আমার আজকের সারাটি দিন।
পড়ন্ত বিকালের দৃশ্য |
---|
আমরা বর্তমানে যেই আধুনিক সভ্যতায় বাস করি, সেখান থেকে আমরা বলতে পারি একটা মানুষ পৃথিবীতে কোন দিন কোন মুহূর্তে আসবে কিন্তু একটা মানুষ পৃথিবী ছেড়ে কখন কোন মুহূর্তে চলে যাবে সেটার সময় আমরা কেউ বলতে পারিনা এবং জানিও না । চোখের সামনে অসময়ে অহরহ এমন কিছু মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ,যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা শুধুমাত্র দর্শক সেখানে ।
আমাদের কিছুই করার থাকে না ।আজ এক পরিচিত প্রতিবেশীর মৃত্যু সংবাদ শুনে, মনে মনে বলছিলাম যে, এখনকার সময়ে মানুষ যেমন উল্টাপাল্টা কাজ করে, ঠিক ভগবানও তেমনি উল্টাপাল্টা কাজ এখনকার সময়ে করছে।
উল্টাপাল্টা কাজ বলতে আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি ,সেটা বুঝাতে গেলে চলে আসবে ধর্মের কথা। আমি বর্তমানে যে বয়সে পা দিয়েছি ,সেখানে থেকে বলতে পারি যে ,ধর্ম কি? সেটা বোঝার কিঞ্চিৎ মাত্র বুধগম্যতা হলেও হয়েছে ।
"ধর্ম "হচ্ছে কতগুলো মহৎ গুণের সমষ্টি। যে গুণগুলো সমাজ ও সভ্যতায় প্রয়োগ করলে সমাজের মানুষগুলো ভালো থাকবে ,সুখে ও শান্তিতে থাকবে ,তাদের মঙ্গল হবে ,তাকেই বলা হয় "ধর্ম" ।এখনকার সময়ে আমাদের সমাজে ধর্মের কদর নেই বললেই চলে বা স্থান দিতেও চায় না। অধর্মই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছে এখনকার সমাজের মানুষ নিজের স্বার্থটাই শুধু বুঝে ।তবে হ্যাঁ ,সমাজে এখন ও কিছু মানুষ রয়েছে যারা ধর্মকে অবলম্বন করে বেঁচে আছে, তাই তো পৃথিবী এখন ও টিকে আছে ।
যাইহোক, উদাহরণস্বরূপ একটি সত্যি কথা না বললেই নয় !আর সেটি হল ,আমাদের বর্তমান সময়ের আধুনিক সভ্যতার অধিকাংশ শিক্ষিত সন্তানেরা সবচাইতে বড় অধর্মটি অহরহ করছে। আর সে কথাটি হলো ,শিক্ষিত সন্তানদের কাছে অবহেলিত হচ্ছে তাদের পিতা-মাতারা।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে ,"মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের স্বর্গ" আমাদের ধর্মগ্রন্থ গীতায় বলা হয়েছে ,"পিতা স্বর্গ,পিতা ধর্ম,পিতাই পরমং তপ: ,অর্থাৎ "পিতাই স্বর্গ, পিতা ধর্ম, এবং পিতাই পরম আরাধনার বস্তু।"
যে পিতা-মাতার মাধ্যমে একটি সন্তান তার পূর্ব জীবনের কর্মফল সম্পাদন করার জন্য পৃথিবীতে আসার সুযোগ পেয়েছে ,সেই সন্তানেরাই তাদের পিতা-মাতা কে দুঃখ দেয় ।যে পিতা-মাতাকে দুঃখ দিলে ইহলোক ও পরলোকে শান্তি পাবে নাএই পিতা-মাতাকেই সন্তানেরা তাদের পিতা-মাতার বৃদ্ধ বয়সে তাদেরকে অবহেলা করে ,অসম্মান করে, দুঃখ দেয়। এই বিষয়গুলো না খুব সেনসিটিভ। এই দুঃখগুলো বলে বোঝানোর মত ভাষা আমার জানা নেই।যাইহোক, এখন আমি চলে যাব আমার দিনলিপিতে।
পূজার ফুল |
---|
আজ সকালে যখন ফুল নিয়ে ছাদ থেকে নামছি,লাম তখন হঠাৎ করে একজনের কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম ।তো আমি ঘরে এসে বললাম যে কি ব্যাপার মাসি আপনি কান্না করছেন কেন ?উনি আমাদের পরিচিত এক ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ বলল। লোকটা আমারও পরিচিত কিন্তু উনি হঠাৎ মারা গেল কথাটা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম! উনার এখন মৃত্যুর সময় হয়নি। কিন্তু অসময়ে পৃথিবী থেকেচলে গেল ।এই সংবাদটা শোনার পর থেকে আজকের দিনটা ভালো কাটেনি ।
সকালের নাস্তা |
---|
আজ সকালে নাস্তার জন্য তৈরি করেছিলাম রুটি আর আলুর দম ।সকালের নাস্তা শেষ করে চলে গেলাম স্নান করতে ।স্নান সেরে ঠাকুর পূজা দিলাম ।ঠাকুর পূজা শেষ করে দুপুরের রান্নার আয়োজন করতে চলে গেলাম ।এখন দিন অনেক ছোট রান্না করতে করতে প্রায় বিকেল হয়ে যায়।
দুপুর |
---|
আজ দুপুরের জন্য রান্না করেছি রুই মাছের ভুনা, শুটকি ভর্তা ও ডাল। এখন শীতকাল শীতকালে গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা অনেক ভালো লাগে।আমার বাসায় শীতকালে প্রতিদিন কোন না কোন ভর্তা তৈরি করতেই হয়।ভর্তা না থাকলে আমার খাওয়ায় তৃপ্তি আসে না। আমরা বাঙালিরা কমবেশি সকলেই ভর্তা খুব ভালোবাসি এ, কথা অস্বীকার করা যাবে না।
সন্ধ্যা |
---|
আজ সন্ধ্যায় টিফিনের জন্য তৈরি করেছিলাম ছোলার ডালের ভুনা ও ধনেপাতার বড়া ।শীতের দিনে এই ধরনের খাবার গুলো শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম খেতে খুব ভালো লাগে।
বন্ধুরা ,আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকবেন ।শুভরাত্রি ।আবার কথা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আমরা যতটাই আধুনিক সভ্যতায় বসবাস করি না কেন? ততোটাই আমাদের সমাজ আমাদের পরিবার একেবারেই বিগড়ে যাচ্ছে। আমরা যদি বিগত দিনগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে আমরা কিন্তু একান্নবর্তী পরিবার দেখতে পাই, আর বর্তমান সময়ে একক পরিবারের অভাব নাই। এখানে তারা তাদের সন্তানদেরকে যেমন শিক্ষিত করছে ঠিক, তেমনি তাদের কাছ থেকে অবহেলা পাচ্ছে।
ধর্মটাকে এখন আর মানুষ গুরুত্ব দেয় না এটাকে মানুষ খেলনা হিসেবে ব্যবহার করে, এটা করা কতটা উচিত সেটা আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় এটা করা মোটেও ঠিক না, কেননা ধর্ম আমাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। যেটা আমাদের আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দিয়েছেন এবং আপনাদের ক্ষেত্রে যদি বলি তাহলে আপনাদের ভগবান ওখানে বলেই দিয়েছেন। অবশ্যই বাবা-মাকে সম্মান করা উচিত কিন্তু বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা বাবা মাকে সম্মান করা তো দূরের কথা। তাদেরকে কিভাবে অবহেলা করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করে সবার আগে, যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।
আমাদের ধর্মে একটা কথা বলা হয়ে থাকে আসার জন্য হয়তো বা সিরিয়াল থাকে কিন্তু যাওয়ার জন্য কখনোই সিরিয়াল থাকে না। যেটা হচ্ছে মৃত্যু কখন কার মৃত্যু হবে সেটা আমরা কেউ বুঝতে পারি না। আপনি যার কথা লিখেছেন তার মৃত্যুর বয়স হয়নি কিন্তু তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে পরলোক গমন করেছেন। আল্লাহ তা'আলা কাছে তাঁর শান্তি কামনা করছি। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP