কারেন্টের অপেক্ষা অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে গেল
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজকে হঠাৎ করেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি কারেন্ট চলে গেছে, ভাবলাম হয়তো এক ঘণ্টার মধ্যেই কারেন্ট চলে আসবে। এই ভেবে সকাল ৯ টার দিকে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেলাম। গ্রীষ্মকাল তো চলেই আসলো ঢাকা শহরে এখন শীত নাই বললেই চলে! গতকালকে রাত্রে হঠাৎ করে গরম লাগা শুরু করলো। হয়তো গ্রামে যারা বসবাস করে তাদের এখনো শীতের একটু প্রভাব আছে।
গরম যেহেতু চলে আসছে এই কারণে শীতের কম্বল, লেপ ইত্যাদি ধুয়ে শুকিয়ে দিতে হবে। এর জন্য সকালবেলা উঠেই এগুলো সব কিছু ভিজিয়ে রাখলাম।
|
---|
|
---|
পরে দেখি সকাল ১০ টা বেজে গেছে তখনও দেখি কারেন্ট আসছে না। পরে আশেপাশের বাসায় খোঁজ নিয়ে দেখি, কারেন্ট বলে আজকে আসতে অনেক লেট হবে। আমি তো এর আগে ই কাপড়-চোপড় ভিজিয়ে রেখেছি। এখন কি হবে কারেন্ট ছাড়া আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলি সঠিকভাবে করা যায় না। পরে আর কি করার, একটু রাস্তায় বের হলাম। যেয় দেখি রাস্তায় ট্রান্সমিটারের কাজ করছে, লোকগুলির কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই কারেন্ট কখন আসবে, তারা আমাকে বলল কারেন্ট আসতে প্রায় দুপুর তিনটা বাজবে।
যখন আমি শুনতে পারলাম কারেন্ট আসবে দুপুর তিনটার দিকে! তখন মনটা একেবারেই ভেঙ্গে গেল।
আমার অতীতের একটি কাপড়চোপড় নিয়ে ঘটনা বলি। আগে যখন আমি কলেজে পড়তাম তখন সকালবেলা উঠেই আম্মা আমাকে বলত!কাপড়চোপড় ভিজিয়ে রাখার জন্য,কেননা আমার ধুইতে হবে। আমি ঠিক সকালবেলা আম্মার কথা মত কাপড়চোপড় ভিজিয়ে রাখতাম এবং আম্মাকে বলতাম বাইরে আমার একটু কাজ আছে।
এই বলে আমি বাইরে যেতাম, পরে আমি আর ঠিক মতন বাসায় ফিরতাম না। বন্ধুবান্ধবের সাথে ক্রিকেট খেলতে-খেলতে কখন যে দুপুর হয়ে যেত বুঝতেই পারতাম না।
একবারে দুপুরের সময় বাসায় ফিরতাম। আমি বাসায় ফিরে দেখতাম আম্মা রাগে টকবক হয়ে বসে আছে। আমার কাপড়চোপড় ধুয়ে রৌদ্রে দিয়েছে। আমাকে দেখে কিছুক্ষণ বকাবাজি করত, তারপর আম্মা একবারে পানির মতন শান্ত হয়ে যেত। দুপুরে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করত,
আমার কাছে মনে হয়, আমার আম্মার জন্য আমি এখন এই পৃথিবীতে ঠিকমতন আছি।
পরে দেখিনি ঠিক তিনটার সময় কারেন্ট চলে আসছে। পরে আমার কাপড় চোপড় গুলি ধুইয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে দিলাম। আজকে অনেকগুলো কাপড়ই ভিজিয়ে ছিলাম অনেকটাই কষ্ট হয়েছে। আজকে দুপুর বেলার খাবার খেলাম সাড়ে চারটার দিকে। খাবার খেয়ে একটু বিছনাই গেলাম, ভাবলাম একটু রেস্ট নেব। কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম টেরই পাইলাম না, ঘুম থেকে উঠে দেখি সাতটা বেজে গেছে। প্রায় অনেকদিন পরে এরকম একটা ঘুম দিলাম! কেননা বেশ কয়েকদিন ধরে, শরীরটা অনেক পরিমান দুর্বল হয়ে ছিল । ঘুম থেকে উঠে শরীরটা অনেক ভালো লাগছে।
আমাদের প্রতিটি ছোট কাজ আমাদের জীবনের স্মরণীয় অংশ হতে পারে। যদি আমরা ঠিক মতন উপলব্ধি করি জীবনটাকে।
আজকে আমার জীবনের এই ছোট্ট একটি গল্প দিয়ে পোস্টটি শেষ করলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন !
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
Your post has been supported by THE PROFESSIONAL TEAM. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
Thank you @sduttaskitchen mam for supporting me 🙏💕
সে এক বহু কাল আগের কথা, তখন নিয়মিত লোডশেডিং হত। লোডশেডিং নিয়ে কতশত স্মৃতি জমা হয়ে আছে এই জীবনে। আপনারও তেমন একটা ছোট্ট স্মৃতি মনে পড়ে গেল যদিও সেটা কাপড় ধোয়া নিয়ে। একটু মজারই ছিল আপনার ছোটবেলার সেই কর্মকাণ্ডগুলো।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও কাজ করার জন্য কারেন্টের কোন ভূমিকা অনেক বেশি আসলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা অনেক কাজ করতে গেলে কারেন্ট না থাকলে আমাদের সেই কাজ করা হয়ে ওঠেনা আজকে আপনি জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য ভিজিয়ে রেখেছিলেন কিন্তু কারেন্ট না থাকার কারণে সেই জামাকাপড় আপনাকে অনেক বেলা করে অর্থাৎ বিকেল বেলা পরিষ্কার করতে হয়েছে কারেন্ট আমাদের জীবনের একটা অপরিহার্য অংশ হয়ে পড়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অতীতের স্মৃতির সাথে বর্তমানের মিলগুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে আপনার মায়ের কথা এবং ছোটবেলার সময়ের অভিজ্ঞতা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। জীবন অনেক সময় ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে সুখ, শান্তি, এবং স্মৃতির পেছনে লুকানো থাকে। আশা করি, আপনার শরীর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।