Better Life with Steem || The Diary Game || 18 September 2024 || After a few days of rain, the sun is back today
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
Photo edit by canva |
---|
কয়েকদিন বৃষ্টির পর আজকে আবার পুনরায় রোদের প্রখরতা দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন পরিবেশটা ঠান্ডা ছিল, পুনরায় রোদের তীব্রতায় গরম বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছে, হঠাৎ করে ঠান্ডা পরিবেশ এবং আবার গরম পড়ার কারণে আমি নিজেও একটু অসুস্থ হয়ে গেছি। অসুস্থ শরীর নিয়ে আজকে সারাদিনে নিজের দায়িত্বগুলো পালন করতে হয়েছে, আজকে সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
প্রতিদিনের মতোই খুব সকালে মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম থেকে জাগ্রত হয, এরপর ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়ি এসে আবার একটু ঘুমাই, কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর আমার বড় ছেলের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়, তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তাই আমি আর আমার বড় ছেলে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য দ্রুত তৈরি হই।
এর মধ্যেই সকালের নাস্তা তৈরি হয়ে যায়, আমরা দুজন খুব তাড়াতাড়ি নাস্তা করে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হই, রাস্তায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি কিন্তু কোন যানবহন পাই না, তখন রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি প্রচন্ড রোদের কারণে রাস্তার উপর গাছের ছায়া পড়েছে, এবং ছায়ার ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট রোদের উজ্জ্বলতা দেখা যাচ্ছে, পিস ঢালা রাস্তায় ছায়ার ফাঁকে ফাঁকে এরকম ছোট ছোট রোদের উজ্জ্বলতা দেখতে খুব ভালো লাগছে।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে রোদের উজ্জ্বলতা দেখতে থাকি, অনেকক্ষণ পর্যন্ত কোন যানবহন আসে না, যেগুলো আসে তার একটাও বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাবে না, প্রতি বুধবারে এই একটা সমস্যায় পড়তে হয়, বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য কোন যানবাহন পাওয়া যায় না, সকল যানবাহনগুলো হাটে যেতে ব্যস্ত থাকে, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটা অটো রিক্সা আসে, সেটাতে উঠে বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাই।
বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে একটা সিএনজিতে উঠে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই, কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরে সিএনজিটা নষ্ট হয়ে যায়, সিএনজি চালক সিএনজি থেকে নেমে সেটা ঠিক করে, সিএনজি ঠিক করতে তার কিছুক্ষণ সময় লাগে, সিএনজি ঠিক হয়ে গেলে আমরা আবার সেটাতে উঠে মাদ্রাসার কাছে বাসস্ট্যান্ডে যাই।
আজকে বাড়ি থেকে বের হতে এমনিতে একটু দেরী হয়ে গেছে, তার ওপর আমার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি পাওয়া যায় না, আবার সিএনজিতে ওঠার পর তাও নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে আজকে মাদ্রাসায় পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যায়, এরমধ্যে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইলে কথা বলি এবং আমার দেরি হওয়ার কারণ বলি।
মাদ্রাসায় যাওয়ার পর আমার ক্লাসগুলো করি এবং নির্ধারিত সময়ে মাদ্রাসা ছুটি হয়, ছুটির পরে আমি আর আমার ছেলে প্রধান সড়কের বাসস্ট্যান্ড এসে দাঁড়াই, তখন দুপুর হওয়ার কারণে রোদের তীব্রতার বেশি ছিল, এখানে দাঁড়াতেই একটা অটো ভ্যান আসে, অটো ভ্যানে সাধারণত ছাদ থাকে না, কিন্তু এই অটো ভ্যানের চালক ছাদ তৈরি করে নিয়েছে, এর দ্বারা রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচা যায়।
অটো ভ্যানের চালক আমাকে আর আমার ছেলেকে নিয়েই রওনা দেয়, অটো ভ্যানের মধ্যে আমরা দুজন কয়েকটা ছবি তুলি, শুধুমাত্র আমরা দুইজন হওয়ার কারণে অনেক আনন্দ করেছি, আমার ছেলে অনেক খুশি হয়েছে, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বাজার বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি, সেখানে এসে দেখি অটো রিক্সা চালকেরা একটি ঘর তৈরি করেছে যেটার ভিতরে অটো রিক্সা রাখে, অনেকটা যাত্রী ছাউনির মতো, সেখানে চালকরা এবং বিভিন্ন মানুষজন বসে থাকে।
ওখান থেকে বাড়িতে এসে গোসল করে যোহর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, জোহরের নামাজ আদায় করে এসে দুপুরের খাবার খাই, এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম করি, কিছুক্ষণ পর আসরের নামাজের আযান হয়, আমি মসজিদে চলে যাই, প্রতিদিনের মতো আসরের নামাজের পরে মক্তবের ছাত্রছাত্রীদের পড়াই, আজকে একটু আগে ছুটি দিয়ে মাগরিবের আগে বাড়িতে আসি, তখন আমার স্ত্রী আমার জন্য ড্রাগন ফল কেটে দেয়।
ড্রাগন ফল অনেক লাল হয়, এই ফল খাওয়ার সময় হাতে লাল রং লেগে যায়, মনে হয় কেউ যেন ড্রাগন ফলের ভিতরে শুধু লাল রং দিয়ে রেখেছে, ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে মাগরিবের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, আমার বিয়ের পরে বাড়ি এসে আমার বাচ্চাদেরকে পড়াই, কিছুক্ষণ পর এশার নামাজের জন্য মসজিদে যাই।
নামাজ আদায় করেছে রাতের খাবার খাই, আজকে চিন্তা করেছিলাম খাওয়ার পর অনলাইনের কাজ দ্রুত শেষ করে ঘুমিয়ে যাব, কিন্তু ওয়াইফাই এর নেটওয়ার্ক চলে যায়, কিছুক্ষণ পর নেটওয়ার্ক আসার পরে অনলাইনের কাজ শেষ করি, এবং এই পোস্টটি লিখি, এই পোস্ট করার পরে ঘুমাবো।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
@wilmer1988 Thank you very much sir for selecting my post for curation, I like your curation method very much, stay well.
আপনার আজকের দিনের অভিজ্ঞতা বেশ বিস্তারিত ও সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। অসুস্থতার মধ্যেও দায়িত্ব পালন করেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার প্রতিদিনের নামাজ, ক্লাস নেওয়া, এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো সবকিছুই একটা সুন্দর জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। আশা করি আপনি শিগগিরই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে নিজের দায়িত্ব গুলো সঠিকভাবে পালন করা যায়, আমার জীবন প্রতিদিন এভাবেই অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে, অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।