Better Life With Steem || The Diary Game || 5rd February 2025
Photo edited by canva
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আবারো নতুন একটা ভোরের আলো দেখতে পেয়ে, প্রতিদিনের মতো আবারও শেয়ার করছি আমার আজকের দিনের কার্যক্রম, তো চলুন শুরু করছি শুরু থেকে এই।
![]() |
---|
আজ প্রতিদিনের তুলনায় একটু তাড়াতাড়ি ঘুমটা ভেঙ্গে ছিলো, আর ঘুম ভাঙ্গার পরে একটা নিয়োজিত গৃহিণী প্রধান কাজ হচ্ছে আজ সকালের নাস্তা তৈরি কি করবো, এটা মনে হয় প্রত্যেক টা সংসারিক মহিলাদের একটা চিন্তা, রুমের মধ্যে সবকিছু থাকার পরেও এই ভাবনা টা করতেই হয় ,, তাই সকাল বেলা নাস্তা তৈরীর জন্য রান্না ঘরে চলে গিয়েছিলাম।
রুটি তৈরি করেছিলাম সাথে ডিম এবং আলু ভাজি এবং গতকালকের ডাল ছিলো এই সব কিছুর সমন্বয় সকালের নাস্তা টা খুব ভালোভাবেই করা হয়েছে। ও হ্যাঁ সাথে কিন্তুু ভিজিয়ে রাখা চিতই পিঠা বা দুধ চিতই ছিলো।
সকালের নাস্তা শেষ করে বারান্দায় গিয়েছিলাম কিন্তুু হঠাৎ করে খেয়াল করলাম অনেক বেশি কুয়াশা পড়েছে, বারান্দার গ্লাস যেন কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছে,আর চারদিকে তো কিছুই দেখা যাচ্ছিল না, তবে এই কুয়াশা টা কিন্তু খুব একটা সময় স্থায়ী হয়নি ঘন্টা খানিকের মধ্যে আবার যেন কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছিল।
এরপর আমি গিয়েছিলাম একটু ডাক্তারের কাছে, এবং যাওয়ার আগে দুপুরে রান্নার জন্য সব কিছু গুছিয়ে রেখেছিলাম, খুব একটা সময় লাগেনি, খুব দ্রুতই ডাক্তার দেখিয়ে বারোটার মধ্যে চলে এসেছি, এসে দেখে দুপুরে রান্না শাশুড়ি আম্মা করে রেখেছে। তাই মেয়েকে নিয়ে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
![]() |
---|
এরপরে সবাই মিলে একসাথে দুপুরের খাবার খেলাম, খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি খানিক টা সময় বিশ্রাম নিয়ে মেয়েকে নিয়ে আরবি টিচারের কাছে দিয়ে আসলাম। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আছরের আজান হলো নামাজ আদায় করে, বাহিরে থাকা শুকনো কাপড় গুলো নিয়ে আসলাম।
![]() |
---|
এরপরে সবাই মিলে হালকা চা বিকালের নাস্তা টা শেষ করি,চা খেতে খেতে আমার আম্মুর সাথে বেশ খানিক টা সময় কথা বলেছিলাম। এরপর হাজবেন্ড অফিসে চলে গেল আর আমি মাগরিবের নামাজ আদায় করে মেয়েকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম।
যেহেতু, পরীক্ষার আর বেশি দিন বাকি নেই, এ বছর অনার্স থার্ড ইয়ার ভালো একটা রেজাল্ট করতে হবে, সেই আশায় পড়ালেখার দিকেও খুব ভালোভাবে মন দিতেছি,কারণ এর পরে আর একটা বছর থাকে, এত কষ্ট করে যখন পড়ালেখাটা করছি ভালো একটা রেজাল্ট না করলে কোন উপায় নেই।
যদিও শ্বশুর মারা যাওয়াতে, পড়ালেখার প্রতি যেন কোন আগ্রহী খুঁজে পাচ্ছি না,কোথাও যে যেন একটা হতাশা একটা দুশ্চিন্তা আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে, সংসারের, সন্তান এত চাপ মাথায় নিয়ে,আমি কি পারবো পড়ালেখা টা শেষ করার পরে নিজে কিছু করতে।
এর মাঝে কখন যেন এশারের আযান দিয়ে দিয়েছিলো,এবং হাজবেন্ডের ও বাসায় চলে এসেছিলো,রাতে রান্না করার প্রয়োজন ছিলো তবে, তার আগেই তিনি বাহির থেকে খাবার এনেছে কাচ্চি বিরিয়ানি, এরপরে আর কি করার রান্নাবান্না ঝামেলা শেষ সবাই মিলে একসাথে খাবার টা খেয়ে নিলাম।
এইতো এভাবে কেটেছে আমার আজকের দিন, সবশেষে বলি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
মেয়েদের সংসার জীবনে ছুটি আছে বলে আমার মনে হয় না প্রতিটা মুহূর্ত তাদেরকে অন্যরকম ভাবে কাটাতে হয় আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন সংসারের দায়িত্ব থেকে আপনি কখনো নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারবেন না এটাই বাস্তব ডাক্তার দেখিয়েছেন আশা করি আপনার শরীরের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো আছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে পড়াশোনা করে ভালো একটা রেজাল্ট করবেন আপনার স্বামীর মুখ উজ্জ্বল করবেন কেননা আপনার শ্বশুর আপনার পড়াশোনার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। উনি যেহেতু বর্তমান সময়ে এই পৃথিবীতে নেই তাই আমি মনে করি উনার কথা চিন্তা করে হলেও আপনার পাশে থাকে সঠিকভাবে করার চেষ্টা করেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।