Better Life with Steem || The Diary Game || 23 September 2024 || Life is too much for the extreme heat
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
ছোটবেলায় মুরুব্বিদের মুখ থেকে শুনতাম "আশ্বিন গা করে সিন সিন", অর্থাৎ আশ্বিন মাসে শীত শুরু হয় এবং শরীরে হালকা হালকা শীত অনুভব হয়, কিন্তু বর্তমান সময়ে আশ্বিন মাসে যেন গরমের তীব্রতার বেশি, আজকে আশ্বিন মাসে ৮ তারিখ, এই মাসে শীত শুরু হওয়ার কথা কিন্তু প্রচণ্ড গরমে মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ।
আজকে সারাদিন প্রচন্ড গরম গিয়েছে, গরমের কারণে আজকে খুব কষ্ট হয়েছে, একেতো প্রচন্ড গরম তার উপর বিদ্যুৎ থাকে না, কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়, যখন বিদ্যুৎ চলে যায় তখন গরম আর সহ্য হয় না, প্রচন্ড গরমের কারণে আজকে আমাদের মাদ্রাসা এক ঘন্টা আগে ছুটি দেওয়া হয়েছে। প্রচন্ড গরমের আজকের এই দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
গতকাল রাতে একটু পর পরই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে ঠিক মত ঘুমাতে পারি নাই, কারণ বিদ্যুৎ চলে গেলে গরম এবং অন্ধকারে আমার সন্তানেরা ঘুমাতে পারে না, বিদ্যুৎ চলে গেলে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয় এবং মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
রাতে ঘুম কম হওয়ার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে যায়, কখন মোবাইলে এলার্ম বাজে বুঝতে পারিনি, ঘুম থেকে জাগ্রত হয়েই দেখি নামাজের সময় হয়ে গেছে, তখন খুব দ্রুত নামাজের জন্য তৈরি হয়ে মসজিদে চলে যাই, ফজর নামাজ আদায় করে বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি।
কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর উঠে ব্যাগ নিয়ে বাজারে যাই, কয়েকদিন হল বাজার করা হয় না, এইজন্য আজকে বাজারে যাওয়ার খুব জরুরী ছিল, বাজার থেকে আলু বেগুনসহ বিভিন্ন তরকারি কিনতে হবে, বাজারে গিয়েই প্রথমে মাছ ক্রয় করি, আপনারা আগে থেকেই জানেন আমাদের বাজারে যমুনা নদীর টাটকা ছোট মাছ পাওয়া যায়।
আজকে বাজার থেকে দুই ধরনের মাছ কিনেছি, একটা একবারে ছোট মাছ, ছোট মাছগুলো আলু বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করে রান্না করলে খুব সুস্বাদু হয়, আরেক প্রকারের মাছ সামান্য একটু বড় কিনেছি, এই মাছগুলো ভাজি করে খেতে খুব মজা লাগে, আমার বড় ছেলে এই মাছ ভাজা খেতে খুব পছন্দ করে। বাজার থেকে মাছ সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনার পরে বাড়ি চলে আসি।
বাড়ি এসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় হয়ে যায়, তাই সকালের নাস্তা করে আমি আর আমার বড় ছেলে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হই, প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় যাওয়ার পরে অটো রিক্সায় করে আমাদের বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাই, সেখান থেকে একটা অটো ভ্যানে আমরা দুজন মাদ্রাসার কাছের বাসস্ট্যান্ডে যাই।
আজকে অটো ভ্যানে অতিরিক্ত একটা চাকা দেখলাম, সাধারণত বিভিন্ন বাস ট্রাক বা বড় যানবাহনে অতিরিক্ত চাকা দেখে থাকি, কিন্তু আজকে অটো ভ্যানে অতিরিক্ত চাকা দেখে অবাক হলাম, অটো ভ্যান বা ছোট যানবহনে সাধারণত অতিরিক্ত চাকা দেখা যায় না, যদিও এখন অনেক অটো রিক্সা, সিএনজি এবং এরকম ছোট যানবাহনে অতিরিক্ত চাকা থাকে, অতিরিক্ত চাকা রাখাতে অনেক লাভ আছে।
সেই অটো ভ্যানে করে আমরা মাদ্রাসার কাছে বাসস্ট্যান্ডে নামি, সেখান থেকে পায়ে হেঁটে মাদ্রাসায় যাই, মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি বিদ্যুৎ নাই তখন চেয়ার নিয়ে সবাই বাহিরে গাছের ছায়ায় বসে থাকি, আজকে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস বারান্দায় নেওয়া হয়, আগেই উল্লেখ করেছি প্রচন্ড গরমের কারণে আজকে এক ঘন্টা আগে ছুটি দেওয়া হয়।
ছুটির পরে আমরা বাড়ি আসার জন্য রওনা দেই, এরমধ্যেই মনে পড়ে আজকে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে, এই কারণে আমাদের বাজার বাসস্ট্যান্ডে আসার পরে বিদ্যুৎ অফিসে চলে যাই বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য, আমাদের বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার শেষ সময় হচ্ছে 26 তারিখ, বিদ্যুৎ অফিসের ভিতরে প্রবেশ করতে অনেক ভালো লাগে, কারণ গেট থেকে ভিতরে ঢুকতেই প্রথমেই নজরে ফুলের বাগান পড়বে, আমাদের কাজীপুরের বিদ্যুৎ অফিস টা অনেক সুন্দর এবং গোছানো, আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
বিদ্যুৎ বিল দিয়ে বাড়ি আসতে আসতে জোহরের নামাজের সময় হয়ে যায়, এজন্য বাড়ি আসার পরেই দেরি না করেই মসজিদে চলে যাই, জোহরের নামাজ আদায় করে এসে গোসল করি, গোসল করার পরে দুপুরের খাবার খাই, দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুমাবো কিন্তু দেখি বিদ্যুৎ নাই, গরমের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে ঘুমানো যায় না, তাই বাধ্য হয়ে হাত পাখা নিয়ে বাতাস করতে থাকি আর বসে থাকি।
কিছুক্ষণ পর আসরের নামাজের সময় হয়, তখন আসরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যাই, প্রতিদিনের মতো আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত মক্তবের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়াই, এরপর মাগরিবের নামাজ আদায় করার পরে আমাদের গ্রামের বাজারে যাই, সেখানে আমার এক বন্ধুর ফার্মেসির দোকান থেকে কিছু ঔষধ কিনি, ঔষধ কিনে নিয়ে বাড়িতে আসি।
কিছুক্ষণ পরেই এশার নামাজের আজান হয়, আমি এশার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, এশার নামাজ আদায় করে এসে রাতের খাবার খাই, রাতের খাবার খাওয়ার পরে অনলাইনে কাজ নিয়ে বসি, আজকে সারা দিনের অনেক কাজ জমে গেছে সেগুলো শেষ করতে হবে, এবং এই পোস্টটা লিখি, অনলাইনের কাজ শেষ হলে ঘুমাবো।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের কয়েকটি দেশে ঠিক এমন সমস্যা দেখা যাচ্ছে যেখানে গরম পড়ার কথা সেখানে ঠান্ডা পড়ছে যে সময় ঠান্ডা পড়ার কথা সেই সময় গরম পড়ছে একবার দৃষ্টি শুরু হলে থামছে না আবার কিছু কিছু সময় বৃষ্টির দেখা মিলছে না।
ভাই আপনার একটি দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন এর জন্য জানাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
যখন প্রচন্ড রোদ থাকে এবং গরম বেশি থাকে তখন মানুষের চলাফেরা কষ্ট হয়ে যায়, আবার যখন বৃষ্টি বেশি হয় তখনও মানুষের চলাফেরা কষ্ট, অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।