Better life with steem || The Diary Game || 13 April 2024 ||
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আপনাদের দোয়া আশীর্বাদে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আবার আপনাদের মাঝে আজকে আমার সারাদিনের কার্যলিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে এবং শেয়ার করতে চলে আসলাম।
সকাল বেলা
আজকে সকালে ঘুম ভাঙ্গে গড়িতে তখন ৬:২১ মিনিট ঘুম থেকে উঠেই ,প্রতিদিনের মতো পোল্ট্রি ফার্মে চলে যায় ।গিয়ে দেখি আম্মা এবং ছোট ভাই কাজ করতেছি তাই দাঁড়িয়ে না থেকে কাজে লেগে যায়।
পোল্ট্রি ফার্মে কাজ গুলো শেষ করে বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে শুয়ে মোবাইল চাপি। ৯:১৭দিকে আম্মা খাবার জন্য ডাক দেয়। তাড়াতাড়ি উঠে দাঁত ব্রাশ করি সকালে খাবার খেয়ে বাইরে বের হয়ে যাই।
তখন হালকা হালকা গরম লাগতেছে তাই বাহিরে হয়ে। বাইরে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর গরমে ঘেমে যাচ্ছিলাম তাই আবার রুমে চলে আসি রুমে এসে শুয়ে মোবাইল প্রায় অনেক একটা সময় চালায়।
দুপুর বেলা
আবার পোল্ট্রি ফার্মে চলে যায় কারণ আজকে গরম পড়ছে তাই মুরগিকে স্যালাইন দেওয়ার জন্য ।আমি আমার ছোট ভাই এবং আমার বাবা পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসি।
আমি এসে আগের সব পানি ফেলে দেয় এবং তা পরিষ্কার করে আমার ছোট ভাই বা বাবা তারা স্যালাইন পানির সাথে মিশিয়ে থাকে। এরপর আমি সবগুলো পরিষ্কার করার সাথে সাথে মগ দিয়ে পানিতে থাকে।
আমাদের পোল্ট্রি ফার্মে ১২ টি পানির পাইপ আছে প্রতি পাইপে ৩০ লিটার করে পানি দেয় সাথে ৩০ গ্রাম স্যালাইন দেয়। এভাবে বারোটি পাইপে পানি দেওয়ার শেষ করে বাড়িতে চলে যাই
গিয়ে খুব ক্লান্ত লাগে রুমে গিয়ে রেস্ট করতে যাই কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে যাই আমি ঘুম থেকে উঠি ১:৫৪ উঠে গোসল করার জন্য চলে যাই। এবং গোসল শেষ করে রুমে চলে আসি।
কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর তিনটার দিকে আবার মুরগিকে খাবার দিতে চলে যাই ঢোকার সাথেই সামনে দুইটা ডিম পরে ওইগুলা আগে তুলি তারপর মুরগিকে খাবার দেওয়ার জন্য বস্তা থেকে খাবার বের করি এবং তা বালতিতে আর প্লাস্টিক বলে ঢালি।
আমি এক সাইডে আর আমার ছোট ভাই সাইডে চলে যায় দুজনে খাবার দিতে এক ঘন্টা সময় লেগে যায়। খাবার দেওয়া শেষ করে ফ্রেশ হয়ে নিজে দুপুরের খাবার খাবার জন্য বসে যাই খাবার শেষ করি
বিকালবেলা
দাদীর বাসায় চলে আসি ওইখানে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আমি আর ফুপি একসাথে হাটতে বের হই হাঁটতে হাঁটতে ধান খেত দেখতে আমার খুব ভালো লাগছে সবুজ তাই কিছুক্ষণ ধান খেতে ছোট রাস্তা দিয়ে হাটি
এবং সামনে একটি দোকান দেখতে পাই দোকানে গিয়ে গরম লাগতেছিল তাই ঠান্ডা হওয়ার জন্য ঠান্ডা কিনে নিয়ে আসি ওইটা আসলে কম ঠান্ডা ছিল ।
তাই দুজনের খাওয়া শুরু করি ফুপি খুবই তাড়াতাড়ি শেষ করে এবং আমি আস্তে আস্তে খাই কিছু সামনে এসে দেখি চাচাতো বোন হেঁটে এদিকে আসতেছি আমার হাতে ঠান্ডা রেখে উনি বলে আমার জন্য রাখতে তাই আমি আর খেতে পারলাম না তাকে দেওয়া লাগলো
সন্ধ্যাবেলা+রাত্রিবেলা
তিনজনই হাঁটতে হাঁটতে বাড়িতে দিকে চলে আসি আসার পর মুরগিকে আবার পানি দেই পানি দেওয়া শেষ করে গতকালকে কিছু ওষুধ ভুল করে বেশি করে নিয়ে এসেছিলাম সেগুলো দিয়ে আসতে যাই।
আমি আর আর ফুপি ভালুকা যায় ফার্মেসি তে গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসার সময় সামনের দোকানে ট্রাউজার টানো দেখে খুবই পছন্দ যায় তাই ওইটা দামাদামি করে নিয়ে আসি।
এবং আসার সময় বাচ্চাদের জন্য বাচ্চা কিছু চিপস নিয়ে আসি বাসায় এসে বাচ্চাদেরকে একটি করে চিপস দেই দেওয়া শেষ করে। ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে রেস্ট নেই রেস্ট নেওয়ার পরে পোস্ট লিখতে বসে যায়
পোস্ট লেখা মাঝখানে আম্মা রাত্রে খাবার খাওয়া জন্য ডাকে দেয় খাওয়া শেষ করে বাকি পোস্ট লেখা কমপ্লিট করে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নেই।
প্রতিদিনের মতোই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পল্ট্রি ফার্মে গিয়ে মুরগির কাজ করেছেন। আবারো বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়েছেন। বর্তমানে একটু অত্যাধিক গরম পড়েছে আর এরকম গরম মুরগির জন্য সুবিধার নয়।
গরমের সময় দেখা যায় পোল্ট্রি ফার্মের সবসময় সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়
সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মুরগি পালন করা যেমন লাভবান জনক একটা ব্যবসা তার মধ্যে কিন্তু অনেক পরিশ্রম, এবং অনেক সময় দেখা যায় লোকসান হয়ে থাকে। বিশেষ করে গরমের সময়। বর্তমান সময়ে যে পরিমাণে গরম পড়ছে, অবশ্যই মুরগিকে স্যালাইন খাওয়ানো প্রয়োজন। যেটা আপনারা করছেন। সেই সাথে ফুপুর সাথে কিছুটা সময় পার করেছেন। গরমের সময় ঠান্ডা পানি ও পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।