( বাংলা ছায়াছবি দিপু নাম্বার টু )
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, তাঁদের সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আমার বয়সে যারা আছেন তারা হয়তো বা এই দিপু নাম্বার টু ছায়া ছবিটি দেখেছেন। সত্যিই অনেক মজার একটি ছবি, আমি যখন ছোট ছিলাম।
তখন এই ছায়াছবিটা আমি অনেকবারই দেখেছি। তখন আমাদের বাসায় ডিসের লাইন ছিল না, আমাদের বাংলাদেশে বিটিভি নামে একটা সরকারি টিভি চ্যানেল ছিল। এই বিটিভিতে প্রতি শুক্রবারে বাংলা ছায়াছবি দিত। আমি যখনই শুনতাম, আমার অনেক পছন্দের ছায়াছবি আজকে দেখাবে টিভিতে, আমি একটি নির্দিষ্ট সময় বাসায় থাকতাম ছবি দেখার জন্য। এটা অনেক একটা আনন্দের দিন ছিল যাকে আমরা বলে থাকি শৈশবকাল ।
আমার কাছে মনে হয়েছে। এই ছবিতে আছে পিতা, মাতার প্রতি সন্তানের অভিমান ভালোবাসা, বন্ধুর প্রতি ভরসা, জীবনের প্রতিটা কষ্ট সময় আনন্দের সাথে বেঁচে থাকা। জীবনে বড় কিছু করা, বাস্তব জীবন থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করা ইত্যাদি
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর উপন্যাস। পরবর্তী সময়ে এইটাকে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম করা হয়েছে। দিপু নামে একটি ছেলে ক্লাস অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে, কিন্তু সে জানে তার মায়!
মারা গেছে অনেক বছর আগে, তাদের সুখের সংসার হল বাবা ছেলে মিলে। দিপুর বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। তার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হয়ে থাকে, এইজন্য দিপুকে বিভিন্ন জেলায় পড়াশোনা করতে হয়। তার বাবা এখন পোস্টিং হয়েছে রাঙ্গামাটিতে।
|
---|
|
---|
|
---|
|
---|
এই রাঙ্গামাটিতে দিপু একটি সরকারি বিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে, ভর্তি হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই দিপুর সাথে অনেক ছেলেদের বন্ধুত্ব হয়েছে। এই স্কুলে আরেকটি ছেলে ছিল । তাদের সাথে পড়াশোনা করত ওর নাম তারেক, তারেকের সাথে দিপুর সবসময় ঝগড়া লেগেই থাকতো। তারেক একদিন দীপুকে রাস্তায় পেয়ে অনেক মারধর করেছে। এই বিষয়গুলো দিপু ওর বাবাকে বলে, ওর বাবা বলল, তুমি যদি বল আমি হেড স্যারের কাছে ওর নামে বিচার দিব।
দিপু বলল না বাবা, আমি আমার প্রতিশোধ নেব। একদিন হঠাৎ করে দিপু জানতে পারলো! তার মা জীবিত আছে, তার মা আমেরিকায় থাকে। দিপুর মা বাংলাদেশে আসবে দিপুকে দেখার জন্য। তার বাবার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। পরবর্তী তার বাবা দীপকের অনুমতি দিল,তার মার সাথে ঢাকায় কয়েকদিন থাকার জন্য। পরবর্তীতে তার মা আমেরিকায় চলে যায়! দিপু চলে আসে রাঙ্গামাটিতে, পরে
দিপু একদিন হঠাৎ করে জানতে পারলো, তারেকের মায় অনেক অসুস্থ, এবং তারেকের ইচ্ছা সে অনেক টাকা উপার্জন করে, একদিন তার মাকে চিকিৎসা করাবে। দিপু মায়ের কথা মনে পড়ে গেল, পরবর্তীতে তারেক সবচাইতে কাছের বন্ধু হইল দিপুর। একদিন দিপুর বন্ধু বান্ধব সবাই মিলে, মূর্তি পাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দেয়, তার মধ্যে সাহসিকতা ভাবে কাজ তারেক । এবং সরকার থেকে তারেকের মাকে সুস্থ করার অনুদান পায়।
★ এই নাম্বার টু ছায়া ছবিটি মুক্তি পায় ১৯ ৯৬ সালে।মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর উপন্যাস ★
- পরিচালক ( মোরশেদুল ইসলাম )
- রচয়িতা ( মুহাম্মদ জাফর ইকবাল )
- প্রযোজক ( ফরিদুর রেজা সাগর ইবনে হাসান খান )
- সুরকার ( সত্য সাহা )
- চিত্রগ্রাহক ( এস এ মুবিন )
- সম্পাদক ( সাইদুর রহমান টুটুল )
- পরিবেশক( ইমপ্রেস টেলিফিল্ম )
- মুক্তি ( ১৯৯৬ )
- স্থিতিকাল ( ১২০ মিনিট )
- দেশ ( বাংলাদেশ )
- ভাষা ( বাংলা )
- শ্রেষ্ঠাংশে
★ বুলবুল আহমেদ
★ ববিতা
★ আবুল খায়ের
★ গোলাম মুস্তাফা
★ শুভাশীষ
★ অরুন সাহা
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।
এটি একটি মজাদার এবং স্মৃতিকাতর পোস্ট ছিল, যেখানে "দিপু নাম্বার টু" ছবির মাধ্যমে আপনি শৈশবের আনন্দময় দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছেন। ছবির গল্প এবং চরিত্রগুলোর ওপর আপনার বিশ্লেষণ খুবই ভালো লাগলো, বিশেষ করে দিপুর মা ও তারেকের চরিত্রের পরিবর্তন। ধন্যবাদ, এই সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আমার পোষ্টটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য। আপনে সত্যিই বলেছেন , আমার শৈশবের আনন্দময় দিনগুলির কথা । আমি এখানে বুঝিয়েছি। তা দেখে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।