হ্যা_{^{লো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।}}

Photo edit by canva

আজকে রবিবার সপ্তাহের প্রথম কার্য দিবস, কয়েকদিন হল বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এই কয়েকদিন কখনও ভারি বর্ষণ আবার কখনও হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে, আজকে সারাদিন ছাতা ব্যবহার করতে হয়েছে, যখনই বাড়ির বাহিরে বের হয়েছি তখনই ছাতা ব্যবহার করতে হয়েছে, বৃষ্টির দিনে ছাতা হচ্ছে বড় বন্ধু, ছাতা ব্যতীত চলাচল করা যায় না।

অনেকদিন প্রচন্ড গরমের পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে, বৃষ্টির অনেক উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে, জমির ফসলের জন্য অনেক উপকারী, বৃষ্টির কারণে জমিতে ফসল ভাল হয়, কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মানুষের চলাফেরা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়, বৃষ্টির দিনে একটা সুবিধা হচ্ছে বেশি ঘুমানো যায়। আজকের সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

প্রতিদিনের মত আজকেও সকালে মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, এরপর ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, ফজরের নামাজ আদায় করে এসে আবার একটু ঘুমানোর চেষ্টা করি, কিন্তু ঘুমাতে পারি না, কারণ আমার চাচার বাড়ি যেতে হবে, কয়েকদিন আগে আমার চাচী মারা গেছে, এই জন্য আজকে দোয়ার আয়োজন করা হবে এবং কিছু মানুষকে খাওয়ানো হবে।

আমার সাথে পরামর্শ করে দুপুরে এই খাওয়া এবং দোয়ার ব্যবস্থা করা হবে, তাই সকালবেলা আমার চাচার বাড়িতে গিয়েছিলাম, সেখানে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে দেখি মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় হয়েছে, তখন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, আমি সকালের নাস্তা করে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হব, এরকম সময় আমাদের মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোনে বলেন যে আজকে বৃষ্টির কারণে আসতে হবে না।

তাই কিছুক্ষণ বাড়িতে বসে থাকি, কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি একটু থেমে গেলে আমার বড় দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে মাঠে যাই, সেখানে আমার বড় সে সাইকেল চালায়, সে কিছুক্ষণ সাইকেল চালানোর পরে আমরা তিনজন ফুটবল খেলি, মাঠের ওয়ালের উপর বসিয়ে তাদের দুজনের সুন্দর কিছু ছবি উঠাই।

মাঠের মধ্যে কিছুক্ষণ খেলার পরে আমরা আবার আমার সেই চাচার বাড়ি যাই, সেখানে রান্না পর্যবেক্ষণ করার জন্য, আমরা গিয়ে দেখি রান্না শুরু হয়ে গিয়েছে, কিছুক্ষণ সেখানে রান্না দেখার পরে আমরা বাড়ি ফিরে আসি, আজকে পরিবেশটা একটু ঠান্ডা হওয়ার কারণে গোসল করি নাই, কিছুক্ষণ পরেই জোহরের নামাজ আজান হয়, তখন যোহরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই।

আজকে মসজিদে অনেক বেশি মুসল্লী ছিল, কারণ অনেক মানুষ দূর থেকে আমার চাচার বাড়িতে দাওয়াত খেতে এসেছে, জোহরের নামাজ আদায় করার পরে আমার বড় ছেলেকে সাথে নিয়ে চাচার বাড়ি দাওয়াত খেতে যাই, সেখানে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ, অনেক মানুষের খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে, বৃষ্টির কারণে বাড়ির বারান্দা দিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সবাই বসে গেলে আমার চাচির জন্য দোয়া করার পরে খাবার পরিবেশন করা হয়, আমাদের কাজীপুরে এরকম বড় আয়োজনে মাংসের পিটুলি দেওয়া হয়, এই পাটুলি আগে কলার পাতায় দেওয়া হতো, আর এখন অন টাইম প্লেটে দেওয়া হয়, এই পিটুলি আমাদের কাজীপুরের ঐতিহ্য, এই পিটুলি অনেক সুস্বাদু হয়, সবার সাথে বসে আমি এবং আমার ছেলে খুব মজা করে খেয়েছি।

খাওয়া শেষ হলে উপস্থিত অনেকের সাথে কথা বলে আমি বাড়ি চলে আসবো এরকম সময় আমার চাচা কিছু খাবার আমার কাছে নিয়ে আসে, এবং আমাকে বলে যে এটা তোমার বাবার জন্য, আমার বাবা অসুস্থ থাকার কারণে হাঁটতে পারে না, এজন্য সেখান থেকে আমার বাবার জন্য খাবার পাঠানো হয়, সেই খাবার নিয়ে বাড়িতে এসে বাবাকে খেতে দেই। খাবার নিয়ে আসার কারণে বাবা অনেক বেশি খুশি হয়।

বাড়িতে আসার পরে একটু ঘুমাই, আসরের আযান শুনে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, এরপর আসরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, আসর নামাজের পরে প্রতিদিন মক্তবের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াই, কিন্তু আজকে বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রীরা আসে নাই, যে কারণে মাঠের মধ্যে একটু হাটাহাটি করি, কিছুক্ষণ পর মাগরিব নামাজের আজান হয়, মাগরিব নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরে আসি, বাড়ি এসে আমার সন্তানদের সাথে সময় কাটাই।

কিছুক্ষণ পর এশার নামাজের আজান হয়, এশার নামাজের জন্য মসজিদে যাই, এশার নামাজ আদায় করে বাড়িতে এসে রাতের খাবার খাই, ততক্ষণে আমার সন্তানেরা ঘুমিয়েছে, আমি অনলাইনে কিছু কাজ করি এবং এই পোস্টটা লিখি, এই পোস্ট করার পরে ঘুমাবো।