ক্রিপ্টোকারেন্সী (cryptocurrency)
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আমার বেশ কয়েকদিন ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সী জানার আগ্রহ হয় । তাই ইন্টারনেট, ইউটিউব এই সব কিছু থেকে যতটুকু জানতে পারলাম। তাছাড়া, আমি মনে করি,আপনাদের সবার জানা দরকার তাই শেয়ার করলাম। ক্রিপ্টোকারেন্সী হলঃ এক প্রকার অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা। যা জীবন-মানকে ডিজিটাল বা সহজ করার জন্য এই ডিজিটাল মুদ্রাটি বানানো হয়েছে। আমরা যদি প্রাচীন যুগে কিছু ইতিহাস পড়ি তাহলে দেখা যায়। মানুষ আগে লেনদেন করত পণ্যের বিনিময় মাধ্যমে, পরে আস্তে- আস্তে মানুষ. করি দিয়ে লেনদেন করত। তারপর রাজাদের আমলে মোহরের প্রচলন ছিল তখন দিনের মানুষরা এই স্বর্ণের মোহর দিয়ে পণ্য কেনাবেচা করতো ।
রাজাদের আমল চলে গেলে, পরে মানুষ টাকা বানানো শুরু করল কাগজের টাকা। এই টাকা দিয়ে লেনদেন বা পণ্য কেনাবেচা আমরা এখন সবাই করে থাকি। এখনকার মানুষ আরো অনেক এডভান্স, তাই ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সী এখন মানুষ ব্যবহার করছে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সী উপর বেশ কয়েকটি দেশে এখন প্রচলন শুরু হয়ে গেছে। কেননা এটি খুব সহজ একটি মাধ্যম লেনদেন করার জন্য। এই ক্রিপ্টোকারেন্সী, ইনক্রিপ্টেড বাইনারি কোড ও ব্লক-চেইন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি ।
এই ব্লক-চেইন প্রযুক্তি এতো পরিমাণ সিকিউরড যে কোন হ্যাকার দ্বারা হ্যাক্ড করা সম্ভব না।নাকামোতো নামের ছদ্মবেশী দল বা কোন এক ব্যক্তি এই ক্রিপ্টোকারেন্সী তৈরি করে। এদের পরিচয় আজ পর্যন্ত অজানা কেউ জানে না, এরা কে।
২০০৯ সালে প্রথম বাজারে আসে এই ক্রিপ্টোকারেন্সী (BitCoin) তারপর বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন নামে, তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সী নিয়ে এসেছে এই অনলাইনে বা ডিজিটাল বাজারে । যেমন: Btc, Dogecoin, Litecoin, Etc.
বাজারে এখন অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সীর রয়েছে তার মধ্যে আমার কাছে মনে হয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সীর গুলো উত্তম।
বিট-কয়েন হল; ক্রিপ্টোকারেন্সীর সর্বপ্রথম ডিজিটাল মুদ্রা। এই ক্রিপ্টোকারেন্সীর-টি, ডিসেন্ট্রালাইজ্ড মুদ্রা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান বা সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না এই ক্রিপ্টোকারেন্সীর উপর। এই কারেন্সির নিয়ে এখন মানুষের যত হইচই ,আর এই কারেন্সি বাজারে অনেক দামও বেড়ে গেছে ইত্যাদি।
নিছক মজা করার জন্য তৈরি করেছে এই ডজকয়েন । নিছক একটি ক্রিপ্টোকারেন্সী প্রজেক্ট শেষ করে। সেই প্রজেক্টের কোডকে মডিফাই করে তৈরি করেছেন এই ডজকয়েন।
যখন এই ডজকয়েনকে ডিজিটাল বাজারে প্রকাশ করে। তখন এই ডজকয়েনের মালিক সকলে বলেই দিয়েছিল এখানে বিনিয়োগ করলে কোন লাভ হবে না, কারণ নিছক মজা করার জন্য এই ক্রিপ্টোকারেন্সী তৈরি করেছে। তারপরও মানুষ এই ডজকয়েনে ইনভেস্ট করা শুরু করলো অনেকেই। একটা মজার বিষয় হল; আজকে বাজারে এই ডজকয়েন অনেক জনপ্রিয়।
লাইট-কয়েন হল; ডি-সেন্ট্রালাইজড পিয়ার-টু-পিয়ার ওপেন-সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সী সফটওয়্যার। যা চার্লস লি প্রকাশ করেছিল ২০১১ সালে ডিজিটাল বাজারে আসে। চার্লস লি একজন গুগলের কর্মচারী ছিলেন। লাইট-কয়েন ব্লক জেনারেশন টাইম এটাতে মাইনিং করতে Scrypt Algotithm ব্যবহার করা হয়।
আমার যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে। তাহলে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনারা যদি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করতে চান। তাহলে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সী প্লাটফর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভালভাবে জেনে নিবেন। কোন মতেই তাড়াহুড়া করে বিনিয়োগ করলে, আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। আজকে তাহলে এই পর্যন্তই অন্য কোন দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।