আব্বা-আম্মুর ফিরে আসার গল্প

in Incredible India22 hours ago

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।


আজ সকালে ঘুম ভাঙলো এক ভিন্নরকম খবর শুনে। সকাল ছয়টার দিকে মোবাইল ফোনের রিং বাজতে শুরু করলো, প্রথম ফোনটি ঘুমের কারণে ধরতে পারিনি। দ্বিতীয় ফোনে ঘুম ভেঙে গেল। ফোনটি ধরতেই শুনলাম, আব্বা-আম্মু আজ ঢাকাতে চলে আসবে। বিশ্বাস করেন, ঘুমের ঘোরে এমন সুখবর পেয়ে মনটা ভরে গেল। বাবা-মা কয়েকদিন আগে নেত্রকোনা গিয়েছিলেন, আজ তারা ঢাকা ফিরে আসবে! এমন খবর শুনে মনে এক অদ্ভুত আনন্দ ও অনুভূতি কাজ করলো। আসলে, কাছের মানুষ না থাকলে যা অনুভূত হয়, সেই অভাব আমি মাঝে-মাঝে বুঝতে পারছি।

1000010339.jpg

কথা তো আছে, দূরে থাকলে মায়া বাড়ে, কাছে থাকলে মায়া কমে, আর আমার অবস্থাও তেমনি। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে সাড়ে আটটায় উঠলাম। ফ্রেশ হয়ে প্রথমে ছোট বোনের ঘরে গিয়ে বললাম। আব্বা-মা আজ চলে আসবে! বোনটি বলল কিছুক্ষণ পরে উঠবে। এর মধ্যেই কবুতর গুলোকে খাবার দিতে গেলাম। তখনই দেখি, আমার নতুন জোড়া কবুতর দুটি বাচ্চা ফুটিয়েছে। ভীষণ খুশি হলাম-এমন দুটি সুখবর সকালেই পেলাম, আলহামদুলিল্লাহ!

1000010336.jpg

আলহামদুলিল্লাহ

1000010335.jpg

ওদেরও প্রথম সন্তান

ছোটো-ছোটো সুখবরও আমাদের মনে বড়ো আনন্দ বয়ানে আনে। সকালে বোনের সঙ্গে নাস্তা করে বেরিয়ে এলাম। তবে কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার সময় মশার উৎপাত বেড়ে গেছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে মাঝে-মাঝে মশার ঔষধ স্প্রে করে, কিন্তু তা খুব একটা কার্যকরী হচ্ছে না। মশার জন্য আমার কবুতরের বাচ্চাগুলো কিছুদিন আগে মারা গিয়েছিল। কিন্তু এবার আমি মশারি দিয়ে খাঁচাটা আবদ্ধ করে রাখার পরিকল্পনা করছি, যেন বাচ্চাগুলো এবার বেঁচে থাকে। আলহামদুলিল্লাহ, এইবার আমার তিন জোড়া কবুতর ডিম দিয়েছে-আল্লাহ চাইলে সবগুলো বাচ্চা ফুটবে !


ডাবলি বুট, ভুট্টা ও সরিষা মিশিয়ে খাওয়াই। তবে খরচ হিসাব করে সম্ভব নয়! শখের জিনিস তাই দামটা উল্লেখ করি নাই।
এরপর কবুতরকে খাদ্য দিতে গিয়ে বুঝলাম, খাদ্য নেই। তাই এলাকায় কবুতরের দোকানে গিয়ে খাদ্য কিনে আনলাম। সব সময় আমি কবুতরকে গম,

1000010334.jpg

খাবার নিয়ে বাসায় ফিরে আসতেই, আম্মু ফোন করলেন। বললেন, টঙ্গীর ফ্লাইওভার ব্রিজে তারা গাড়িতে আছেন এবং অতি শীঘ্রই খিলক্ষেত পৌঁছাবেন। আমি দ্রুত গোসল করে প্রস্তুত হয়ে বের হলাম। এর মধ্যে আমার ছোট্ট ভাগ্নি কান্নাকাটি শুরু করল, ওই বলল, আমি যাব। তাকে ফাঁকি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় চেপে বাজারে চলে গেলাম।

1000010333.jpg

বাজারে গিয়ে প্রায় দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর আব্বা-আম্মুকে গাড়ি থেকে নামতে দেখলাম। তাদের সঙ্গে একটি বস্তা এবং জামা কাপড়ের ব্যাগ ছিল। বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের নিয়ে খিলক্ষেত বাজারে নিয়ে এলাম। এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটি রিস্কার করে আমরা সবাই বাসায় চলে আসলাম।

আমার জীবনের এই ছোট্ট গল্পটি দিয়ে আজকের পোস্ট শেষ করলাম। যদি কোনো ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦

২১, ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Sort:  
Loading...
 2 hours ago 

আপনার পোস্টটা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো, আর আপনি কিন্তু একদিন ঠিক কথা বলেছেন,কাছের মানুষ গুলো কাছে না থাকলে মায়া বাড়ে আর আব্বু আম্মুর ক্ষেত্রে তো কোনো কথাই নেই বাসায় না থাকলে মনে হয় যেন অন্যরকম,,

তবে নেত্রকোনা থেকে ঘুরে যে বাসায় ফিরেছে তাতে আপনার মনে শান্তি মেলেছে,, খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পরে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96558.00
ETH 2724.71
SBD 0.64