আজ আপনি কলার মোচা রান্নার পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।