গনেশ চতুর্দশী
নমস্কার বন্ধুরা। গণেশ চতুর্দশীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা সকলকে। গণেশ চতুর্থীর দিন প্রত্যেক বাড়িতেই গণেশ পুজো হয়ে থাকে, ছোটখাটো করে হলেও। আসলে আপনারা তো জানেনই বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর তেরো পার্বণের মধ্যে একটা যে গণেশ পূজা থাকবে এটাও স্বাভাবিক।
হিন্দু ধর্ম মতে গণেশ পুজো বহুল প্রচলিত। গনেশ পূজা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় নানান ভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু সব থেকে বড় করে মহারাষ্ট্রে পালিত হয়। গণেশ চতুর্থীর দিনকে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় খুবই ধুমধাম সহকারে গণেশ চতুর্দশী পালন করা হয়। বড় বড় ঠাকুর। বড় বড় আয়োজন করা হয়।
মহারাষ্ট্রের একটি অতি বিখ্যাত গণেশ ঠাকুরের মন্দির আছে ।যার নাম সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। মন্দিরের খ্যাতি সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এই মন্দিরে আরাধনার জন্য আসেন। আমার ভীষণ ইচ্ছে আমি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে যাব।। জানিনা কবে এই ইচ্ছে পূরণ হবে ,তবে আমার এটা আমার একটা বড় স্বপ্ন।
আমাদের বাড়িতে প্রতিবছর লক্ষ্মীনারায়ণ পূজো হয়। অক্ষয় তৃতীয়া আমাদের দুটো শোরুমে লক্ষ্মী গণেশ পূজো করা হয়। সেই পূজো নিয়েও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যেহেতু তিন জায়গায় লক্ষ্মী গনেশ থাকে, তাই তিন জোড়া পূজো হয়। আমাদের দুটো শোরুম , এবং কারখানার জন্য পূজো করা হয়। লাল রঙের লক্ষ্মী গণেশ তৈরি করা হয় মাটি দিয়ে।
কিন্তু আলাদা করে কোনো বার গণেশ পূজো করা হয়নি। আমি বাড়িতেই আমার ইচ্ছাতে প্রত্যেক বছর গণেশ চতুর্দশীর দিনকে ছোট করে আয়োজন করে পুজো করে থাকি। কিন্তু এবারের ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে গেল। আসলে আমাদের বাড়ি এখনো তৈরি হচ্ছে। বাড়ির কাজ চলছে তাই ঠাকুরঘর এখনো ফিনিশ হয়নি।
কিন্তু এদিকে আমার বাবা খুব শখ করে পাথরের ব্লক কেটে একটি গণেশ ঠাকুর তৈরি করে ফেলেছেন। যেহেতু আমাদের কারখানাতে সব রকম মূর্তি তৈরি করা হয়। আমি এর আগেও আপনাদের বলেছি পাথরের সাথে সাথে ফাইবার গ্লাস, ব্রোঞ্জের মূর্তিও আমাদের কারখানাতে তৈরি করা হয়। এ কারণে এই মূর্তিটিও একটি পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছে। পাথরটি পুরো দুধের মতো সাদা। রাজস্থান থেকে সমস্ত পাথর এর ব্লক আমাদের কিনে নিয়ে আসা হয়।
দুই বছর ধরে এই মূর্তিটি একটি জায়গায় প্যাকিং করে রাখা। কবে ঠাকুর মন্দির ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হবে ,তারপর এই গণেশ মূর্তিটি দিয়ে উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এই চতুর্থীর আগে আমার বাবার এবং মায়ের ইচ্ছা তে আমরা ঠিক করলাম গণেশ পূজোটা এবার করে ফেলব ধুমধাম করে এবং মূর্তিটিও সুন্দর করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে ঠাকুরের আসনে রাখবো। তারপর ধীরে ধীরে বাড়ির মন্দির তৈরি হয়ে গেলে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
তাই আজকে সকাল থেকে বাড়িতে পুজো। বাড়িতে পুজো থাকলে যা হয় আর কি ,গতকাল থেকেই নানান রকম আয়োজন চলতে থাকে। আজকে সকালে ব্রাহ্মণ আসে এগারোটার সময় ।আর তারপর খুব সুন্দর ভাবে পুজো হয়। আমার ইচ্ছা আছে পুজোর প্রতিটি ধাপ এবং সমস্ত ডিটেইলস আপনাদের সাথে পরপর পোস্টে শেয়ার করার।
আমাদের গণুবাবুকে আপনাদের কেমন লাগছে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন, আজকে আমি এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। গণেশ ঠাকুর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুন।
গণেশ চতুর্দশী পূজা সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না হয়তো এই প্রথমবার আপনার পোস্টে নাম শুনলাম।। এমন অনেক মন্দির বা মসজিদ থাকে সেগুলো অনেক আকর্ষণীয় হয়ে থাকে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সেখানে আছে ধর্ম পালন করার জন্য।।
আপনার বাবা যে পাথরের গণেশ মূর্তিটি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত সুন্দর । বাড়ির পূজার আয়োজন নিয়ে আপনার খুশি এবং উত্তেজনা স্পষ্ট। আপনার সব আয়োজন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক এবং গণেশ ঠাকুর আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য সব কিছু শুভ করবেন। সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।