ডিনারের মেনু
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে নিতে চাই সেদিনকের ডিনারের মেনু।
আমি গত পরশু পোস্টে লিখেছিলাম ডিনারের উদ্দেশ্যে একটি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা ।যেটি নবদ্বীপের যেতে আমডাঙার ওদিকে অবস্থিত। ওরকম ফাঁকা জায়গায় যে এত সুন্দর রেস্টুরেন্ট হয়েছে তা সত্যিই জানা ছিল না। যার খোঁজ জেঠু আমাকে দিয়েছিল। আসলে দিদি জেঠুরা মাঝেমধ্যেই রাতের দিকে গাড়ি নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরতে যায়। এরকম ঘুরতে ঘুরতেই একদিন জেঠু এই রেস্টুরেন্টের খোঁজ পায়।
শহরের বাইরে একটু আবডালে এরকম ফাঁকা জায়গায় নিরিবিলির মধ্যে একটি রেস্টুরেন্ট সত্যিই শান্তি দেয় মনকে। বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট এ এখন প্রচুর ভিড় হয় ।আর মানুষের ভিড়ে ঠিকভাবে কথা পর্যন্ত বলা যায় না।। আর আমিও একটু শান্ত পরিবেশ পছন্দ করি।
কৃষ্ণনগরের মধ্যে সবথেকে ভালো রেস্টুরেন্ট হলো মাদার্স হাট। সেখানেও একটা সময় সেই শান্তিপ্রিয় ব্যাপারটা ছিল। যখন থেকে লোকের ভিড় বেড়েছে অর্থাৎ লোকজন এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে জানতে পেরেছে ,তখন থেকে ২৪ ঘন্টা রেস্টুরেন্টে এত পরিমাণে ভিড় থাকে ,যে বলে বোঝাবার নয়।।
স্বাভাবিকভাবে ভিড় যেহেতু বেশি থাকে ,তাই মানুষ কন্ট্রোল করাও দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। এই রেস্টুরেন্টের খোঁজ পেয়ে সত্যিই আমরা সবাই ধন্য। মা বাবা প্রথমবার গিয়েছিল তাই মা ঢুকতেই বলে উঠলো যে ,খুবই সুন্দর লাগছে জায়গাটা।রেস্টুরেন্ট এর পাশেই গোলাপ ক্ষেত আর রজনীগন্ধার ক্ষেত।
যাইহোক আমরা যেহেতু রেস্টুরেন্টে অনেক লেট করে ঢুকেছিলাম তাই রেস্টুরেন্টটা ফাঁকাই ছিল। প্রথমে আমরা ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছিলাম বলে বাবা মা বকাবকি করছিল। যেহেতু রাত হয়ে যাচ্ছে তাই আগে অর্ডারটা করে দিতে হবে।। ওরা বারবার বলছিল আগে অর্ডার করে নে ,তারপরে ছবি টবি তোল।।
সেইমতো প্রথমে আমরা নিয়ে নিয়েছিলাম ফিস ফিঙ্গার। ফিশ ফিঙ্গার হতে হতে আমরা অনেক অনেক ছবি তুলতে লাগলাম। আরো অনেক কিছু নিয়ে গল্প আড্ডা দিতে লাগলাম। অবশেষে ফিশ ফিঙ্গার চলে আসলো। দুপ্লেট ফিশ ফিঙ্গার নেওয়া হয়েছিল, সবাই অল্প অল্প করে সস দিয়ে খাওয়া হলো। অনেকে সস খায় না, আবার অনেকে স্যালাড খায় না। যে যার পছন্দমত খাওয়া দাওয়া করল।
ফিশ ফিঙ্গার খেতে খেতে আমরা মেইন মেনু গুলো অর্ডার করে নিয়েছিলাম।আমরা নিয়েছিলাম বাটার নান, বাসন্তী পোলাও, কড়াই পনির, চিকেন এর একটি আইটেম। যেটার আমার নাম মনে পড়ছে না। আর ছিল ৪প্লেট মতো মাটন। এক একটা প্লেটে ৪ পিস করে।
ধীরে ধীরে এক এক করে সমস্ত খাবার আসতে থাকল ।তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম। শীতের রাতে যেহেতু খুব বুঝে শুনে খাওয়া-দাওয়া করতে হয়, তাই আমরা অল্প অল্প করে খেয়েছি। সবকিছুই ভাগাভাগি করে শেয়ার করে খাওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক খাওয়া দাওয়া। আমরা টোটাল আট জন মিলে খাওয়া-দাওয়া করতে লাগলাম। এর সাথে মাঝপথে আমি নিয়েছিলাম মাসালা কোক। যাতে হজম হয়ে যায়। আমি তো যেখানেই যাই ,বিশেষ এরকম খাওয়া দাওয়ার সময়, সেটা শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল ,আগে মাসালা কোক অথবা কোল্ড্রিংস নিয়ে নিই। হজম করতে সুবিধা হয় বলে।
আমরা খাওয়া-দাওয়া করতে করতে অনেক ধরনের গল্প করছিলাম। আর খাওয়া দাওয়া করার আগে অনেকগুলো ছবি তুলে নিয়েছিলাম। যেদিনকে কচি কলাপাতা শাড়িতে আর ভেলভেটের মেরুন কালারের ব্লাউজের দুর্দান্ত লাগছিল জেঠি কে। এভাবেই পুরো দিনটা আমার মজায় আনন্দে আর খাওয়া-দাওয়াতে কেটে গেছে।।
সবথেকে ভালো লেগেছে আমরা সবাই মিলে ফ্যামিলি পিক তুলেছি। রেস্টুরেন্টের একজন স্টাফকে বলেছিলাম আমাদের সকলের ছবি তুলে দিতে। সবমিলিয়ে সেদিনের রাতটা দুর্দান্ত কেটেছে। জেঠিও আমাদেরকে ট্রিট দিতে পেরে অনেক শান্তি পেয়েছে। আজ এখানে শেষ করছি সকলে ভালো থাকুন।
যাই হোক আপনার জেঠু রাতের বেলা ঘুরে ঘুরে কোন একদিন হয়তো এইরকম একটা রেস্টুরেন্টের খবর পেয়েছে এবং আপনাদের কাছে সাজেস্ট করেছে তাইতো আপনারা এরকম একটা সুন্দর জায়গায় আসতে পেরেছেন। ফ্যামিলির সাথে খুব সুন্দর একটা সময় কেটেছে এবং রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও খুব সুন্দর খাবার গুলো বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই আনন্দিত হলাম। আপনি যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ডিনার করেছেন, তা মনকে প্রশান্তি দেয়। রেস্টুরেন্টটির এমন সুন্দর পরিবেশ এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানোর অনুভূতি সত্যিই এক অমূল্য মুহূর্ত ছিল আপনার জন্য। এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবে,ন সুস্থ থাকবেন।
Thank you @memamun Sir 💕