আমার শৈশবের দিনের কথা মনে পড়ে গেল
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজকে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পরেই ছোট বোন বলছে! ওর যে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড হওয়ার কথা ছিল, ওইটা বন্ধ হয়ে গেছে, এখনও অফলাইনে ভোটার হওয়ার সুযোগ আছে।
অফলাইন বলতে বুঝিয়েছি , হাতে লেখার মাধ্যমে ফরম পূরণ করা ইত্যাদি!
সকাল দশটার দিকে ভাই বোন মিলে স্কুলের উদ্দেশ্য করে, বাসা থেকে বের হলাম। যখন স্কুলের ভিতরে ঢুকলাম তখন শৈশবের কথাগুলো খুবই মনে পড়ে গেল। কত কিছু করেছি এই স্কুলের ভিতরে। আমি বলতে ভুলেই গেছি, এই স্কুলে আমার বড় ভাই থেকে শুরু করে আমার ছোট বোন পর্যন্ত আমরা ভাই বোন সবাই এই স্কুলে পড়াশোনা করেছি। আমাদের স্কুলের নামটা হল কর্মীটোলা হাই স্কুল এন্ড কলেজ, প্রায় ১০-১২ বছর পর স্কুলের ভিতর ঢুকলাম। এই স্কুলের মাঝে রয়ে আছে কত রকম স্মৃতি ।
আগে যখন আমারা স্কুল বাং মারতাম, তখন আমরা গ্রুপিং হয়ে স্কুল বাং মারতাম এবং প্রথম ক্লাসের পরে আমরা স্কুল থেকে বের হয়ে যেতাম শুধু প্রেজেন্ট দিয়ে। এই লুকোচুরি খেলা গুলো বেশিদিন টিকলো না একদিন হঠাৎ করে ক্লাস টিচারের কাছে ধরা খেয়ে গেলাম! ক্লাস টিচার নিজেও শাস্তি দিল এবং বাসায় বিচার দিল। পরে আম্মু তার, পায়ের জুতা, এবং হাতের রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মারলো। এই সব মাইর গুলো কত খেয়েছি আমি, যা বলার বাহিরে। আজকে স্কুলে এসে পুরোনো দিনের কথা গলো, ভীষণ মনে পড়ে গেল।
আমাদের সাথে আরও একজন কে নিয়ে গিয়েছিলাম! আমার ছোট্ট ভাগ্নিটাকে। এই স্কুলে যে আমরা ভাই বোন সবাই পড়াশোনা করেছি সুমাইয়ারে তা বললাম! ওই ওর আম্মুকে জিজ্ঞাসা করে আম্মা, মামা কি সত্য বলছে। ওর আম্মু যখন বলল; আমিও এই স্কুলে পড়াশোনা করেছি। তখন দেখলাম ওই অনেক এক্সাইটেড এবং চারদিকে হেঁটে-হেঁটে স্কুলের দেখছে! বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন করছে ওর আম্মুকে এই স্কুল নিয়ে, এবং সে এই স্কুলে ভর্তি হবে !
পরে আমার ছোট বোনের ভোটারের আইডির কাজ শেষ করলাম! আমাদের একটা স্লিপ দিয়ে দিল, পরের মাসে ওর ছবি তুলবে আইডি কার্ড হয়ে যাবে। পরে আমরা সবাই বাসায় চলে আসলাম এবং গোসল করলাম। এবং গোসল করার পরে কিছু সময়ের জন্য ছাদে গেলাম, রোদ পোহাবো বলে। এখন আমার ভাগ্নি আর ভাতিজা ওদেরকে ঘর বানিয়ে দিতে হবে ছাদে ওরা খেলাধুলা করবে। ওদেরক অনেক বারণ করলাম যে এখন দুপুরবেলা কে শুনে কার কথা, ঘর বানিয়ে দিতে হবে ! পরে ওদের একটা প্লাস্টিক দিয়ে একটা ঘর বানিয়ে দিলাম।
আর ভাবছিলাম আমরাও ছোট সময় বন্ধু-বান্ধবরা মিলে এই রকম ঘর বানাইতাম ছোট্ট করে পিকনিক করতাম। কিছুটা সময়ের জন্য মনে পড়ে গেল শৈশবের দিনগুলোর কথা! কই যে হারিয়ে গেল দিনের পরিবর্তনে বুঝতেই পারলাম না। আজকে এই পর্যন্ত একটা ছোট্ট গল্প দিয়ে শেষ করলাম।
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
![ezg1.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmU1rb3dJr4hiqCBmkiWnDrC3jcFYCq7UG8gCLii1CAfKP/ezg1.gif)
![ezg1.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmU1rb3dJr4hiqCBmkiWnDrC3jcFYCq7UG8gCLii1CAfKP/ezg1.gif)
আপনার লেখা পড়ে শৈশবের দিনগুলোর স্মৃতি একেবারে চোখের সামনে ভেসে উঠল। স্কুল জীবনের সেই আনন্দময় দিনগুলো যেন কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। আপনার স্কুলের স্মৃতি, বিশেষ করে ক্লাস বাং মারার মজার অভিজ্ঞতা এবং শাস্তির ঘটনাগুলো সত্যিই হাস্যরসপূর্ণ এবং নস্টালজিক।
ভাগ্নি এবং ভাতিজাদের খেলাধুলার জন্য ঘর বানানোর গল্পটাও খুব সুন্দর ছিল। তাদের উচ্ছ্বাস এবং আপনার ছোটবেলার সাথে তুলনা করাটা পড়ে মনে হলো, সময় বদলালেও শৈশবের আনন্দ কখনো বদলায় না।
আপনার লেখা পড়ে মনে হলো, ছোট ছোট জিনিসের মধ্যেই জীবনের আসল সুখ লুকিয়ে থাকে। খুব সুন্দর পোস্ট, ভবিষ্যতে আরও এমন স্মৃতিময় গল্প শেয়ার করবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে স্কুল দেখলে এখনো ছোটবেলার কথা মনে পড়ে এখনো ইচ্ছে করে যদি আগের মতো করে আবার স্কুলে যেতে পারতাম বন্ধুদের সাথে স্কুলের বারান্দায় বসে সময় কাটাতে পারতাম স্কুল বন্ধ দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো চেষ্টা করলেও সেই দিনগুলো এখন আর ফিরে পাবো না তবে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়লে অনেক বেশি খারাপ লাগে আজকে আপনি আপনার বোনকে নিয়ে যখন স্কুলে গিয়েছেন তখন তাদের দৃশ্যগুলো দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু