আপেলের লাইভ আর্ট
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। তো আজকে আমি অনেকদিন পর একটি স্কেচ মানে স্টিল লাইফ আঁকতে চলেছি ।আমি অনেকদিন আগে স্টিল লাইফ এঁকেছি ।
ভাবতেই পারেন যে বাবা একে দিয়েছে । কিন্তু আসলে তা না। আমিই পুরোটা এঁকেছি। আমি কোনো ছবি তে কারোর হেল্প নিই না। তবে মাঝেমধ্যে বাবা অথবা দিদি আমাকে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়।তাছাড়া ক্যামেরা ছাড়া ড্রইংগুলোতে আমি বাবার একটু হেল্প নিই। মানে অন্য সময় যখন অবসরে আমি ছবি আঁকি বাবার কাছে তখন বাবা আমাকে সাহায্য করে। কিন্তু পোস্টের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। কারণ আমি যে সময় ছবি আঁকি বাবা সে সময় থাকে না। বাবা সাথে থাকলে হয়তো ছবিগুলো আরো ভালো ভালো আঁকতাম।
কারণ সব জিনিসে একটু দেখার প্রয়োজন ।না দেখলে সেটি ডাইরেক্ট করতে গেলে কেউ সফল হবে না। সেটির মাটির কাজ হোক বা অন্য কিছু হোক। প্রথমে তাকে দেখতে হয়। যে ভালো ভাবে দেখবে সে ভালো কাজ করতে পারবে, আমার বাবাও বলে। বাবা যখন কাজ করতে বসে বাবা সব সময় বলে, বাবা কেমন ভাবে কাজ করছে সেটা দেখতে। তাহলে ভালো হবে। আরো তাড়াতাড়ি শেখা যাবে। এটি আমার বাবা শিখিয়েছে।
যখন আমার বাবা কাজের ঘরে, কোন দোকানের মাল রং করে ,তখন আমি দেখি তারপর গিয়ে রং করি। হ্যাঁ মাঝে মাঝে করতে দেয় না ।কারণ সেটা ফাইনাল টাচ তাই।
তাছাড়া আমাকে রং করতে দেয় আর আমি মাঝে মাঝে ওটা ভুল করে দিই। মানুষ ভুল করে করেই সেই কাজে পারদর্শী হয়।
যেমন আমি ছোটবেলায় যখন আমার ২ বছর বয়স, তখন আমার বাবা আমাকে একটি চার চাকা আলা সাইকেল কিনে দেয়। সেই সাইকেল চালাতে চালাতে যখন আমার চার বছর বয়স হয়। তখন আমি পেছনে দু চাকা খুলে দিই ,তারপর সেই দুই চাকার সাইকেলে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। ওই করতে করতে একদিন এমন আসে যে ,আমি সাইকেল যেকোনো মুহূর্তে যেখানে সেখানে চালাতে পারি।
কিন্তু আগের বছরে যেই সাইকেলটি কিনে দিয়েছিল, সেটি ঠিক ফেব্রুয়ারি নাকি মার্চ মাসে আমার একটি ভাইপোকে দেওয়া হয়েছে। মানে আদিকে। আপনারা আমার দিদির পোস্টে মনে হয় দেখেছেন। এদিকে আদীর বার্থডে আমার দিদিকে আদি ঈশা নামে এমন করে ডাকে যে আমার দিদির ভালোলাগে। যাইহোক তাকে দেওয়া হয়েছে।
আর আমার বাবার সঙ্গে আমি আরেকটি নতুন সাইকেল কিনেছিলাম। এখন সামনে পট করে কেউ আসুক বা কোন ছোট জায়গা দিয়ে বের করতে হোক আমি সব ঐ সাইকেল দিয়ে করে নিই। পাড়ায় তো আমাকে সাইকেল কিংও বলে। সেটা কয়েকজন বলে। কারণ আমি বাড়িতে বাগানের মধ্যে সাইকেল চালাতে চালাতে শিখেছি ।আমার মায়ের তো বড় বাগান না, ছোট বাগান। তাও এমন বাগান যেখানে একটা লোকই ফিট হবে অর্থাৎ দুটো লোক সমান চওড়া ।
এখান দিয়ে সাইকেল চালানো কম ব্যাপার, তাও আমি তো সহজভাবে সেখান দিয়ে বের করি। কারণ আমার অভ্যাস হয়ে গেছে ।আমার বাড়ির বাগান বলে কথা। আমার মায়ের বাগানটা ওরকম ছিল না। প্রথমে তো ছিল মাটি ।তারপর পাথর টাইলস বসিয়ে ওরম দেখতে হয়েছে ।আর মূল কথা, আমি তো শিবতলায় অনেকবার খেলতে গেছি ।আর শিবতলার ঢোকার গেট একটু ছোট টাইপ অর্থাৎ যেমন দরজা হয় ঘরের দরজা। একটু চওড়ার দিক থেকে কম। ঠিক আমার মায়ের বাগান এর মতন। মানে হ্যান্ডেল ফিট হয়ে যাবে। সেরকম।
তো সেখানেও চালাতে চালাতে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে এই লাইফ স্কেচ টা শেয়ার করলাম। আমি আসলে ছবি আঁকার একদম সময় পাচ্ছি না। আমার পড়তে সেরকম ভালো লাগেনা। আর পরীক্ষা চলছে। তাই পড়তে বসতে হচ্ছে। মা-বাবা আর অন্য কিছু করতে দিচ্ছে না। আমি কিভাবে এ সময়ে ছবি আঁকবো পোস্ট করব। তাই এরকম দেরি হচ্ছে। এজন্য আমার বড়দের সকলের কাছে সরি চাইছি।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)