Better Life With Steem || The Diary Game || 15th February 2024.
Photo edited by canva
![]() |
---|
ঘুম ভেঙ্গেছে ছয়টা বাজে, উঠতে একদম এই মন চাচ্ছিলো না এছাড়াও শরীরটা বেশ দুর্বল লাগছিলো। তাই বেশ কিছুটা সময় শুয়ে ছিলাম। এরপরে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফোনটা হাতে নিলাম এবং কাজের খালাম্মা কে ফোন দিলাম আসার জন্য। সকালের নাস্তার জন্য রুটি এবং গাজর ও আলু ভাজি করে নিলাম এরপরে শ্বশুর এবং আমি সকালে নাস্তা টা শেষ করি। সকালের নাস্তা শেষে আর বসে থাকলাম না কাজে নেমে পড়েছি।
![]() |
---|
ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পরে খেয়াল করে দেখলাম, এই মুরগি টা বেশ বড় হয়েছে এবং এটাকে রাখা এখন আমাদের জন্য খুব একটা লাভজনক হবে না। তাই আজ দুপুরের রান্নার জন্য মুরগিটা ধরে নিলাম। দেশি মুরগি খাওয়ার স্বাদটা এই একটু অন্যরকম, এরপরে দুপুরে রান্না বান্না শুরু করি এবং প্রায় বারো টা বেজে যায় শেষ করতে।
![]() |
---|
দুপুরের রান্না শেষে মেয়ে কে নিয়ে গোসল করাতে যাব। ঠিক তখন এসে শুরু করেছে গোল গোল তারপর খাবে, হাতের আঙ্গুলের মধ্যে রেখে। কি আর করার আছে, না করলে ও আমি জানি এখন শুনবে না উল্টো কান্না শুরু করবে। তাই গিয়ে পাঁপড় ভেজে দিলাম এবং ওর সাথে আমিও কিছু খেলাম। সত্যি পাঁপড় খেতে মজাটাই অন্যরকম যত এই খাই কিন্তুু মন ভরে না।
![]() |
---|
দুপুরে গোসল শেষে রুমে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আমার গোসল শেষ করে এসে দেখলাম কম্বলের নিচে ঢুকেছে ঘটনা টা খেয়াল করে দেখলাম এবং মুখের দিকে তাকাতে এই দেখি লিপিস্টিক এমন ভাবে লাগিয়েছে, যেটা দেখে আমার হাঁসি আর থামাতে পারলাম না। এবং আমি রাগ করার আগে, মেয়ে আমার হাঁসতেছে, তাই কিছু না বলে একটা ছবি তুলে রাখলাম। আর এটা দেখে আমার মেয়ে আমার একটা ছবি তুলে দিলো, মা মেয়ে দুই জনে মিলে খুব সুন্দর একটি দুপুর কাটিয়েছি।
![]() |
---|
ইচ্ছা ছিলো কিছু একটা তৈরি করবো, বিকালের নাস্তার জন্য তবে, দুপুরে একটু বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তাই আর নাস্তা তৈরি করার কোন ইচ্ছা ছিল না তখন কিন্তুু খালি মুখে তো আর বিকাল কাটানো সম্ভব নয়, তাই একটা ডালিম এবং একটা কমলা দুই টা কলা ও নিয়ে বসেছি বিকালের হালকা নাস্তা করার জন্য।
এরপরে বাবার বাড়িতে ফোন দিলাম। আজ আমার ভাইয়ের এসএসসি পরীক্ষা ছিলো, তাই পরীক্ষা কেমন হয়েছে এ বিষয়ে ওর সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম। এরপরে আমার আম্মুর খবর নিলাম এবং তাদের সাথে কথা বলার শেষ করি। ও কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো এবং হাত মুখ ধুয়ে নামাজ আদায় করে নিলাম।
![]() |
---|
সন্ধ্যায় মেয়েকে পড়তে বসলাম, পড়ানো শেষ করে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি ও রাতের খাবার খেয়ে নিলাম, এরপরে হাজব্যান্ড ফোন দিলো এবং দুই জনে এই খুব ঠান্ডা মাথায় কিছুটা সময় ঝগড়া করলাম। এরপরে তাকে বিদায় জানালাম এবং ফোনটা রেখে সৃষ্টিকর্তার করতাম নাম স্মরণ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD_1.gif)
দেশি মুরগির স্বাদ ব্রয়লার মুরগির থেকে অনেকটাই বেশি তবে দেশি মুরগি রান্না করতে কিছুটা বেশি সময় দিতে হয়।
আমার মুরগির স্কিন খেতে দারুন লাগে। আমাদের এখানে আবার স্কিন সমেত মুরগি প্রায় পাওয়াই যায় না। আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় অবশ্য পাওয়া যায়।
আমিও ছোটবেলায় আমার মা আর দিদির লিপস্টিক ঠোঁটে মেখে আপনার মেয়ের মতো খেলা করতাম।
একদম ঠিক বলেছেন দেশে মুরগী রান্না করতে কিছুটা সময় বেশি লাগে কারণ মুরগির মাংস গুলো হয় একটু শক্ত ধরনের।
মাঝেমধ্যে যখন অভিমান গুলো জমে যায় তখন ঠান্ডা মাথায় ঝগড়া করতে হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রুটি আর আলু ভাজি দিয়ে সকালের নাস্তা করেছিলেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন দেশি মুরগির স্বাদ খুব ভালো। ছোট বাচ্চাদের কখনও যে কি মনে চায় সেটা তারাই জানে শুধু।
সারাদিন খুব ভালো ভাবেই পার করেছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
এ ক'দিনের ধকলের ক্লান্তি আপনার চেহারায় স্পষ্ট বিদ্যমান। কিন্তু তারপরও আপনি নিজের দায় দায়িত্ব গুলো সময় মতই সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। আপনার মেয়েটি খুব দুষ্টু হয়েছে। তবে বিরক্ত হবেন না কারণ এটাই ওর দুষ্টুমির বয়স। এরপর একটা সময় এমন শান্ত হয়ে যাবে যে তখন আপনি আফসোস করবেন। ঠান্ডা মাথায় ঝগড়া করুন আর রাগের মাথায়, চেষ্টা করবেন ঝগড়া দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে। নইলে আপনারই মনটা খারাপ হয়ে থাকবে।
একদম তাই আপু এটা এখন আর দুষ্টামির সময়।
তাই খুব একটা রাগ করি না।
জীবনে এমন একটা মানুষ পেয়েছি, যার উপরে কখনো ঝগড়া করে খুব একটা বেশি সময় পার করতে পারিনি।। এর আগে মিটিয়ে নিয়েছি। ধন্যবাদ আপু।
নিজেদের হাতে পালন করা দেশি মুরগি খাওয়ার স্বাদটাই অন্যরকম।
আপনার মেয়ে হাসি খানা মুখখানি দেখে খুব ভালো লাগলো।
ঝগড়া তো ঝগড়ার রাগের মাথায় হয় তবে ঠান্ডা মাথায় ঝগড়া সেটা বুঝলাম না।
থ্যাঙ্ক ইউ আপনার সারাদিনের ডাইরি গেম আমাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন।
হ্যাঁ আপু একদম ঠিক ঝগড়া তো ঝগড়ায় ঠান্ডা এবং গরম মাথায় নেই তবে, তবে মাথা ঠান্ডা রাখার কারণ হলো যাতে ঝগড়াটা স্থায়ী না হয়।
বাড়িতে পোষা দেশি মুরগি রান্না করে খাওয়ার স্বাদটাই অন্যরকম ।আপনার মেয়েকে দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল । আমি ছোটবেলায় কপালে টিপ পড়তে ও ঠুটে লিপিস্টিক দিতে খুব পছন্দ করতাম
বরের সাথে ঠান্ডা মাথায় ঝগড়া করেছেন এ কথাটা শুনে মনে মনে খুব হাসি পেল এবং আমার অতীতের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। মাঝেমধ্যে বরের সাথে ঠান্ডা মাথায় ঝগড়া করাটা ভালো এতে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা গভীর হয় । এই ঝগড়াটা তখনই হয় যখন মনের মধ্যে অভিমান তৈরি হয় । অভিমান থেকে তৈরি হওয়া ঝগড়ার মাধ্যমে ভালোবাসা গভীর হয় ।
যাইহোক, অনেক কথা বলে ফেললাম ।আপনার একটি দিনের দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল । ভালো থাকবেন ।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য এবং আপনার পুরনো স্মৃতিটাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক যখন আমাদের শরীর খুব বেশি ক্লান্ত লাগে তখন, আমাদের সাথে এমনটাই হয় ধন্যবাদ খুব সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
দেশি মুরগি খাওয়ার মজা অন্য রকম ।। আমাদের বাসায় কয়েকটা দেশি মুরগি রয়েছে আর কিছু কিনে রাখা হয়েছে রমজান মাসের জন্য।। আপনার মেয়ের হাসি খানা মুখটা অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে।। আর ফলমূল আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন।।