Better Life with Steem || The Diary Game || 09 September 2024 || People's lives are miserable in extreme heat
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
Photo edit by canva |
---|
আজকের সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্য দিবস, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজের আগে মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, কয়েক রাত হলো ঠিক মতো ঘুমাতে পারিনা, কারণ রাতে বিদ্যুৎ থাকে না, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে প্রচন্ড গরমে ঘুমাতে খুব কষ্ট হয়, এই জন্য যতটুকু সময় বিদ্যুৎ থাকে না ততটুকু সময় ঘুমাতে পারিনা।
রাতে যখন ঘুম কম হয় তখন সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে অনেক কষ্ট হয়, তারপরেও যেহেতু নামাজের দায়িত্ব পালন করি সে হিসেবে ঘুম থেকে উঠতেই হয়, মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে ফজরের নামাজের জন্য তৈরি হয়, এরপর ফজর নামাজ আদায় করে এসে আবার একটু ঘুমাই।
এর মধ্যেই মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় হয়ে যায়, দ্রুত আবার ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হই, সকালের নাস্তা করে আমি আর আমার বড় ছেলে মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হই, রাস্তায় যাওয়ার পরে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি, কিন্তু কোন যানবহন পাচ্ছিলাম না, অনেকক্ষণ পর একটা অটো রিক্সা আসে। সেটাতে একটা মাত্র সিট খালি আছে, আমি সিটে বসে আমার ছেলেকে কোলের মধ্যে বসাই।
অটো রিক্সাতে উঠে বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাই, সেখান থেকে একটা অটো ভ্যানে উঠি, অটো ভ্যানে চালক আমাকে এবং আমার ছেলেকে নিয়েই রওনা হয়, আমরা দুজন খুব আনন্দের মাদ্রাসার দিকে যাই, অটো ভ্যানওয়ালা রাস্তার পাশে থাকা গাছের ছায়া দিয়ে তার ভ্যান চালাচ্ছিল, আজকে প্রচন্ড রোদ ছিল, রোদ বেশি হওয়ার কারণে গরমটা অনেক বেশি ছিল।
অটো ভ্যান চালক আমাদেরকে মাদ্রাসার কাছে দিয়ে আসে, সেখান থেকে আমরা মাদ্রাসায় যাই, মনে করেছিলাম আমার মাদ্রাসায় পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে, কিন্তু আমি যখন মাদ্রাসায় পৌঁছায় তখন দেখি কেউ আসে নাই, মাদ্রাসার দরজায় এখনো তালা দেওয়া, কিছুক্ষণ পর আমাদের অফিস সহায়ক আসে, সে দরজা খুলে দেওয়ার পর আমি অফিস রুমে গিয়ে বসি।
নির্দিষ্ট সময় মাদ্রাসার ক্লাস শেষ হলে আমরা বাড়ি ফিরে, আজকে বাড়ি ফেরার সময় আমার ছেলে বাসে ওঠার আবদার করে, এজন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করি, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বাস আসে, আমরা বাসে উঠে আমাদের বাজার বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি, এরপর বাড়ি এসে গোসল করি এবং যোহর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই, জন্য আদায় করে এসে দুপুরের খাবার খাই এবং কিছু সময় বিশ্রাম নেই।
কিছুক্ষণ পর আসরের নামাজের সময় হয়, আসরের নামাজ আদায় করার পরে মক্তবের ছাত্রছাত্রীদের পড়াই, মাগরিবের নামাজের আগ মুহূর্তে তাদের ছুটি দেই, মাগরিবের নামাজ আদায় করার পরে আমাদের গ্রামের বাজারে যাই, এখানে মুসা ভাইয়ের বিখ্যাত ঝালমুড়ি পাওয়া যায়, মুসা ভাইয়ের ঝাল মুড়ি ইতিমধ্যেই সবার কাছে পরিচিত হয়ে গিয়ে।
সে খুব সুস্বাদু করে ঝাল মুড়ি বানিয়ে দেয়। এক প্লেট ঝালমুড়ি 10 টাকা, সন্ধ্যের পর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত সেখানে ঝাল মুড়ি খাওয়ার সিরিয়াল থাকে, এলাকার সবার মাঝে এখন মুসা ভাইয়ের ঝাল মুড়ির নাম ছড়িয়ে পড়েছে, তার ঝাল মুড়ি খেয়ে সবাই প্রশংসা করে, আমিও মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে দশ টাকার ঝাল মুড়ি খাই।
ঝাল মুড়ি খেতে খেতে এশার নামাজে আজান হয়, এশার নামাজ আদায় করে এসে রাতের খাবার খাই, রাতের খাবার খাওয়ার পর অনলাইনে কাজ নিয়ে বসব এরকম সময় বিদ্যুৎ চলে যায়, বিদ্যুতের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করি, প্রায় এক ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ আসে, তখন অনলাইনে কাজ শুরু করি এবং এই পোস্ট লিখি, এ পোস্ট করে ঘুমাবো।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আবারও আপনার একটি দিন লিপি পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজের কার্যক্রম গুলো খুব ভালোভাবেই আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন।
আপনার ওঠানো ঝালমুড়ির ছবিটা দেখে মনে পড়ে গেল দেশে থাকতে প্রতিদিন বিকালবেলা বাবুলের ঝাল মুড়ি খেতে যেতাম সেই স্মৃতি। সন্ধ্যার সময় ঝালমুড়ি যেন অমৃত লাগে।
প্রত্যেক এলাকাতেই বিখ্যাত কিছু ঝাল মুড়িওয়ালা থাকেই, আর আমাদের বিকালের অন্যান্য কাজের মধ্যে একটা থেকে ঝালমুড়ি খাওয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে মনোযোগ দেওয়ার জন্য, এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকবেন।
আমাদের এলাকার ঝালমুড়ি আসলেই অনেক নামকরা। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ বাবরের দোকানে আসে ঝাল মুড়ি খেতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টই পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য
সুন্দরভাবে একটি দৈনন্দিন কার্যক্রম আপনি শেয়ার করেছেন।
এটা খুবই ভালো নিজের সন্তানকে সাথে নিয়ে যাওয়া। প্রতিদিন সকালে এলার্মে ঘুম ভাঙ্গে কিন্তু আমি শত চেষ্টা করেও সকালে উঠতে পারিনা।
আমাদের একেক দিন একেক রকম ভাবে তো হয়, আমার ছেলে প্রতিদিন আমার সাথে এই মাদ্রাসা যায়, অনেক সময় মোবাইলে এলার্ম শুনেও ঘুম ভাঙ্গে না, অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ দেয়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।