হাতিশুড় ফুলের ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
Photo edit by canva |
---|
প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আপনাদের সাথে নতুন আরেকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করব, আমার সংগ্রহে থাকা ফটোগ্রাফির সিরিয়ালের মধ্যে এই ফুল টা একটু অদ্ভুত, এই ফুলটাকে আমরা সবাই চিনে থাকি, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এ ফুল কে বেশি চিনবে, কারণ এই ফুলটা গ্রামের বন জঙ্গলের মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
এই ফুলকে আমরা সবাই হাতিশুঁড় নামে চিনে থাকি, অনেক অঞ্চলে এই ফুলকে মোরগঝুটিও বলা হয়, এই ফুলকে আরো বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়, যেমন, হাতিশুঁড়ি, হস্তিশুন্ডি ইত্যাদি, এই ফুলের নাম হাতিশুড় হওয়ার কারণ, ফুল দেখলেই বুঝা যায়, এই ফুল টা দেখলেই লম্বা হাতির শুড়ের মতো দেখা যায়, মনে হয় হাতি তার শুড় উপরে উঠিয়ে উল্টা করে সালাম দিচ্ছে।
আমরা ছোটবেলায় এই ফুল নিয়ে অনেক খেলা করতাম, এ ফুলকে মাথার সাথে বেঁধে হাতি হওয়ার চেষ্টা করতাম, এবং এই ফুলের শরীরে থাকা দানাগুলো দিয়ে রান্না করতাম, যেটাকে আমরা হাতির গোশত হিসেবে খেলায় ব্যবহার করতাম, আমাদের ছোটবেলার সেই খেলার মধ্যে কারো দায়িত্ব থাকতো জঙ্গল থেকে এই হাতিশুড় ফুল তুলে নিয়ে আসবে। এরপর সবাই একসাথে সেটা নিয়ে খেলা করতাম।
বন জঙ্গলে এই ফুলটি অযত্নে বেড়ে উঠলেও তার অদ্ভুত আকৃতির কারণে সকল মানুষের নজর কেড়ে নেয়, যে কেউ এই ফুলকে দেখবে সে একবার হলেও এই ফুলের দিকে তাকাবে, ফুলগুলো অনেক সুন্দর হয়, ফুলগুলো লম্বা হয়ে উপরের দিকে ওঠে এবং মাথায় সাদা কয়েকটা ছোট ছোট ফুল থাকে, যে কারণে এই ফুলের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়।
এই ফুল গাছের পাতা অনেকটা পান পাতার মত হয়, এবং এর পাতা থেকে একটা অন্যরকম গন্ধ ছড়াতে থাকে, এর পাতাগুলো একটু খসখসে হয়, পাতার মাঝখান থেকে ফুলটি লম্বা হয়ে উঠে আসে এবং মাথায় পাঁচটা পাপীসহ ছোট ছোট অনেকগুলো ফুল হয়, যে কারণে এই ফুলটাকে আরো বেশি সুন্দর দেখা যায়।
বিভিন্ন বন জঙ্গলে, পুকুরের পাড়ে, রাস্তার ধারে এই ফুলটি সারা বছর দেখতে পাওয়া যায়, শীতের সময়ে এই ফুলটা আরো বেশি দেখতে পাওয়া যায়, অযত্নে বেড়ে ওঠা এই ফুলের পাতাগুলোর অনেক গুনাগুন রয়েছে, আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত এই ফুল এবং ফুলের পাতাকে আগাছাই মনে করা হয়, আমরা এটাকে কোন গুরুত্ব দেই না।
অথচ এই ফুলের পাতার অনেক গুনগুন রয়েছে, এ গাছের গুনাগুন প্রাচীনকাল থেকেই, চোখের সমস্যার কারণে এই গাছ অনেক উপকারে আসে, চোখে জ্বালাপোড়া করলে এই গাছের পাতা ব্যবহার করলে চোখের জ্বালাপোড়া অনেকাংশে কমে যায়, এই গাছের গুনাগুনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে এই ফুল গাছকে যত্ন নেওয়া হয়।
শরীরের কোথাও আঘাত পাওয়ার কারণে যদি সেখানে ফুলে যায় তাহলে এই গাছের পাতা বেটে হালকা গরম করে ওই স্থানে লাগালে ফোলা অনেক অংশে কমে যায়, এবং আঘাতের ব্যথা কমতে শুরু করে, বিষাক্ত পোকার কামড়ে জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়ার স্থানে এই পাতার রস লাগালে ভালো হয়ে যায়।
এই ফুল গাছের এত গুনাগুন রয়েছে তা আগে আমার জানা ছিল না, গুগলে সার্চ করার পরে এই গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারি, আপনা ইচ্ছা হলে সেখান থেকে এই গাছের আরো অনেক গুনাগুন জানতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
আপনি আজকে কিছু দুর্দান্ত হাতিশুড় ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের কাছে শেয়ার করছেন। অনেকদিন পর আপনার লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে জানতে পারলাম হাতিশুর গাছের উপকারিতা।
যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর ফটোগ্রাফের পাশাপাশি তার বর্ণনা দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।