ছাত্র জীবন - Student life
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় পাঠ্য ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম একটি প্রবন্ধ লেখা নিয়ে , খুব মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ছাত্র, শব্দ টা শুনলেই মনে হয় একগাদা বই,বইয়ের পড়া।
আসলে জীবনের প্রতিটা অধ্যায় আমাদের শিখতে হয় । বুঝতে হয় ,অনুভব করতে হয়। গুরুজনরা বলেন দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শেখো। অর্থাৎ কথা বলার বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শুধু আমাদের শিখতেই হয়। সে হিসেবে আমরা সবাই ছাত্র , আর প্রকৃতি আমাদের শিক্ষক। কিন্তু এই কথাটা উপলব্ধি করতে সবাই পারবে না। কারন আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই এবং সেই অধ্যায়নরত সময়কেই আমরা ছাত্র জীবন বলি।
ছাত্র জীবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায় , ছাত্র জীবনকে অনেকটা লোহার সাথে তুলনা করা যায়। লোহা কে আগুনে পুড়িয়ে যেমন যা ইচ্ছে তাই তৈরি করা যায়। তেমনি একজন ছাত্রকে কঠিন অধ্যাবসায় এর মাধ্যমে যেমন খুশি তেমন প্রস্তুত করা যায়।
ছাত্র মানে আগামীর ভবিষ্যত, তাদের হাতে ভবিষ্যত অর্পিত হবে, তাই তাদের কে সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে।
ছাত্র জীবন কখনো কঠোর, কখনো সুন্দর সুশৃঙ্খল।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগের মতো দুর্দিন দুর্দশা নেই।
আগের সময়কালে শিক্ষা ব্যাবস্থা ছিলো নড়বড়ে , হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষিত ব্যাক্তি ছিলেন সমাজে। তাদের হাত ধরেই আজ এই বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা।
একজন ছাত্রকে নীতি নৈতিকতায় পরিপূর্ণ হওয়া আবশ্যক, ছাত্র জীবনে অনেক ভুল থাকে, আর সেই ভুল সুধরে নিয়ে সামনে এগোতে হবে।
শিক্ষকদের সম্মান, গুরুজনে সম্মান, ছোটদের স্নেহ , সবার বিপদে ঝাঁপিয়ে পরার মতো ক্ষমতা,সাহস এবং গুন , ছাত্র জীবনে আয়ত্ব করা উচিত।
আমার একজন দাদা তার ছাত্র জীবনের কিছু গল্প আমাদের সাথে বলেছিলেন। তাদের সময়ে তারা অনেক কষ্ট , এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এর মাধ্যমে পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক দূরের পথ পাড়ি দিয়ে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতেন, স্কুলের বেতন, এবং বই খাতা কেনার জন্য, সে দোকানে চাকরি এবং বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। এবং তার বাবার মৃত্যুর পরে পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার জন্য তাকে তার পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিলো,। পড়াশুনা শেষ না করতে পারার কষ্টে সে এখনো কেঁদে ওঠে। এটা সত্যিই অনেক কষ্টকর।
ছাত্র জীবনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কিছু কিছু ছাত্র পরিবারিক এবং আর্থিক টানাপোড়েন এর জন্য পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। তাদের পড়াশুনার অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিবারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। এটা সত্যিই হৃদয় বিদারক।
পড়াশুনা শুধু সার্টিফিকেটেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। শিক্ষা আমাদের আচরণ, কথাবার্তা, চালচলনে প্রকাশ পায়। তাই প্রাণি শিক্ষার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হওয়া আবশ্যক।
সবার উচিত, ছাত্র জীবন কে উপভোগ করা। এই সময়টাকে কাজে লাগানো । সুন্দর জীবন এবং ভবিষ্যৎ তৈরির কারিগর হিসেবে ছাত্র জীবনের প্রত্যেকটা সময় গুরুত্বপূর্ণ এবং সততার সাথে অতিবাহিত করা উচিত।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মা বাবা সন্তানদের উপর অতিরিক্ত চাপ এবং মানসিক অত্যাচার শুরু করেন। যদি কোনো কারণে ছেলে মেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন না করতে পারে, তবে সমাজ এবং অভিভাবক উভয়ই অনেক মানসিক হেনস্থা এবং অত্যাচার করে। এর ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অপমান এবং কষ্ট পেয়ে আত্নহত্যার মতো জঘন্য ও গর্হিত কাজ করতে বাধ্য হয়। গবেষণায় দেখা যায় কিশোরদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর জন্য খারাপ ফলাফল সমাজ এবং অভিভাবকদের জঘন্য বাক্যালাপ দায়ী।
পরিশেষে বলা যায় একজন ছাত্র মানে আগামীর উত্তরসূরী । তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত এই সময়টাকে অবহেলায় না ভাসিয়ে কাজে লাগানো। এবং ছাত্র জীবন কে উপভোগ করা।
আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম ❤️
ছাত্র জীবনকে এত সুন্দর ভাবে গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করেছেন যা আসলেই অসাধারণ। আমরা এখন ছাত্র জীবনের মূল্য বুঝতে পারিনা বা বুঝতে চেষ্টাও করি না। কিন্তু আমাদের বাপ দাদাদের সময় অনেক কষ্ট করে তারা যতোটুকু লেখাপড়া করেছে তা যথেষ্ট এবং অনেক ভালো মানের লেখাপড়া তারা শিখেছিল কিন্তু এখনকার সময় অনেক উন্নত কিন্তু কেন জানি পড়ালেখার দিকে মনোযোগী নয়।
ছোট বড় সকলকেই মান্য করা শিক্ষকদের সম্মান করা এবং সকলের বিপদেই যেন পাশে থাকতে পারি এমন মন-মানসিকতা সৃষ্টি করা।
যাই হোক পরিশেষে আপনার এই মূল্যবান লেখনি খুবই ভালো লেগেছে হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে আমার।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
🥰🥰
এখানে আপনি বেশ কিছু গুরুত্তপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, যায় মধ্যে দুটো বিষয় আপনার সাথে আমি সহমত পোষণ করি, তার মধ্যে মা বাবার অতিরিক্ত আশা সন্তানের কাছ থেকে আর একটি হলো বর্তমান প্রযুক্তির দৌলতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া এবং হাতের নাগালে অনেক তথ্য পেয়ে যাওয়া।
কিন্তু এই একটি বিষয় সহমত হতে পারলাম না ভাই, আমাদের সময় শিক্ষার মান আজকের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত ছিল, আপনি যদি পুরনো কোনো মানুষের সাথে কথা বলেন যিনি কেবল মাধ্যমিক পাশ করেছেন, আর এখন একজন গ্র্যাজুয়েট এর সাথে কথা বলেন, দেখবেন জ্ঞানের বিস্তর পার্থক্য।
এখন পাশ করা কোনো ব্যাপার নয়, তখন পাশ করাটাই ছিল কঠিন। আমার বাবা সেই সময়ের ইঞ্জিনিয়ার, আমার জ্যাঠামশাই ও তাই ছিলেন।
মহিলাদের শিক্ষার সুযোগ নিম্ন বিত্ত পরিবারে কম থাকলেও আমার না ছিলেন বাংলায় অনার্স নিয়ে পাশ করা। কাজেই মুষ্টিমেয় দিয়ে সমগ্র জাতির বিচার করলে চলবে না। আমি আপনাকে হাজার উদাহরণ দিতে পারি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এবং পুরা লেখা পড়ে বুঝার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া, আমি তো কওমী মাদ্রাসার ছাত্র, সে জন্য এদিকে খেয়াল বেশি আছে🙂
এদিকে আমাদের এমন অবস্থা ছিলো বলে জানা যায়,
আর জেনারেলের বিষয় আপনার কথার সাথে আমি একমত,
যেমন আমার মামা চাচা বাবাদের দেখি যে তারা এতই পড়া লেখায় জ্ঞানী যে আজকালকার কেও তাদের সাথে পেরে উঠতে পারবে না।
সব শেষে অনেক অনেক ধন্যবাদ, লেখা টা পড়ার জন্য।
Thank you so much,🥰🥰
@memamunআপনি এতো সুন্দর করে ছাএ জীবনকে তুলে ধরেছেন পড়ে ভালো লাগলো। কিন্তু একটা কথা বলবো যে মা বাবা সবসময় সন্তানদের ভালোর জন্য পড়াশোনার ওপরে চাপ দেয় তারা চায় তারা যাতে আরও ভালো করে পড়ে ভালো রেজাল্ট করে। কিন্তু তারা সেটাকে চাপ মনে করে ভুল কাজ করে ফেলে। কিছু কিছু ছেলে মেয়ে নিজেদের ভালোটা বুঝে জিবনে এগিয়ে যেতে পারে।
জ্বী আপু সঠিক মন্তব্য করায় আপনাকে ধন্যবাদ ❤️
"
Curated By - @deepak94

Curation Team - Team Newcomer ."
Thank you so much ❤️❤️❤️
thank you for support
আপনি ছাএ জীবন নিয়ে এতো সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি লেখাটা পড়ে।সত্যিই অনেক সময়ে আর্থিক অনটনের কারণে অনেক মেধাবী ছাএ ছাএীরা পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে।
খুব ভালো লাগলো।
আমার এই লেখাটা কে ভালোভাবে বোঝার জন্য
আপনার লেখা পড়তে পড়তে নিজের পড়াশোনার দিনগুলো মনে পড়ে গেলো। তখন আমরা আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকাদের যতটা সম্মান করতাম, আজকের ছেলেমেয়েরা তা করে না। অপরদিকে শিক্ষক শিক্ষিকারাও আমাদের সন্তানস্নেহেই পড়াতেন। সেই সম্পর্ক গুলো খুব মিস করি। আজ হয়তো তাদের মধ্যে অনেকেই বেঁচে নেই, কিন্তু তাদের স্মৃতি থেকে যাবে আজীবন।
আপনি ঠিক বলেছেন, পড়াশোনা করে শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হয় না, প্রকৃত মানুষ হতে গেলে ভালো মানুষের সান্নিধ্যও প্রয়োজন। এতো সুন্দর একটি বিষয়কে নিজের লেখার মাধ্যমে আমাদের সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
খুব ভালো লাগলো।
আমার এই লেখায় আপনাকে স্মৃতিতে ফিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ❤️
ভীষণ দামী কথা লিখেছেন, এই ভাবনাটা একটি মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব জাগাতে সহায়তা করে। ধন্যবাদ একটি সুন্দর লেখা এখানে ভাগ করে নেবার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পাশে থাকবেন সব সময়❤️