রাধা রাধা
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আমি গতকাল আপনাদের সাথে আমার বাড়িতে রাধাষ্টমীর আয়োজন নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। এবং সাথে বলেছিলাম রাধারানীর জন্ম বৃত্তান্ত সংক্রান্ত ব্যাপারে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তাই আজকে এই পোস্টে আমি শ্রীরাধার অর্থাৎ রাধিকার জন্ম নিয়ে আলোচনা করছি। শ্রী রাধিকার জন্ম নিয়ে নানান রকম মত ভেদ আছে। নানান বইয়ের নানান রকম লেখা। তাও সেগুলো আমি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
বলা হয় সূর্যদেব প্রবল তপস্যার দ্বারা নারায়ণ ঠাকুরকে সন্তুষ্ট করেছিলেন। তখন তিনি বর দিয়েছিলেন । সূর্যদেব বর চেয়েছিলেন যে ,তার যেন এমন একটি কন্যা সন্তান হয়, যার সব সময় বশীভূত থাকবেন স্বয়ং নারায়ণ বা বিষ্ণু ।
এ জগতে শ্রীকৃষ্ণ শুধুমাত্র রাধার কাছেই নিজেকে আত্মনিবেদন করতে পারেন। তাই তিনি বলেছিলেন তিনি যখন গোকুলে জন্মগ্রহণ করবেন কৃষ্ণ হয়ে।ঠিক তখনই শ্রী রাধিকা জন্মগ্রহণ করবেন উত্তরপ্রদেশের গোকুলের কাছে একটি ছোট্ট শহর, যে জায়গার নাম রাওয়াল। আর সূর্যদেব হবেন তার পিতা যাদব শাসক বৃষভানু।
সেই মতোই ভাদ্র মাসের শুক্ল অষ্টমী তিথিতে রাধার জন্ম ।তার জন্ম নিয়ে নানান ধরনের মতবিবাদ রয়েছে, কেউ কেউ বলেন রাধাকে বৃষভানু যমুনা নদীতে ভাসমান উজ্জ্বল পদ্মের ওপর থেকে পেয়েছিলেন।
হিন্দু মতে বলে দেবী লক্ষ্মীর অবতার হলেন রাধা বা রাধিকা ।তিনি প্রেম এবং ভক্তির দেবী। রাধাকে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের মেয়েলি রূপ হিসেবে অনেক জায়গায় বর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু মতে বলে কৃষ্ণ নামে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর এর সাথেই বলা হয় রাধা নাম নিলে আত্মার মুক্তি ঘটে।
সারা পৃথিবী জুড়ে রাধা কৃষ্ণের প্রেমশক্তি ছড়িয়ে রয়েছে। আমার ভীষণ ভালো লাগে শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার সমস্ত কাহিনী পড়তে। বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়তে গিয়ে বৈষ্ণব পদাবলী, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন এবং রাধা কৃষ্ণের লীলার কাহিনী অনেক পড়েছি। সত্যি বলতে রাধাকৃষ্ণ শব্দটি এত মধুর এবং সাথেই ভীষণ মনে শান্তি পাই,যখন এই নাম উচ্চারণ করি।
আমি অবশ্যই ঈশ্বরে ভীষণ বিশ্বাসী। ভালোবাসায় তার থেকেও বেশি বিশ্বাসী। রাধা কৃষ্ণের প্রেমের কাহিনী যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। এ বিশ্বের প্রেম ভালোবাসার এবং ভক্তির বড়ই অভাব। আজ রাধা অষ্টমীর পরের দিন, এই শুভ তিথিতে আমি ভগবানের কাছে এটাই প্রার্থনা করি, সারা পৃথিবী জুড়ে প্রেম ভালোবাসা যেন একটু হলেও বৃদ্ধি পায়। সারা পৃথিবী যেন প্রেমময় হয়ে ওঠে।
আজ এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। রাধে রাধে।
তোমার রাধাষ্টমী গল্প শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছুই জানতে পারলাম ।আসলে এই সব কিছু আমার অজানাই ছিল। তবে এ বছরে তোমাদের বাড়িতে রাধাষ্টমীর পুজোটা সামনে থেকেই দেখলাম। খুব ভক্তি সহকারে তুমি পুজো করেছ।
হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে আমার তেমন কোন জ্ঞান নাই তবে মাঝেমধ্যে আপনাদের পোস্ট পড়তে অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে জন্মাষ্টমী সম্পর্কে পড়েছিলাম আজকে আবার রাধা অষ্টমীর গল্প শেয়ার করছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রাধা অষ্টমীর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।