বাংলা ছায়াছবি ঘুড্ডি
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
ইউটিউব থেকে সংগ্রহ ছবিগুলো।
আমার মন্তব্য
ঘুড্ডি ছায়াছবি বাংলাদেশের ৮০ দশকের ছায়াছবি। ১৯-১২-১৯৮০ সাল এই ছায়াছবি-টি মুক্তি পায়।
আমি যখনই সময় পাই, তখনই পুরনো ছবি দেখি সেটা হিন্দি ছবি হোক বা বাংলা ছায়াছবি হোক, ওই যে কথায় আছে না (ওল্ড ইজ গোল্ড)। বাংলাদেশের ক্লাসিক ছায়াছবির মধ্যে ঘুড্ডি ছবি, আমার দেখা একটি ভিন্ন রকম রোমান্টিক ছায়াছবি। এই ঘুড্ডি ছবির গল্পঃ দৃশ্য অভিনয় গান সব কিছু মিলিয়ে সুন্দর একটা ছায়াছবি। সুবর্ণা মোস্তফার, প্রথম এই ছায়াছবি! এই ছায়াছবির নির্মাণতা; সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, তারও প্রথম ছায়াছবি।
ইউটিউব থেকে সংগ্রহ ছবিগুলো
এই ছবিটি যখন আপনারা দেখবেন আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশের মুভির সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পাবেন। যে আগের দিনের ডাইরেক্টর রা কিভাবে ছবি নির্মাণ করত, এবং এই সব ছবিগুলি সব সময়ই রয়ে যাবে আমাদের মাঝে স্মরণ হয়ে।
ঘুড্ডি ছায়াছবির সংক্ষেপে বিবরণ
আসাদ নামে এক শিক্ষিত বেকার যুবক । আসাদের অনেক ইচ্ছা ছিল নায়ক হবার। ঢাকার শহরে পানির ট্যাংকি কাছে একটা টিনের ঘরে বাস করে। বাঁওন দলে বব ঘুরে, তাঁর কাছে টাকা পয়সা থাকেনা, তাঁর একটা বন্ধুর লন্ড্রির দোকান আছে। ঐ লন্ড্রির দোকানে সে সব সময় আড্ডা দেয়।
ইউটিউব থেকে সংগ্রহ ছবিগুলো
আর দুপুর বেলায় অন্য- বন্ধুর অফিসে দুপুরের খাবার খায়, এক দিন আসাদ তাঁর বন্ধুর গাড়ী পার্কিং করতে গিয়ে পরিচয় হয়। এক সুন্দরীর নারী বা তরুণী যার নাম ঘুড্ডি, তারপরে আবার ঘুড্ডি'র সাথে সাক্ষাৎত হয়, আসাদের ঐ বন্ধুর লন্ড্রির দোকানে, তখন আসাদ আর ঘুড্ডি'র মধ্যে প্রেম সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আর তাঁরা এই ভাবে একে অপরের কাছা কাছি চলে যায়। এছাড়াও আসাদ কে ভালবাসে আরও দুই টি মেয়ে, হয়তো তাদের ভালোবাসাটা আসাদ বোঝেনা।
ইউটিউব থেকে সংগ্রহ ছবিগুলো
এই ছবি বেশ কিছু ডায়লগ আমার ভালো লাগেছে।
১-- বুঝলি অ্যাক্টিং, ছবিটার নাম মনে নাই।
একটা মাইয়া, মুখে সিগারেট নিয়ে, লাইটার জ্বালায়; সিগারেট ধরায় না বুঝলি,আগুনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে - তো রইছে; কি এক্সপ্রেশন। বাঁকা চোখে তাকাইলো পোলাটার দিকে। বুঝলি এরে কয় অ্যাক্টিং । আর আমাগো হিরোরা সা...
২-- চিন্তা কর দোস্ত মহিলারে কইলাম; আয় যাইগা,
মহিলাও লগে-লগে কইয়া,বইলো ! লো-চলো যাইগা। খাইছে আমারে ha ha 😀
ঘুড্ডি ছায়াছবিতে বিশেষ ভূমিকা যাদের ছিল
নং | নাম | নং | নাম | |
---|---|---|---|---|
পরিচালক | সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি | সম্পাদিত | সাইদুল আনাম টুটুল | |
রচয়িতা | সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি | সুরকার | লাকী আখন্দ | |
নায়িকা | সুবর্ণা মোস্তফা | প্রযোজনা কোম্পানি | সিনেমা কমিউন | |
নায়েক | রাইসুল ইসলাম আসাদ | পরিবেশক | সিনেমা কমিউন | |
সাইট নায়িকা | হ্যাপি আখন্দ | মুক্তির তারিখ | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮০ | |
চিত্রগ্রাহক | শফিকুল ইসলাম স্বপন | চলমান সময় | 145 মিনিট এর ছায়াছবি | |
দেশ | বাংলাদেশের ছায়াছবি | ভাষা | বাংলা |
এই ছবির কিছু গান
২. "যেমন নদীর বুকে নাও ভাইসা চলে" কাওসার আহমেদ চৌধুরী শিমুল ইউসুফ ও লিনু বিল্লাহ :
৩. "সখী চল না" কাওসার আহমেদ চৌধুরী হ্যাপী আখন্দ।
৪. "আবার এলো যে সন্ধ্যা" কাওসার আহমেদ চৌধুরী হ্যাপী আখন্দ ।
গুগল থেকে সংগ্রহ করা।
পুরস্কার
মূল নিবন্ধ: ৬ষ্ঠ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)
নিচে ছবিটির লিঙ্ক দেওয়া হল:
Source
কিছু কথা
আমার যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
১৭-ডিসেম্বর-২০২৪ সাল