আজকের বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের গ্রামের স্কুলে গিয়েছিলাম
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
আমাদের গ্রামে একটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও অনেকদিন হলো সেখানে আমার যাওয়া হয় না, যদিও এই বিদ্যালয়টা আমাদের বাড়ির পাশেই, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সেখানে যাওয়া হয় না, অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা দিয়ে গেলেও বিদ্যালয়ের ভিতরে যাওয়া হয় না, আজকে অনেকদিন পরে বিদ্যালয়ের ভিতরে গিয়েছিলাম।
গতকাল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার কাছে এসেছিলেন, আমাকে আজকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার দাওয়াত দিয়ে গেছেন, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আজকে বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত দেওয়া হয়, সকাল দশটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে এগারোটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আজকে মূলত ১২ই রবিউল আউয়াল উপলক্ষে এই দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ রোজ সোমবারে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মগ্রহণ করেন, এজন্য এই দিনটাকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে বিশ্বের সকল মুসলমান পালন করে থাকে, হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মদিন উপলক্ষে এই দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকাল দশটায় আমি আমার দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাই, বিদ্যালয়ের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে সেখানকার ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা দৌড়ে চলে আসে, তারা আমার দুই সন্তানের খেলার সাথী, তারা আমার দুই সন্তানকে খুব ভালোবাসে এবং পছন্দ করে, এজন্য তাদের দুইজনকে দেখার সাথে সাথে সবাই কাছে চলে আসে।
রাস্তা থেকে আমার দুই ছেলের সাথে গোলাগুলি করে একসাথে বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে, তাদের এই মহব্বত থেকে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, আমরা ছোটবেলায় এরকম একসাথে মিলেমিশে থেকেছি, কারো সাথে কখনো ঝগড়া হলে সেটা মুহূর্তেই ভুলে যেতাম, যেটা সকল বাচ্চাদেরকে একটা অভ্যাস, কারো সাথে ঝগড়া হলে সেটা মুহূর্তেই ভুলে যায়, আমরা বড় হয়ে সেই অভ্যেসটা ধরে রাখতে পারি নাই, এখন কারো সাথে ঝগড়া হলে তার সাথে অনেকদিন পর্যন্ত কথায় চলে না, এটা কখনোই উচিত নয়।
তাদের এই বন্ধুত্ব দেখে আমি অভিভূত, তারা হয়তো জানেই না যে, তারা এখন জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত অতিবাহিত করছে, এবং তারাই এখন সুখী মানুষ, তারা যখন একসাথে বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করবে তখন সেখানে তাদেরকে দাঁড় করিয়ে কিছু ছবি তুলি, এতে সবাই খুব খুশি হয়, এবং খুব আগ্রহের সাথে ছবি তোলার জন্য দাঁড়ায়।
আমি দশটায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরে প্রধান শিক্ষক আমার কাছে আসেন, এবং বলেন যে অনুষ্ঠানের সময় দশটার পরিবর্তে ১১ টায় করা হয়েছে, আপনি দয়া করে ১১ টার সময় আসবেন, আমি আমার দুই সন্তানকে বিদ্যালয়ে রেখে বাড়ি চলে আসি, বাড়ি থেকে ঠিক ১১ টায় বিদ্যালয় যাই, বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ হলে সবার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়, বিদ্যালয় এর শিশু শ্রেণীর রুমে বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা রাখা হয়েছে, আমার দুই সন্তান সেখানে কিছুক্ষণ খেলা করে, সম্পূর্ণ বিদ্যালয়টা খুব সুন্দরভাবে অঙ্কন করা, বিভিন্ন ভাষার অক্ষর লেখা রয়েছে দেওয়ালে, বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্য আঁকা রয়েছে, স্কুলের ভিতরে সুন্দর পরিবেশ দেখে খুব ভালো লেগেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকলের উদ্দেশ্যে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করি, এরপর দোয়া করি, দোয়ার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর আমার দুই ছেলে খেলা করে, আর আমি বিদ্যালয়ে অফিস রুমে বসে থাকি, সেখানে আমাকে আপ্যায়ন করা হয়, আপ্যায়ন শেষ হলে আমি যখন বাড়ি চলে আসব তখন আমার বাড়ির জন্য কিছু মিষ্টি দিয়ে দেয়, এরপর আমার সন্তানদের সাথে নিয়ে বাড়ি চলে আসি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো এটা সকলেরই ভালো লাগে। আমি কিছুদিন পর পর এই স্কুলে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে যায়। স্কুলের পরিবেশটা খুবই ভালো। তবে ছোট বাচ্চাদের সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্কুলের বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে, আমাদের গ্রামে স্কুলটা আসলে অনেক সুন্দর, যদিও ছাত্রছাত্রী অনেক কম, ধন্যবাদ আমার কষ্ট মনোযোগ দেয়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।