সফলতার কঠিন গল্প শেষ পর্ব ।
অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
শুভ সকাল
নয়ন রাগ করে কোথায় যাচ্ছে সে নিজেও জানেনা বহিন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে সে জঙ্গল পাড়ে দিয়েছিল এক পর্যায়ে দিন শেষ হয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে তখন নয়ন অনেকটাই ক্ষুধার্ত আশেপাশে খাবার কোন কিছু নাই কোন বাড়িও দেখতে পাচ্ছে না তারপর আরো কিছুক্ষণ সময় হাঁটার পর দেখতে পেল একটি বাড়ি।
বাড়ির সামনে যেতেই দেখতে পাই একজন সন্ন্যাসী বসে বসে ধ্যান করছে আর তার স্ত্রী বাড়ির ভিতরে। নয়ন সন্ন্যাসীকে বলল যে আমি অনেক ক্ষুধার্ত আমাকে কিছু খেতে দিন আমি তার বিনিময়ে আপনি যে কাজ করতে বলবেন তাই করে দেব তবে আমাকে আগে খেতে দিন।
সন্ন্যাসী বলল আমি তোমাকে খেতে দেবো একটি শর্তে যদি আমার প্রথমত কাজ কর নয়ন তখন বলল যে আমি ফ্রি খাব না এবং আপনার কাছে ভিক্ষা চাই না আপনি আমাকে খেতে দিবেন তার বিনিময়ে আমি আপনাকে কাজ করে দিব। সন্ন্যাসী বলে ঠিক আছে সমস্যা নাই তারপরও নয়ন কে খেতে দিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নয়ন কিছু সময় বিশ্রাম নেয় তারপর সন্ন্যাসী কি এসে বলে বাবা আমি কি কাজ করব তখন ওই সন্ন্যাসী বলল যে গোয়ালঘরে যাও সেখানে দুইটা গরু আছে গরুর দুধ দহন কর। নয়ন কোনদিনও গরুর দুধ দহন করি নাই তবু আস্তে আস্তে গরুর পাশে গিয়ে দুধ দোহন করতে লাগলো।
তারপর নয়ন কে জিজ্ঞাসা করল যে তোমার বাড়ি কোথায়? নয়ন বলল আমার বাড়ি অমুক গ্রামে আমার বাবার সাথে রাগ করে আমি চলে এসেছি আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। আমি কখনো আমার বাবার কাছে ফিরে যাবো না তখন সন্ন্যাসী বলল আমি তোমাকে রাখতে পারি একটা শর্তে যদি এই সত্য ভঙ্গ করো তাহলে তুমি তোমার বাড়িতে ফিরে যাবে তখন বলল ঠিক আছে। সত্যটা এমন সন্ন্যাসী যে কাজ দিবে সেই কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে তা না হলে তাকে ফিরে যেতে হবে।
এভাবে নয়ন প্রতিদিন গোয়াল ঘরের প্রতিটা কাজ করে গরুর প্রতি অনেক যত্নশীল হয়ে ওঠে। তারপর একদিন সন্ন্যাসী একটি কুঠার দিয়ে নয়ন কে বলল সন্ধ্যার ভিতরে দুই টা স্বর্ণ মুদ্রা আমার কাছে এনে দিতে হবে তা না হলে বাড়িতে ফিরে যাবে।
কুড়ালটা হাতে নিয়ে নয়ন ভাবতে শুরু করে যে এটা দিয়ে আমি কিভাবে দুইটা স্বর্ণ মুদ্রা আনবো তখন নয় দিন মাথায় চিন্তা আসে যে আমি যদি এই কুঠার দিয়ে কাঠ কেটে বাজারে নিয়ে যায় তাহলে কাঠ বিক্রি করে আমি দুইটা স্বর্ণমুদ্রা ইনকাম করতে পারব এরপর নয়ন গাছ কাটার জন্য জঙ্গলে যাই সেখানে একটি গাছ পড়ে থাকতে দেখে সেই কাজটি কাটার চেষ্টা করে গাছটি এত পরিমাণে শক্ত ছিল যে কোন প্রকারই কাটছিল না সন্ধ্যা পর্যন্ত কাট কেটে সেগুলো বাজারে নিয়ে যাই এবং সেগুলো বাজারে বিক্রি করে দুইটা স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে আসে এসে সন্ন্যাসীর হাতে তুলে দেয়।
সন্ন্যাসী বাহাবা জানিয়ে একটা গাছের টুকরা দেয় দিয়ে বলে দুই দিনের ভিতরে এটা বিক্রি করে আমাকে পাঁচ টা স্বর্ণ মুদ্রা এনে দিবে নয়ন অনেক ছিনতাই পড়ে গেল কিভাবে এই সামান্য কাঠের টুকরা দিয়ে আমি এতগুলো স্বর্ণ পাবো। চিন্তা করতে করতে প্রায় একটা দিনের অর্ধেক পার হয়ে যায় তারপর হঠাৎ নয়নের মাথায় চিন্তা হলো যে এ কাঠের টুকরা দিয়ে যদি আমি খেলনা বানাতে পারি তাহলে যে কেউ এটা পাঁচটিস্বর্ণমুদ্রা দিয়ে কিনবে। নয়ন ওই কাঠের টুকরা দিয়ে খুব সুন্দর একটি খেলনা বানিয়ে তারপর বাজে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে পাই পাঁচটি স্বর্ণমুদ্রা।
এভাবেই একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় সন্ন্যাসী নয়নের দিকে আর নয়ন সেগুলো খুব ভালোভাবেই আয়ত্ত করতে থাকে। এভাবে করে এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পর নয়নের ইনকাম করার টাকা সন্ন্যাসীর কাছে প্রায় 200 স্বর্ণ মুদ্রা বেশি হয়ে যায় তারপর একদিন সন্ন্যাসী আরো 200 স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে নারায়ণকে বলল এবার তুমি বাড়ি ফিরে যাও তোমার বাবা মায়ের কাছে আর এ অর্থগুলো তোমার বাবার হাতে তুলে দিবা দেখবা তোমাকে অনেক যত্ন করবে তোমার বাপ মা।
প্রথম থেকে নয়নের এই পরিশ্রম সফলতার দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করালো এখন নয়নের বাপ মা নয়নকে মাথায় করে রাখে এবং তার মা অনেক ভালোবাসে তো বন্ধুরা এই ছিল আমার সফলতার গল্প চেষ্টা করলেই মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
@cymolan thank you so much for supporting me ❤️